হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬১৭৩

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬১৭৩-[৩৯] ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাঃ)-এর জন্য (বাৎসরিক ভাতা) সাড়ে তিন হাজার দিরহাম ধার্য করলেন এবং (নিজের পুত্র) আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর জন্য ধার্য করলেন তিন হাজার। তখন ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) তাঁর পিতাকে বললেন, কেন আপনি উসামাকে আমার ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন? আল্লাহর শপথ! কোন অভিযানেই উসামাহ্ আমার অগ্রগামী ছিলেন না।
উত্তরে ’উমার (রাঃ) বললেন, তার কারণ হলো এই যে, তোমার পিতার (আমি ’উমার-এর) তুলনায় তার পিতা (যায়দ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে অধিক প্রিয় ছিলেন। তোমার অপেক্ষা উসামাহ্ রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বেশি প্রিয় ছিলেন। অতএব আমি আমার প্রিয়জনের ওপর রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর প্রিয়জনকে প্রাধান্য দিয়েছি। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)

وَعَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ فَرَضَ لِأُسَامَةَ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ وَخَمْسِمِائَةٍ وَفَرَضَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لِأَبِيهِ: لِمَ فَضَّلْتَ أُسَامَة عَليّ؟ فو الله مَا سَبَقَنِي إِلَى مَشْهَدٍ. قَالَ: لِأَنَّ زَيْدًا كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَبِيكَ وَكَانَ أُسَامَةُ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْكَ فَآثَرْتُ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى حبي. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ حسن ، رواہ الترمذی (3813 وقال : حسن غریب) ۔ (ضَعِيف)

ব্যাখ্যা: হাদীসে স্পষ্ট হয় যে, ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালে রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে কর্মচারীদের জন্য বেতন নির্ধারণ করেছিলেন।
(مَا سَبَقَنِي إِلَى مَشْهَدٍ) কেউ কেউ বলেন, “মাশহাদ” দ্বারা উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন ও ‘আমল করার মতো ভালো কাজে এগিয়ে থাকা।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত থাকা এবং কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
(كَانَ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَبِيكَ) অত্র বাক্য প্রমাণ করে যে, কেউ অধিক প্রিয় হওয়ার অর্থ এটা নয় যে, সে সর্বশ্রেষ্ঠ।
‘উমার (রাঃ) নিজ ছেলের ওপর উসামাহ্-কে প্রধান্য দিলেন রাসূল (সা.)-এর ভালোবাসার প্রতি লক্ষ্য করে। যদিও কাজটি ছিল মনের বিরুদ্ধে, তারপরও তিনি সকল কিছুর উপর নবী (সা.) -এর ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিলেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)