পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর মহানুভবতা ও স্নেহশীলতা
(২৭৮২) সালামাহ বিন স্বাখর বায়াযবী বলেন, আমি এমন পুরুষ ছিলাম, যে স্ত্রী-সহবাস বেশি করে। আমার মনে হয় না যে, আমি যতটা পারতাম ততটা অন্য কেউ পারত। সুতরাং রমযান প্রবেশ করলে আমি স্ত্রীর সাথে ’যিহার’ করলাম, যাতে রমযান পার হয়ে যায় (এবং দিনে সহবাসে লিপ্ত না হয়ে পড়ি)। একদা রাত্রে সে আমার সাথে কথা বলছিল, এমন সময় তার দেহের এমন কিছু অংশ আমার জন্য খুলে গেল, যার ফলে আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং সঙ্গম করে ফেললাম। অতঃপর সকাল হলে আমি আমার গোত্রের লোকেদেরকে আমার খবর বললাম। আমি তাদেরকে বললাম, ’আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে (ফতোয়া) জিজ্ঞাসা কর।’
তারা বলল, ’আমরা তা পারব না। কারণ আল্লাহ আযযা অজাল্ল কুরআন অবতীর্ণ করবেন অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে কোন উক্তি করা হবে, অতঃপর তার লজ্জা আমাদের ঘাড়ে থেকে যাবে। বরং আমরা তোমার অপরাধ তোমাকেই সোপর্দ করছি। তুমিই গিয়ে তোমার নিজের ব্যাপার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ কর।’
সুতরাং আমি বের হলাম এবং তাঁর কাছে এসে আমার খবর খুলে বললাম।
তিনি বললেন, ’’তুমিই এ কাজ করেছ?’’
আমি বললাম, ’জী, আমিই এ কাজ করে ফেলেছি। আর এই যে আমিই আল্লাহর ফায়সালা মেনে নিতে ধৈর্যধারণ করব হে আল্লাহর রসূল!’
তিনি বললেন, ’’তাহলে একটি গর্দান (ক্রীতদাস) স্বাধীন কর।’’
আমি বললাম, ’সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য-সহ প্রেরণ করেছেন! এই সকালে আমি আমার নিজের এই গর্দান ছাড়া অন্য কিছুর মালিক নই।’
তিনি বললেন, ’’তাহলে একটানা দুই মাস রোযা রাখো।’’
আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার উপর যে মসীবত এল, তা কি রোযা ছাড়া অন্য কিছুর কারণে এল?’
তিনি বললেন, ’’তাহলে ষাটজন মিসকীনকে সাদকা কর অথবা অন্নদান কর।’’
আমি বললাম, ’সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য-সহ প্রেরণ করেছেন! গত রাত্রে আমাদের রাতের খাবারও ছিল না!’
তিনি বললেন, ’’তাহলে বানী যুরাইকের সাদকা-ওয়ালার কাছে যাও এবং তাকে বল, তোমাকে সাদকা দেবে। অতঃপর তুমি তা থেকে ষাটজন মিসকীন খাইয়ে দাও এবং অবশিষ্টাংশ দ্বারা তুমি উপকৃত হও।’’
সুতরাং আমি আমার গোত্রের লোকেদের কাছে ফিরে এলাম এবং বললাম, ’তোমাদের কাছে সংকীর্ণতা ও খারাপ রায় পেলাম। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পেলাম প্রশস্ততা ও ভালো রায়। তিনি তোমাদেরকে আমার জন্য সাদকা দিতে আদেশ করেছেন। সুতরাং আমাকে তা দাও।’
عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِىِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لاَ يُصِيبُ غَيْرِى فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِى شَيْئًا يُتَابَعُ بِى حَتّٰـى أُصْبِحَ فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتّٰـى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَبَيْنَمَا هِىَ تَخْدُمُنِى ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِـىْ مِنْهَا شَىْءٌ فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلٰـى قَوْمِى فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِى إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالُوا لاَ وَاللهِ فَانْطَلَقْتُ إِلٰـى النَّبِىِّ ﷺ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لأَمْرِ اللهِ فَاحْكُمْ فِىَّ مَا أَرَاكَ اللهُ قَالَ حَرِّرْ رَقَبَةً قُلْتُ وَالَّذِى بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِى قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ وَهَلْ أُصِبْتُ الَّذِى أُصِبْتُ إِلاَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قُلْتُ وَالَّذِى بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ فَانْطَلِقْ إِلٰـى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِى زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا فَرَجَعْتُ إِلٰـى قَوْمِى فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِىِّ ﷺ السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْىِ وَقَدْ أَمَرَنِى - أَوْ أَمَرَ لِـىْ – بِصَدَقَتِكُمْ