৫৯৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. মুসা (আঃ) এর ফযীলত

৫৯৩৭। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, এক ইয়াহুদী কিছু মাল বিক্রি করছিল, মূল্য বলা হলে সে তা অপছন্দ করল অথবা তাতে সন্তুষ্ট হলো না, অথবা এটাকে খারাপ মনে করল। বলল, না হবে না, তাঁর শপথ যিনি মূসা (আলাইহিস সালাম) কে মানুষদের জন্য মনোনীত করেছেন। এ কথা এক আনসারী শুনতে পেয়ে ইয়াহুদীর মুখে একটি থাপ্পড় মারলেন এবং বললেন, তুই বলিস, মূসা (আলাইহিস সালাম) কে লোকদের ভেতর হতে মনোনীত করেছেন অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদ্যমান রয়েছেন! ঐ ইয়াহুদী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, হে আবূল কাসিম! আমি যিম্মী এবং (মুসলিম রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত) চুক্তিবদ্ধ। আমাকে অমুক ব্যক্তি থাপ্পড় মেরেছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি তার মুখে থাপ্পড় দিলে? আনসারী বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে বলেছে, যিনি মানুষের মাঝে মূসা (আলাইহিস সালাম) কে মনোনীত করেছেন। অথচ আপনি আমাদের মাঝে রয়েছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব রাগাম্বিত হলেন। রাগের চিহ্ন তাঁর চেহারায় ফুটে উঠলো। বললেনঃ নবীদের মধ্যে একজনকে অপরজনের উপর মর্যাদা দিও না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে, তখন আসমান ও যমীনের সবাই বেহুশ হয়ে পড়বে শুধু আল্লাহ যাদের চাইবেন তাঁরা ছাড়া। পরে দ্বিতীয়বার যখন ফুৎকার দেওয়া হবে, তখন আমিই সর্বপ্রথম উপস্থিত হব এবং দেখতে পাব যে, মূসা (আলাইহিস সালাম) আরশ ধরে রয়েছেন। আমার জানা নেই যে, তুর পাহাড়ে তাঁর বেহুশ হওয়াটাই হিসাব করা হয়েছে (যা তার এখনকার বেহুশ না হওয়ার কারণ), না আমার আগেই তাঁকে হুশ দান করা হয়েছে? আর আমি এ কথাও বলি না যে, কোনো পয়গাম্বর ইউনূস ইবনু মাত্তা (আলাইহিস সালাম) এর চেয়ে বেশি মর্যাদাবান।

মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... আবদুল আযীয ইবনু আবূ সালামা (রাঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مِنْ فَضَائِلِ مُوسَى صلى الله عليه وسلم ‏‏

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا يَهُودِيٌّ يَعْرِضُ سِلْعَةً لَهُ أُعْطِيَ بِهَا شَيْئًا كَرِهَهُ أَوْ لَمْ يَرْضَهُ - شَكَّ عَبْدُ الْعَزِيزِ - قَالَ لاَ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ ‏.‏ قَالَ فَسَمِعَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَطَمَ وَجْهَهُ - قَالَ - تَقُولُ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَالَ فَذَهَبَ الْيَهُودِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ إِنَّ لِي ذِمَّةً وَعَهْدًا ‏.‏ وَقَالَ فُلاَنٌ لَطَمَ وَجْهِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لِمَ لَطَمْتَ وَجْهَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ عَلَى الْبَشَرِ وَأَنْتَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا ‏.‏ قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى عُرِفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ لاَ تُفَضِّلُوا بَيْنَ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يُنْفَخُ فِي الصُّورِ فَيَصْعَقُ مَنْ فِي السَّمَوَاتِ وَمَنْ فِي الأَرْضِ إِلاَّ مَنْ شَاءَ اللَّهُ - قَالَ - ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ بُعِثَ أَوْ فِي أَوَّلِ مَنْ بُعِثَ فَإِذَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ آخِذٌ بِالْعَرْشِ فَلاَ أَدْرِي أَحُوسِبَ بِصَعْقَتِهِ يَوْمَ الطُّورِ أَوْ بُعِثَ قَبْلِي وَلاَ أَقُولُ إِنَّ أَحَدًا أَفْضَلُ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏"‏ ‏.‏
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ سَوَاءً ‏.‏

حدثني زهير بن حرب، حدثنا حجين بن المثنى، حدثنا عبد العزيز بن عبد الله، بن ابي سلمة عن عبد الله بن الفضل الهاشمي، عن عبد الرحمن الاعرج، عن ابي هريرة، قال بينما يهودي يعرض سلعة له اعطي بها شيىا كرهه او لم يرضه - شك عبد العزيز - قال لا والذي اصطفى موسى عليه السلام على البشر ‏.‏ قال فسمعه رجل من الانصار فلطم وجهه - قال - تقول والذي اصطفى موسى عليه السلام على البشر ورسول الله صلى الله عليه وسلم بين اظهرنا قال فذهب اليهودي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا ابا القاسم ان لي ذمة وعهدا ‏.‏ وقال فلان لطم وجهي ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لم لطمت وجهه ‏"‏ ‏.‏ قال ‏.‏ قال يا رسول الله والذي اصطفى موسى عليه السلام على البشر وانت بين اظهرنا ‏.‏ قال فغضب رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى عرف الغضب في وجهه ثم قال ‏"‏ لا تفضلوا بين انبياء الله فانه ينفخ في الصور فيصعق من في السموات ومن في الارض الا من شاء الله - قال - ثم ينفخ فيه اخرى فاكون اول من بعث او في اول من بعث فاذا موسى عليه السلام اخذ بالعرش فلا ادري احوسب بصعقته يوم الطور او بعث قبلي ولا اقول ان احدا افضل من يونس بن متى عليه السلام ‏"‏ ‏.‏ وحدثنيه محمد بن حاتم، حدثنا يزيد بن هارون، حدثنا عبد العزيز بن ابي سلمة، بهذا الاسناد سواء ‏.‏


Abu Huraira reported:
While a Jew was selling goods, he was given something which he did not accept or he did not agree (to accept) that 'Abdul 'Azlz (one of the narrators) is doubtful about it. He (the Jew) said: By Allah, Who chose Moses (peace be upon him) among mankind. A person from the Ansar heard it and gave a blow at his face saying: (You have the audacity) to say: By Him Who chose Moses amongst mankind, whereas Allah's Messenger (ﷺ) is living amongst us. The Jew went to Allah's Messenger (ﷺ) and said: Abu'l-Qasim, I am a Dhimmi and (thus need your protection) by a covenant, and added: Such and such person has given a blow upon my face. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Why did you give a blow on his face? He said: Allah's Messenger, this man said: By Him Who chose Moses (peace be upon him) amongst mankind, whereas you are living amongst us. Allah's Messenger (ﷺ) became angry and signs of anger could be seen on his face, and then said: Don't make distinction amongst the Prophets of Allah. When the horn will be blown and whatever is in the heavens and the earth would swoon but he whom Allah grants exception, then another horn will be blown and I would be the first amongst those who would recover and Moses (peace be upon him) would be catching hold of the Throne and I do not know whether it is a compensation for that when he swooned on the Day of Tur or he would be resurrected before me and I do not say that anyone is more excellent than Yunus son of Matta (peace he upon him).

This hadith has been narrated on the authority of Abu Salama with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৫/ ফযীলত (كتاب الفضائل)