পরিচ্ছেদঃ ১১৯. যদি কোন পিতা তার বালিগা কুমারী মেয়েকে তার বিনা অনুমতিতে বিবাহ দেয়।
২০৯৩. উসমান ইবন উবায়দ ..... ইকরামা (রহঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ বর্ণনার সনদে ইবন আব্বাসের উল্লেখ নেই। সেহেতু হাদীসটি মুরসাল।
باب فِي الْبِكْرِ يُزَوِّجُهَا أَبُوهَا وَلاَ يَسْتَأْمِرُهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ لَمْ يَذْكُرِ ابْنَ عَبَّاسٍ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ النَّاسُ مُرْسَلاً مَعْرُوفٌ .
The above tradition has been transmitted by ‘Ikrimah from the Prophet (ﷺ). Abu Dawud said “He (Muhammad bin ‘Ubaid) did not mention the name of Ibn ‘Abbas in the chain of this tradition. The people have also narrated it mursal (without the mention of the name of Ibn ‘Abbas) in a similar way. Its transmission in the mursal form is well known.
পরিচ্ছেদঃ ২৬. দুনিয়ার ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৪৮২. আহমদ ইবন সুলায়মান (রহঃ) ... আমর ইবন মায়মূন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্রয় চাইতেন। হাদীসটি মুরসাল।
الِاسْتِعَاذَةُ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَعَوَّذُ مُرْسَلٌ
It was narrated that 'Amr bin Maimun said:
"The Prophet [SAW] used to seek refuge." Mursal.
পরিচ্ছেদঃ ৯/৫৩. যে সময় স্ত্রীদের সাথে বাসর যাপন করা উত্তম।
২/১৯৯১। আবদুল মালিক ইবনুল হারিস ইবনু হিশাম (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু সালামাহ (রাঃ)-কে শাওয়াল মাসে বিবাহ করেন এবং শাওয়াল মাসেই তাকে তাঁর সহবাসে একত্র করেন। আবূ বকর বিন আবদির রহমান বর্ণনায় মুরসাল।
তাহকীক আলবানীঃ মুরসাল। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি আমার নিকট হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
بَاب مَتَى يُسْتَحَبُّ الْبِنَاءُ بِالنِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ فِي شَوَّالٍ وَجَمَعَهَا إِلَيْهِ فِي شَوَّالٍ
It was narrated from 'Abdul-Malik bin Harith bin Hisham, from his father, that:
the Prophet married Umm Salamah in Shawwal, and consummated the marriage with her in Shawwal.
পরিচ্ছেদঃ অগ্নি উপাসক থেকে জিযইয়া গ্রহন।
১৫৯৪। আল হুসায়ন ইবনু আবূ কাবশা (রহঃ) ... সাইব ইবনু ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের অগ্নি উপাসকদের কাছ থেকে জিযইয়া গ্রহণ করেছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু পারস্য থেকে তা গ্রহণ করেছেন এবং উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু ফুরস থেকে তা গ্রহণ করেছেন।
মুরসাল, ইরওয়া ৫/৯০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي كَبْشَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجِزْيَةَ مِنْ مَجُوسِ الْبَحْرَيْنِ وَأَخَذَهَا عُمَرُ مِنْ فَارِسَ وَأَخَذَهَا عُثْمَانُ مِنَ الْفُرْسِ . وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَقَالَ هُوَ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Malik :
From Az-Zuhri, that Sa'ib bin Yazid said: "The Messenger of Allah (ﷺ) took the Jizyah from the Zoroastrians of Bahrain, and 'Umar took it in Persia, and 'Uthman took it from the Persians."
I asked Muhammad about this, so he said: "It is: 'Malik from Az-Zuhri from the Prophet (ﷺ).'"
পরিচ্ছেদঃ
ছাব্বিশ.
( إن لله في كل ليلة ستمائة ألف عتيق من النار ، فإذا كان آخر ليلة أعتق الله بعدد ما مضى )
“নিশ্চয় আল্লাহ প্রতি রাতে ছয় লাখ লোক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যখন সর্ব শেষ রাত আসে, তখন তিনি পূর্বের সম পরিমাণ মুক্ত করেন”। বায়হাকি, এটা মুরসাল, হাসান বসরির কথা।
-
পরিচ্ছেদঃ ৩১. অগ্নিপূজকদের নিকট হতে কর আদায় প্রসঙ্গে
১৫৮৮। সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের মাজুসীদের নিকট হতে জিযইয়া গ্রহণ করেন। উমার (রাঃ) পারস্যের মাজুসীদের নিকট হতে এবং উসমান (রাঃ) ফুরস-এর মাজুসীদের নিকট হতে তা আদায় করেন।
ইমাম তিরমিয়ী বলেনঃ আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে এই হাদীস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় তিনি বলেনঃ মালিক জুহরীর সুত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। অতএব হাদীসটি মুরসাল, ইরওয়া (৫/৯০)
باب مَا جَاءَ فِي أَخْذِ الْجِزْيَةِ مِنَ الْمَجُوسِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ أَبِي كَبْشَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْجِزْيَةَ مِنْ مَجُوسِ الْبَحْرَيْنِ وَأَخَذَهَا عُمَرُ مِنْ فَارِسَ وَأَخَذَهَا عُثْمَانُ مِنَ الْفُرْسِ . وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَقَالَ هُوَ مَالِكٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Malik :
From Az-Zuhri, that Sa'ib bin Yazid said: "The Messenger of Allah (ﷺ) took the Jizyah from the Zoroastrians of Bahrain, and 'Umar took it in Persia, and 'Uthman took it from the Persians."
I asked Muhammad about this, so he said: "It is: 'Malik from Az-Zuhri from the Prophet (ﷺ).'"
পরিচ্ছেদঃ ১. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হওয়ার পূর্বে লোকেরা যে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত ছিল
২. ওয়াদ্বীন রাহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা ছিলাম জাহিলী যুগের লোক এবং আমরা মূর্তিপূজক ছিলাম। আর আমরা আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করতাম। আমার একটি কন্যা ছিল। আমি যখনই তাকে ডাকতাম, তখনই সে আনন্দের সাথে আমার ডাকে সাড়া দিত। একদিন আমি তাকে ডাকলে সে আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আমার পিছনে পিছনে চলতে লাগল। আমি চলতে লাগলাম যতক্ষণ না বাড়ির অদূরে একটি কূপের নিকট পৌঁছলাম। অতঃপর আমি তার হাত ধরে তাকে কূপে নিক্ষেপ করলাম। আমার বিশ্বাস, সবশেষে সে বলছিল: হে আব্বা! হে আব্বা। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাঁদতে লাগলেন, এমনকি তাঁর দু’চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগল। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মজলিসে বসা এক ব্যক্তি সেই লোকটিকে বলল, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দুঃখ দিয়েছো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে বললেন: ’থাম! কেননা, যা তাকে কষ্ট দিয়েছে, সে তো সে বিষয়েই জিজ্ঞেস করছে।’ অতঃপর তিনি সেই লোকটিকে বললেন: ’তোমার কথাগুলো আমাকে আবার শোনাও।’ ফলে সে লোকটি আবার (উল্লিখিত কাহিনীটি) বলতে লাগল। এ কাহিনী শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আবারও) কাঁদতে লাগলেন, এমনকি তাঁর দু’চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে তাঁর দাড়ির উপর পড়তে লাগল। অবশেষে তিনি তাকে বললেন: ’নিশ্চয়ই আল্লাহ জাহিলী যুগে কৃত (মন্দ) আমলসমূহ থেকে তাদেরকে অব্যহতি দিয়েছেন (অর্থাৎ সেসব পাপের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে না)। অতএব তুমি নতুন করে আমল করা শুরু করো।’[1]
তাখরীজ: এটি ইমাম দারিমী একাই বর্ণনা করেছেন।
بَاب مَا كَانَ عَلَيْهِ النَّاسُ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْجَهْلِ وَالضَّلَالَةِ
أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ النَّضْرِ الرَّمْلِيُّ، عَنْ مَسَرَّةَ بْنِ مَعْبَدٍ مِنْ بَنِي الْحَارِثِ بْنِ أَبِي الْحَرَامِ مِنْ لَخْمٍ، عَنْ الْوَضِينِ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا كُنَّا أَهْلَ جَاهِلِيَّةٍ وَعِبَادَةِ أَوْثَانٍ، فَكُنَّا نَقْتُلُ الْأَوْلَادَ، وَكَانَتْ عِنْدِي ابْنَةُ لِي فَلَمَّا أَجَابَتْ، وَكَانَتْ مَسْرُورَةً بِدُعَائِي إِذَا دَعَوْتُهَا، فَدَعَوْتُهَا يَوْمًا، فَاتَّبَعَتْنِي فَمَرَرْتُ حَتَّى أَتَيْتُ بِئْرًا مِنْ أَهْلِي غَيْرَ بَعِيدٍ، فَأَخَذْتُ بِيَدِهَا فَرَدَّيْتُ بِهَا فِي الْبِئْرِ، وَكَانَ آخِرَ عَهْدِي بِهَا أَنْ تَقُولَ: يَا أَبَتَاهُ ! يَا أَبَتَاهُ ! فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى وَكَفَ دَمْعُ عَيْنَيْهِ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ جُلَسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحْزَنْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: " كُفَّ فَإِنَّهُ يَسْأَلُ عَمَّا أَهَمَّهُ "، ثُمَّ قَالَ لَهُ: " أَعِدْ عَلَيَّ حَدِيثَكَ " فَأَعَادَهُ، فَبَكَى حَتَّى وَكَفَ الدَّمْعُ مِنْ عَيْنَيْهِ عَلَى لِحْيَتِهِ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ وَضَعَ عَنْ الْجَاهِلِيَّةِ مَا عَمِلُوا، فَاسْتَأْنِفْ عَمَلَكَ
إسناده رجاله ثقات غير أنه مرسل وقد تفرد بروايته الدارمي
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
১০. আমির রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট তাঁর কোন সাহাবী কোন এক প্রয়োজনে আসলেন। ফলে তিনি তার সাথে চলতে লাগলেন যতক্ষণ না তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তাঁর এক পা ঘরের ভিতর এবং এক পা বাইরে থাকা অবস্থায় তিনি যেন কারো সাথে চুপি চুপি আলাপ করলেন। অতঃপর তিনি তার দিকে তাকালেন এবং বললেন: ’তুমি জান কি আমি কার সাথে কথা বলছিলাম? ইনি একজন ফেরেশতা, আজকের আগে আমি কোনদিন তাকে দেখিনি। তিনি আমাকে সালাম দেয়ার জন্য তাঁর প্রতিপালকের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেছেন । তিনি (তাকে অনুমতি দিয়ে) বলেছেন, আমি আপনাকে কুরআন দিয়েছি অথবা (আপনার ওপর) নাযিল করেছি ফয়সালাকারী রূপে; ধীর-স্থিরতা দান করেছি সহনশীলতারূপে, ফুরকান (কুরআন) দান করেছি (পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের মাঝে) সেতুবন্ধনরূপে।[1]
তাখরীজ: এটি দারেমী একাই বর্ণনা করেছেন।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاق بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ: كَانَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ إِلَيْهِ حَاجَةٌ، فَمَشَى مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ، قَالَ: فَإِحْدَى رِجْلَيْهِ فِي الْبَيْتِ وَالْأُخْرَى خَارِجَة كَأَنَّهُ يُنَاجِي، فَالْتَفَتَ، فَقَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ كُنْتُ أُكَلِّمُ؟ إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ أَرَهُ قَطُّ قَبْلَ يَوْمِي هَذَا، اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ، قَالَ: إِنَّا آتَيْنَاكَ أَوْ أَنْزَلْنَا الْقُرْآنَ فَصْلًا، وَالسَّكِينَةَ صَبْرًا، وَالْفُرْقَانَ وَصْلًا
مرسل رجاله ثقات
পরিচ্ছেদঃ ৮. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে যে সকল মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে তার বর্ণনা
৫৪. ইবনু গানাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জীবরীল আলাইহিস সালাম একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট অবতরণ করলেন এবং তাঁর পেট চিরে ফেললেন। অতঃপর জীবরীল বললেন: অত্যন্ত মজবুত অন্তর, তাতে শ্রবণশক্তিসম্পন্ন দু’টি কান রয়েছে এবং দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন দু’টি চোখ রয়েছে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর সর্বশেষ (সবার পশ্চাতে আগমনকারী) রাসূল, ’আলহাশির’ (একত্রকারী), আপনার চরিত্র সুপ্রতিষ্ঠিত, আপনার জিহবা সত্যভাষী, আপনার হৃদয় (নফস্) প্রশান্ত।’
আবু মুহাম্মাদ বলেন: وكيع মানে شديدا (কঠোর, মজবুত)[1]
তাখরীজ: ইবনু আসাকীর, আত তারীখ (/৩৮৯); আবী নুয়াইম, দালাইল, সূয়ূতী, খাসাইসুল কুবরা, ১/১৬১-১৬২।
بَاب مَا أُعْطِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ ابْنِ غَنْمٍ، قَالَ: " نَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَقَّ بَطْنَهُ، ثُمَّ قَالَ جِبْرِيلُ: قَلْبٌ وَكِيعٌ فِيهِ أُذُنَانِ سَمِيعَتَانِ وَعَيْنَانِ بَصِيرَتَانِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ الْمُقَفِّي، الْحَاشِرُ، خُلُقُكَ قَيِّمٌ، وَلِسَانُكَ صَادِقٌ، وَنَفْسُكَ مُطْمَئِنَّةٌ "، قَالَ أَبُو مُحَمَّد: وَكِيعٌ يَعْنِي: شَدِيدًا
في إسناده ثلاث علل : عبد الله بن صالح ومعاوية بن يحيى ضعيفان وهو مرسل أيضا عبد الرحمن بن غنم تابعي وليس صحابيا
পরিচ্ছেদঃ ১২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দানশীলতা সম্পর্কে
৭৪. যুহুরী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা জীবরীল আলাইহিস সালাম বলেন: পৃথিবীতে দশটি বাড়ির অধিবাসী এমন নেই যাদেরকে আমি উল্টে দিইনি, কিন্তু, ধন-সম্পদ দান করার বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মত এত বেশী উদার (তাদের মধ্যে) কাউকেই পাইনি।[1]
তাখরীজ: এ কিতাব ছাড়া অন্যত্র আমি এটি পাইনি।
باب في سخاء النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَخِي الزُّهْرِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ إِنَّ جِبْرِيلَ قَالَ: مَا فِي الْأَرْضِ أَهْلُ عَشَرَةِ أَبْيَاتٍ إِلَّا قَلَّبْتُهُمْ، فَمَا وَجَدْتُ أَحَدًا أَشَدَّ إِنْفَاقًا لِهَذَا الْمَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
رجاله ثقات غير أنه مرسل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে
৮৪. ইকরামা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে সে দিনের বাকী সময় ও সেই রাত এবং তার পরের দিন ঐ অবস্থায় রেখে বুধবার রাতে (মঙ্গলবার দিবাগত রাতে) দাফন করা হয়। লোকজন বলাবলি করছিল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন নি। মূসা আলাইহিস সালামের রূহ যেভাবে উপরে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল, তেমনিভাবে তাঁর রূহকেও উপরে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেন নি। মূসা আলাইহিস সালামের রূহ যেভাবে উপরে উঠিয়ে নেয়া হয়েছিল, তেমনিভাবে তাঁর রূহকেও উপরে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করতে পারেন না, যতক্ষণ তিনি লোকদের হাতসমূহ ও জিহবাসমূহ না কেটে ফেলবেন (যারা বলছে, তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন)। উমার এভাবে বলতেই থাকলেন এমনকি এভাবে ভয় প্রদর্শন করে কথা বলতে বলতে তাঁর মুখে ফেনা উঠে গেল।
অতঃপর আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেন: ’নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুবরণ করেছেন। কেননা, তিনি একজন মানুষ, আর তিনিও পরিবর্তিত হবেন, যেভাবে মানুষ (মৃত্যুর পরে) পরিবর্তিত হয়ে যায়। হে লোকসকল! তোমরা তোমাদের সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দাফন কর। তিনি আল্লাহর নিকট এতবেশি সম্মানিত যে, তিনি তাঁকে দু’বার মৃত্যু দিবেন না। তোমাদেরকে আল্লাহ একবার মৃত্যু দেবেন, আর তাঁকে কি আল্লাহ দু’বার মৃত্যু দেবেন, যেখানে তিনি আল্লাহর নিকট ওর চেয়েও অধিক সম্মানিত? কাজেই, হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে দাফন কর। আর তোমরা যেমন বলছ, ব্যাপারটি যদি সেরকম হয়, তাহলে তাঁকে মাটি খুঁড়ে বের করে আনা আল্লাহর পক্ষে মোটেও কঠিন কিছু নয়। আল্লাহর কসম! নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেননি, যতক্ষণ না তিনি (মুক্তির) পথকে স্পষ্ট ও উজ্জ্বল অবস্থায় রেখে গেছেন, হালালকে হালাল করেছেন, হারামকে হারাম ঘোষণা করেছেন, বিয়ে করেছেন আবার তালাক্ব দিয়েছেন, যুদ্ধ ও সন্ধি করেছেন, এমন কোন ছাগলের রাখাল ছিল না, যে তাঁর অনুসরন করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হতো, আর তিনি সেখানে নিজ হাতের লাঠি দিয়ে গাছের পাতা পেড়েছেন এবং (পানির) চৌবাচ্চার ছিদ্র পথ নিজের হাতে বন্ধ করেছেন। তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চেয়ে অধিক সাহসী ও পরিশ্রমী কেউ নেই! হে লোকসকল, তোমরা তোমাদের সাথী (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে দাফন কর।
তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন: উম্মু আয়মান কাঁদতে লাগলেন। তখন তাকে বলা হল, হে উম্মু আয়মান! আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য কাঁদছেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্য কাঁদছি না, কেননা, আমি জানি যে, তিনি এমন স্থানে পৌঁছে গেছেন যা তাঁর জন্য দুনিয়ার চেয়ে উত্তম। বরং আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে খবর আসা বন্ধ হয়ে গেল।
হাম্মাদ বলেন: আয়্যুব যখন এ স্থানে পৌঁছেন, তখন অশ্রুতে তাঁর বাকরূদ্ধ হয়ে আসল।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ২/২/৫৩, ৫৪, ৫৮, ৮৩।
باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ فَحُبِسَ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَلَيْلَتَهُ وَالْغَدَ حَتَّى دُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ» وَقَالُوا: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَمُتْ، وَلَكِنْ عُرِجَ بِرُوحِهِ كَمَا عُرِجَ بِرُوحِ مُوسَى فَقَامَ عُمَرُ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَمُتْ وَلَكِنْ عُرِجَ بِرُوحِهِ كَمَا عُرِجَ بِرُوحِ مُوسَى، وَاللَّهِ لَا يَمُوتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى يَقْطَعَ أَيْدِيَ أَقْوَامٍ وَأَلْسِنَتَهُمْ، فَلَمْ يَزَلْ عُمَرُ يَتَكَلَّمُ حَتَّى أَزْبَدَ شِدْقَاهُ مِمَّا يُوعِدُ وَيَقُولُ. فَقَامَ الْعَبَّاسُ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَاتَ، وَإِنَّهُ لَبَشَرٌ وَإِنَّهُ يَأْسُنُ كَمَا يَأْسُنُ الْبَشَرُ، أَيْ قَوْمِ فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ. فَإِنَّهُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ أَنْ يُمِيتَهُ إِمَاتَتَيْنِ. أَيُمِيتُ أَحَدَكُمْ إِمَاتَةً وَيُمِيتُهُ إِمَاتَتَيْنِ وَهُوَ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ؟. أَيْ قَوْمِ، فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ، فَإِنْ يَكُ كَمَا تَقُولُونَ فَلَيْسَ بِعَزِيزٍ عَلَى اللَّهِ أَنْ يَبْحَثَ عَنْهُ التُّرَابَ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاللَّهِ مَا مَاتَ حَتَّى تَرَكَ السَّبِيلَ نَهْجًا وَاضِحًا، فَأَحَلَّ الْحَلَالَ، وَحَرَّمَ الْحَرَامَ، وَنَكَحَ وَطَلَّقَ، وَحَارَبَ وَسَالَمَ، مَا كَانَ رَاعِي غَنَمٍ يَتَّبِعُ بِهَا صَاحِبُهَا رُءُوسَ الْجِبَالِ يَخْبِطُ عَلَيْهَا الْعِضَاةَ بِمِخْبَطِهِ وَيَمْدُرُ حَوْضَهَا بِيَدِهِ بِأَنْصَبَ وَلَا أَدْأَبَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. كَانَ فِيكُمْ. أَيْ قَوْمِ، فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ. قَالَ: وَجَعَلَتْ أُمُّ أَيْمَنَ تَبْكِي، فَقِيلَ لَهَا: يَا أُمَّ أَيْمَنَ تبْكِينَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: إِنِّي وَاللَّهِ مَا أَبْكِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا أَكُونَ أَعْلَمُ أَنَّهُ قَدْ ذَهَبَ إِلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَهُ مِنَ الدُّنْيَا، وَلَكِنِّي أَبْكِي عَلَى خَبَرِ السَّمَاءِ انْقَطَعَ قَالَ حَمَّادٌ: خَنَقَتْ الْعَبْرَةُ أَيُّوبَ حِينَ بَلَغَ هَاهُنَا
رجاله ثقات غير أنه مرسل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে
৮৫. মাকহুল রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ’যখন তোমাদের কারো উপর মুসীবত আপতিত হয়, তখন সে যেন আমার (মৃত্যুর) দ্বারা তার উপর আগত মুসীবতের কথা স্মরণ করে। কেননা, তা হল সবচেয়ে বড় মুসীবতসমূহের অন্যতম।[1]
তাখরীজ: একই সনদে আমি এটি অন্যত্র পাইনি তবে মতনের দিক থেকে এর শাহীদ রয়েছে ইবনু সাবিতের হাদীসে যা হাইছামীর মাজমাউয যাওয়াইদে (নং ৪০০৫) এ বর্ণিত হয়েছ।
باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، وحدَّثني يَعِيشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا أَصَابَ أَحَدَكُمْ مُصِيبَةٌ، فَلْيَذْكُرْ مُصِيبَتَهُ بِي، فَإِنَّهَا مِنْ أَعْظَمِ الْمَصَائِبِ
إسناده صحيح وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ১৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাত সম্পর্কে
৮৬. আতা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’’যখন তোমাদের কারো উপর মুসীবত আপতিত হয়, তখন সে যেন আমার (মৃত্যুর) দ্বারা তার উপর আগত মুসীবতের কথা স্মরণ করে। কেননা, তা হল সবচেয়ে বড় মুসীবতসমূহের অন্যতম।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ২/২/৫৯।
باب في وفاة النبي صلى الله عليه وسلم
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا فِطْرٌ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَصَابَ أَحَدَكُمْ مُصِيبَةٌ، فَلْيَذْكُرْ مُصَابَهُ بِي، فَإِنَّهَا مِنْ أَعْظَمِ الْمَصَائِبِ
إسناده صحيح وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও বা কিছুর উদ্দেশ্যে ইলম অন্বেষণকারীর নিন্দা
৩৭৭. হিশাম হাসান হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: এটি আমি এখানে ব্যতীত আর কোথাও পাইনি। পূর্বের টীকাটি দেখুন। আর ইবনুল জাওযী, আল ইলাল নং ৮৯ এ আনাস হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তবে এর সনদে মিথ্যাবাদী রাবী রয়েছে।
بَابُ: التَّوْبيخِ لِمَنْ يَطْلُبُ الْعِلْمَ لِغَيْرِ اللَّهَ
أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ ذَلِكَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহে উৎসাহ দান
২২০৩. আবী নাজীহ রাহি: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করেনা, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছ মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭৩৯৬ তে। আরও দেখুন, মাতালিবুল আলিয়াহ নং ১৫৭৯ ও আবু দাউদের মারাসীল নং ২০২।
بَاب الْحَثِّ عَلَى التَّزْوِيجِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الْمُغَلِّسِ عَنْ أَبِي نَجِيحٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَنْكِحَ فَلَمْ يَنْكِحْ فَلَيْسَ مِنَّا
পরিচ্ছেদঃ ২৫. উভয় লিঙ্গ (হিজড়া) ব্যক্তির মীরাছ সম্পর্কে
৩০০৮. মুহাম্মদ ইবনু আলী হতে বর্ণিত, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এমন এক ব্যক্তির সম্পর্কে প্রশ্ন এলো যার, পুরুষাঙ্গও আছে আবার স্ত্রী অঙ্গও আছে (উভয়লিঙ্গ); সে দু’টি অঙ্গের কোনটি (পুরুষ নাকি মহিলা) হিসেবে মীরাছ পাবে? তিনি বললেন, সে এতদুভয়ের মধ্যে যে অঙ্গটি দিয়ে পেশাব করে, (সে অনুযায়ী সে মীরাছ পাবে)।[1]
তাখরীজ: এর তাখরীজের জন্য পরের হাদীসটি দেখুন।
باب فِي مِيرَاثِ الْخُنْثَى
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيٍّ يُحَدِّثُ عَنْ عَلِيٍّ فِي الرَّجُلِ يَكُونُ لَهُ مَا لِلرَّجُلِ وَمَا لِلْمَرْأَةِ مِنْ أَيِّهِمَا يُوَرَّثُ فَقَالَ مِنْ أَيِّهِمَا بَالَ
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিনি ওয়াসীয়াত করা পছন্দ করেন এবং যিনি অপছন্দ করেন
৩২৬৪. ইয়াযীদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু কুসাইত (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো লোক তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশের ব্যাপারে অধিকারসম্পন্ন যে, তা সে যে সম্পদ হতে ইচ্ছা দান করতে পারবে।”[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। তবে এর শাহিদ দেখুন, মাজমাউয যা্ওয়াইদ নং ৭১৮৭, ৭১৮৮, ৭১৮৯ তে।
باب مَنْ أَحَبَّ الْوَصِيَّةَ وَمَنْ كَرِهَ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قُسَيْطٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَرْءُ أَحَقُّ بِثُلُثِ مَالِهِ يَضَعُهُ فِي أَيِّ مَالِهِ شَاءَ
পরিচ্ছেদঃ ১৪. সুরা বাকারার প্রথমাংশ ও আয়াতুল কুরসীর ফযীলত
৩৪২৯. জুবাইর ইবনু নুফাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নিশ্চয়ই আল্লাহ সুরাহ বাক্বারাহ সমাপ্ত করেছেন এমন দু’টি আয়াত দ্বারা যা আমাকে প্রদান করা হয়েছে তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে। ফলে তোমরা এ আয়াত দু’টি শিক্ষা কর এবং তোমাদের নারীদেরকে শিখাও, কেননা, এ হলো রহমত, কুরআন এবং দু’আ।”[1]
তাখরীজ: আবূ দাউদ, মারাসীল নং ৯১; হাকিম নং ২০৬৭; তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ নং ২১৭৪ মুরসাল হিসেবে।
আর হাকিম নং ২০৬৬ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৪০৩ তে আবী যার হতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, যয়ীফ সনদে মুত্তাসিল হিসেবে।
মুসলিম হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন: “আমাকে সুরা বাক্বারার শেষাংশ দেওয়া হয়েছে আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে।”
আমরা বলছি: এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৫/৩৮৩ ও ১৫১, ১৮০; ফিরইয়াবী, ফাযাইলুল কুরআন ৫৩; নাসাঈ,ফাযাইলূল কুরআন নং ৪৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৩৯৯। এটি গত হয়েছে নং ৩৪১৫ তে।
باب فَضْلِ أَوَّلِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَآيَةِ الْكُرْسِيِّ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدٌ هُوَ ابْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ أَبِي الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهُمَا صَلَاةٌ وَقُرْآنٌ وَدُعَاءٌ
পরিচ্ছেদঃ ২২. হামীম আদ দুখান ও হাওয়ামীম (হামীমযুক্ত সুরাহ সমূহ) ও মুসাব্বিহাত সূরাহসমূহের ফযীলত
৩৪৬৩. খালিদ ইবনু মা’দান হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ঘুমের পূর্বে ’মুসাব্বিহাত’ (যে সকল সূরা শুরু ’সাব্বাহা বা ইউসাব্বিহু’ দিয়ে) পাঠ করতেন এবং তিনি বলতেন: “এগুলোর মধ্যে এমন একটি আয়াত রয়েছে, যা এক হাজার আয়াতের সমান।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫১।
নাসাঈ বলেন, ‘মু’আবিয়া বলেন: কোন কোন আহলে ইলম ছয়টি সুরাহকে মুসাব্বিহাত গণ্য করতেন: সুরাহ হাদীদ, হাশর, ওয়াল হাওয়ারিঈন (আস সফ); সুরাহ জুমু’আ, তাগাবুন এবং সুরা আ’লা।’
এর বিপরীত বর্ণিত হয়েছে বুকাইয়া হতে… খালিদ ইবনু মা’দান হতে … ইরবায ইবনু সারিয়াহ হতে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম… এর সনদ যয়ীফ। বুকাইয়া এটি আন’আন শব্দে বর্ণনা করেছেন আর তিনি মুদাল্লিস।
আবূ দাউদ, আদাব ৫০৫৭; তিরমিযী, ছাওবুল কুরআন নং ২৯২২; দাওয়াত ৩৪০৩; নাসাঈ, কুবরা নং ১০৫৫০; আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৭১৩; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামি ওয়াল লাইল নং ৬৮২; তাবারাণী, কাবীর ১৮/২৪৭ নং ৬২৪।
তবে আহমাদ ৪/১২৮ ও বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ২৫০৩ তে বুকাইয়া সূত্রে হাদ্দাছানা শব্দে আগের সনদে বর্ণনা করেছেন। এ সনদটি সহীহ।
باب فِي فَضْلِ حم الدُّخَانِ وَالْحَوَامِيمِ وَالْمُسَبِّحَاتِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ مَعْنٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ عِنْدَ النَّوْمِ وَيَقُولُ إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً تَعْدِلُ أَلْفَ آيَةٍ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৯৮-[৩১] জা’ফার ইবনু মুহাম্মাদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতার নিকট থেকে বর্ণনা করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আয়না দেখতেন, তখন বলতেন, সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য, যিনি আমার গঠন-আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং আমার স্বভাবকেও উত্তম করেছেন। আর যেসব গঠন আকৃতি এবং স্বভাব ত্রুটিযুক্ত, আমাকে সেগুলো থেকে মুক্ত করেছেন। (বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।)
وَعَنْ جَعْفَرِ
بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا نَظَرَ فِي الْمِرْآةِ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي حَسَّنَ خُلُقِي وَخَلْقِي وَزَانَ مِنِّي مَا شَانَ مِنْ غَيْرِي» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَان» مُرْسلا