পরিচ্ছেদঃ ১০. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৬০-[৪৯] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনকে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মিথ্যা ব্যতীত অন্য যে কোন স্বভাবে তৈরি করা হয়। (আহমাদ)[1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُطْبَعُ الْمُؤْمِنُ عَلَى الْخِلَالِ كلِّها إِلا الخيانةَ وَالْكذب» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যাঃ (يُطْبَعُ الْمُؤْمِنُ عَلَى الْخِلَالِ كلِّها) মু’মিন বান্দাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সর্বপ্রকার সুন্দর গুণ দিয়ে। (إِلا الخيانةَ وَالْكذب) আমানাতের খিয়ানাত এবং মিথ্যা- এই দু’টি মন্দ গুণ (দোষ) ব্যতীত। কেননা মু’মিন বান্দাকে সত্যবাদিতা ও আমানাতদারিতার উপর সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ইমাম ও সত্যবাদীর দাবী এটিই। এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা صِيغَةِ الْحَصْر তথা সীমাবদ্ধকারণের শব্দ ব্যবহার করে বলেন- إِنَّمَا يَفْتَرِي الْكَذِبَ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِ اللهِ وَأُولٰئِكَ هُمُ الْكَاذِبُونَ ‘‘শুধুমাত্র তারাই মিথ্যারোপ করে, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে না এবং তারাই মিথ্যাবাদী’’- (সূরাহ্ আন্ নাহল ১৬ : ১০৫)। এমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهٗ ‘‘যার তার আমানাতদারী নেই তার ঈমান নেই।’’ (আহমাদ)
অতএব মু’মিন বান্দার পক্ষ থেকে যদি কখনো মিথ্যা এবং খিয়ানাত প্রকাশ পায় তাহলে সেটা হবে তার স্বভাব বহির্ভূত বিষয়। তার আসল সৃষ্টিগত স্বভাব থেকে নয়।
অথবা মু’মিন ব্যক্তি এ দু’টি মন্দ গুণ থেকে মুক্ত থাকবে, এটি মুবালাগা বা আধিক্য অর্থে প্রযোজ্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)