মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী ৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) - Prayers (Salat)
২২৫

পরিচ্ছেদঃ মি’রাজের রাতে কিভাবে নামায ফরয হল?

২২৫) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আবু যার (রাঃ) বর্ণনা করতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি মক্কা থাকাবস্থায় এক রাতে আমার ঘরের ছাদ বিদীর্ণ করা হল। সেই ছিদ্র দিয়ে জিবরীল ফেরেশতা অবতরণ করলেন। অতঃপর তিনি আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন এবং যমযমের পানি দিয়ে তা ধৌত করলেন। তারপর জ্ঞান ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র এনে আমার বক্ষের ভিতরে ঢেলে দিয়ে তা বন্ধ করে দিলেন। তারপর আমার হাত ধরে প্রথম আকাশের দিকে নিয়ে গেলেন। প্রথম আকাশের নিকটবর্তী হলে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। উপর থেকে আগমণকারীর পরিচয় জানতে চেয়ে জিজ্ঞেস করা হল, কে? উত্তরে জিবরীল বললেনঃ আমি জিবরীল। আবার জিজ্ঞেস করা হলঃ আপনার সাথের লোকটি কে? তিনি বললেনঃ মুহাম্মাদ। বলা হলঃ তাকে কি আসতে বলা হয়েছে? জিবরীল বললেনঃ হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ প্রথম আকাশে উঠে উপবিষ্ট একজন লোক দেখতে পেলাম। তাঁর ডান পাশে মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম এবং বাম পাশেও অনুরূপ মানুষের অসংখ্য রূহ দেখতে পেলাম। তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ পূণ্যবান ছেলে ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। জিবরীল ফেরেশতাকে আমি জিজ্ঞেস করলামঃ ইনি কে? তিনি বললেনঃ ইনি হলেন আদম। তাঁর ডান ও বাম দিকের রূহগুলো তাঁর সন্তানদের। ডান দিকের রূহগুলো জান্নাতবাসীদের আর বাম দিকের রূহগুলো জাহান্নামীদের। এ জন্যই তিনি যখন ডান দিকে তাকান তখন হাসেন এবং যখন বাম দিকে তাকান তখন কেঁদে ফেলেন। অতঃপর আমাকে দ্বিতীয় আকাশে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে গিয়ে জিবরীল ফেরেশতা আকাশের রক্ষীকে বললেনঃ দরজা খোল। দ্বিতীয় আকাশের রক্ষী জিবরীলকে প্রথম আকাশের ন্যায়ই প্রশ্ন করলেন।

 হাদীছের বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন আকাশে বিভিন্ন নবীর সাক্ষাত পেয়েছেন। যেমন আদম, ইদ্রীস, মূসা, ঈসা এবং ইবরাহীম (আঃ)। তবে কার অবস্থান কোন্ আকাশে তা উল্লেখ করেন নি। কেবল এ টুকু বলেছেন যে, প্রথম আকাশে পেয়েছেন আদম (আঃ)কে এবং ষষ্ট আকাশে পেয়েছেন ইবরাহীম (আঃ)কে।

 আনাস (রাঃ) বলেনঃ জিবরীল (আঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে ইদ্রীস (আঃ)এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ইদ্রীস (আঃ) স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইদ্রীস (আঃ)। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও ন্যায়পরায়ন নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল (আঃ) বললেনঃ তিনি হলেন মূসা (আঃ)। অতঃপর আমি ঈসা (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান ভাই ও পূণ্যবান নবীর আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ঈসা (আঃ)। অতঃপর আমি ইবরাহীম (আঃ)এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি আমাকে স্বাগতম জানিয়ে বললেনঃ আমার পূণ্যবান নবী ও পূণ্যবান ছেলের আগমণ শুভ হোক। আমি বললামঃ ইনি কে? জিবরীল বললেনঃ তিনি হলেন ইবরাহীম (আঃ)।

 ইবনে আব্বাস এবং আবু হাববাহ আনসারী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তারপর আমাকে আরো উপরে উঠানো হল। আমি এমন এক স্তরে পৌঁছলাম যেখানে আমি কলম চলার (কলম দিয়ে লিখার) আওয়াজ শুনতে পেলাম।

 আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ অতঃপর আমার উম্মাতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হল। ফেরত আসার সময় মূসা (আঃ)এর সাথে সাক্ষাত হল। মূসা (আঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ আল্লাহ আপনার উম্মাতের উপর কি ফরয করেছেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। কিছু কমানো হলো।

 আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ)এর সাথে সাক্ষাত হলে তাঁকে বললামঃ কিছু কমানো হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। তারা এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো।

 ফেরত আসার সময় পুনরায় মূসা (আঃ)এর সাথে আবার সাক্ষাৎ হলে তাঁকে বললামঃ আরো কিছু কমানো হয়েছে। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি ফেরত যান এবং কমাতে বলুন। আপনার উম্মাত এত নামায পড়তে পারবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি মূসা (আঃ)এর পরামর্শ মোতাবেক ফেরত গিয়ে কমাতে বললাম। এবারো কিছু কমানো হলো। এবার পাঁচ ওয়াক্ত নির্ধারণ করা হলো। কিন্তু ছাওয়াব পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই রয়ে গেল। আল্লাহ বলেনঃ আমার কথার কোন পরিবর্তন হয়না।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়ে মূসা (আঃ)এর কাছে আগমণ করলাম। তিনি আমাকে আবার যেতে বললেন। আমি তাঁকে বললামঃ এ ব্যাপারে মহান আল্লাহর নিকট পুনরায় যেতে লজ্জাবোধ করছি।

 অতঃপর জিবরীল ফেরেশতা আমাকে নিয়ে সিদরাতুল মুনতাহায় গমণ করলেন। তা বিভিন্ন রং দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। আমি জানিনা তা কিসের রং। পরিশেষে আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হল। সেখানে দেখলাম মুক্তার হার ঝুলানো আছে। আর দেখলাম জান্নাতে মাটিগুলো কস্ত্তরী দ্বারা নির্মিত।

باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ

- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ أَبُو ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فُرِجَ عَنْ سَقْفِ بَيْتِي وَأَنَا بِمَكَّةَ فَنَزَلَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَرَجَ صَدْرِي ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَأَفْرَغَهُ فِي صَدْرِي ثُمَّ أَطْبَقَهُ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي فَعَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَلَمَّا جِئْتُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ جِبْرِيلُ لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ قَالَ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا جِبْرِيلُ قَالَ هَلْ مَعَكَ أَحَدٌ قَالَ نَعَمْ مَعِي مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أُرْسِلَ إِلَيْهِ قَالَ نَعَمْ فَلَمَّا فَتَحَ عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَإِذَا رَجُلٌ قَاعِدٌ عَلَى يَمِينِهِ أَسْوِدَةٌ وَعَلَى يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ إِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِينِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَسَارِهِ بَكَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ لِجِبْرِيلَ مَنْ هَذَا قَال هَذَا آدَمُ وَهَذِهِ الْأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيهِ فَأَهْلُ الْيَمِينِ مِنْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَالْأَسْوِدَةُ الَّتِي عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ فَإِذَا نَظَرَ عَنْ يَمِينِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى حَتَّى عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَقَالَ لِخَازِنِهَا افْتَحْ فَقَالَ لَهُ خَازِنِهَا مِثْلَ مَا قَالَ الْأَوَّلُ فَفَتَحَ قَالَ أَنَسٌ فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ آدَمَ وَإِدْرِيسَ وَمُوسَى وَعِيسَى وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُثْبِتْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ غَيْرَ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ قَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيلُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِدْرِيسَ قَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالْأَخِ الصَّالِحِ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِدْرِيسُ ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالْأَخِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا مُوسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا عِيسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كان ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَبَا حَبَّةَ الْأَنْصَارِيَّ كَانَا يَقُولَانِ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ عُرِجَ بِي حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوَى أَسْمَعُ فِيهِ صَرِيفَ الْأَقْلَامِ قَالَ أنس بن مَالِكٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَفَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلَاةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى مَرَرْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ مَا فَرَضَ اللَّهُ لَكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ خَمْسِينَ صَلَاةً قَالَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى قُلْتُ وَضَعَ شَطْرَهَا فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ فَرَاجَعْتُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيقُ ذَلِكَ فَرَاجَعْتُهُ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَقُلْتُ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي ثُمَّ انْطَلَقَ بِي حَتَّى انْتَهَى بِي إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لَا أَدْرِي مَا هِيَ ثُمَّ أُدْخِلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا فِيهَا حَبَايِلُ اللُّؤْلُؤِ وَإِذَا تُرَابُهَا الْمِسْكُ

- عن انس بن مالك قال كان ابو ذر يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فرج عن سقف بيتي وانا بمكة فنزل جبريل صلى الله عليه وسلم ففرج صدري ثم غسله بماء زمزم ثم جاء بطست من ذهب ممتلى حكمة وايمانا فافرغه في صدري ثم اطبقه ثم اخذ بيدي فعرج بي الى السماء الدنيا فلما جىت الى السماء الدنيا قال جبريل لخازن السماء افتح قال من هذا قال هذا جبريل قال هل معك احد قال نعم معي محمد صلى الله عليه وسلم فقال ارسل اليه قال نعم فلما فتح علونا السماء الدنيا فاذا رجل قاعد على يمينه اسودة وعلى يساره اسودة اذا نظر قبل يمينه ضحك واذا نظر قبل يساره بكى فقال مرحبا بالنبي الصالح والابن الصالح قلت لجبريل من هذا قال هذا ادم وهذه الاسودة عن يمينه وشماله نسم بنيه فاهل اليمين منهم اهل الجنة والاسودة التي عن شماله اهل النار فاذا نظر عن يمينه ضحك واذا نظر قبل شماله بكى حتى عرج بي الى السماء الثانية فقال لخازنها افتح فقال له خازنها مثل ما قال الاول ففتح قال انس فذكر انه وجد في السموات ادم وادريس وموسى وعيسى وابراهيم صلوات الله عليهم ولم يثبت كيف منازلهم غير انه ذكر انه وجد ادم في السماء الدنيا وابراهيم في السماء السادسة قال انس فلما مر جبريل بالنبي صلى الله عليه وسلم بادريس قال مرحبا بالنبي الصالح والاخ الصالح فقلت من هذا قال هذا ادريس ثم مررت بموسى فقال مرحبا بالنبي الصالح والاخ الصالح قلت من هذا قال هذا موسى ثم مررت بعيسى فقال مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح قلت من هذا قال هذا عيسى ثم مررت بابراهيم فقال مرحبا بالنبي الصالح والابن الصالح قلت من هذا قال هذا ابراهيم صلى الله عليه وسلم قال كان ابن عباس وابا حبة الانصاري كانا يقولان قال النبي صلى الله عليه وسلم ثم عرج بي حتى ظهرت لمستوى اسمع فيه صريف الاقلام قال انس بن مالك قال النبي صلى الله عليه وسلم ففرض الله عز وجل على امتي خمسين صلاة فرجعت بذلك حتى مررت على موسى فقال ما فرض الله لك على امتك قلت فرض خمسين صلاة قال فارجع الى ربك فان امتك لا تطيق ذلك فراجعت فوضع شطرها فرجعت الى موسى قلت وضع شطرها فقال راجع ربك فان امتك لا تطيق فراجعت فوضع شطرها فرجعت اليه فقال ارجع الى ربك فان امتك لا تطيق ذلك فراجعته فقال هي خمس وهي خمسون لا يبدل القول لدي فرجعت الى موسى فقال راجع ربك فقلت استحييت من ربي ثم انطلق بي حتى انتهى بي الى سدرة المنتهى وغشيها الوان لا ادري ما هي ثم ادخلت الجنة فاذا فيها حبايل اللولو واذا ترابها المسك

How As-Salat (the Prayer) was prescribed on the night of Al-Isra (miraculous night journey) of the Prophet (pbuh) to Jerusalem (and then to the heavens)


Narrated Abu Dhar:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "While I was at Mecca the roof of my house was opened and Gabriel descended, opened my chest, and washed it with Zamzam water. Then he brought a golden tray full of wisdom and faith and having poured its contents into my chest, he closed it. Then he took my hand and ascended with me to the nearest heaven, when I reached the nearest heaven, Gabriel said to the gatekeeper of the heaven, 'Open (the gate).' The gatekeeper asked, 'Who is it?' Gabriel answered: 'Gabriel.' He asked, 'Is there anyone with you?' Gabriel replied, 'Yes, Muhammad I is with me.' He asked, 'Has he been called?' Gabriel said, 'Yes.' So the gate was opened and we went over the nearest heaven and there we saw a man sitting with some people on his right and some on his left. When he looked towards his right, he laughed and when he looked toward his left he wept. Then he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious son.' I asked Gabriel, 'Who is he?' He replied, 'He is Adam and the people on his right and left are the souls of his offspring. Those on his right are the people of Paradise and those on his left are the people of Hell and when he looks towards his right he laughs and when he looks towards his left he weeps.'

Then he ascended with me till he reached the second heaven and he (Gabriel) said to its gatekeeper, 'Open (the gate).' The gatekeeper said to him the same as the gatekeeper of the first heaven had said and he opened the gate. Anas said: "Abu Dhar added that the Prophet (ﷺ) met Adam, Idris, Moses, Jesus and Abraham, he (Abu Dhar) did not mention on which heaven they were but he mentioned that he (the Prophet (ﷺ) ) met Adam on the nearest heaven and Abraham on the sixth heaven. Anas said, "When Gabriel along with the Prophet (ﷺ) passed by Idris, the latter said, 'Welcome! O pious Prophet and pious brother.' The Prophet (ﷺ) asked, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Idris." The Prophet (ﷺ) added, "I passed by Moses and he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious brother.' I asked Gabriel, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Moses.' Then I passed by Jesus and he said, 'Welcome! O pious brother and pious Prophet.' I asked, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Jesus. Then I passed by Abraham and he said, 'Welcome! O pious Prophet and pious son.' I asked Gabriel, 'Who is he?' Gabriel replied, 'He is Abraham.
The Prophet (ﷺ) added, 'Then Gabriel ascended with me to a place where I heard the creaking of the pens." Ibn Hazm and Anas bin Malik said: The Prophet (ﷺ) said, "Then Allah enjoined fifty prayers on my followers when I returned with this order of Allah, I passed by Moses who asked me, 'What has Allah enjoined on your followers?' I replied, 'He has enjoined fifty prayers on them.' Moses said, 'Go back to your Lord (and appeal for reduction) for your followers will not be able to bear it.' (So I went back to Allah and requested for reduction) and He reduced it to half. When I passed by Moses again and informed him about it, he said, 'Go back to your Lord as your followers will not be able to bear it.' So I returned to Allah and requested for further reduction and half of it was reduced. I again passed by Moses and he said to me: 'Return to your Lord, for your followers will not be able to bear it. So I returned to Allah and He said, 'These are five prayers and they are all (equal to) fifty (in reward) for My Word does not change.' I returned to Moses and he told me to go back once again. I replied, 'Now I feel shy of asking my Lord again.' Then Gabriel took me till we '' reached Sidrat-il-Muntaha (Lote tree of; the utmost boundary) which was shrouded in colors, indescribable. Then I was admitted into Paradise where I found small (tents or) walls (made) of pearls and its earth was of musk."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২২৬

পরিচ্ছেদঃ মি’রাজের রাতে কিভাবে নামায ফরয হল?

২২৬) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন নামায ফরয করেছেন তখন স্বগৃহে (স্বদেশে) থাকাবস্থায় এবং ভ্রমণে থাকাবস্থায় দু’দু’রাকআত করেই ফরয করেছেন। অতঃপর সফর অবস্থার নামায ঠিকই রাখা হয়েছে এবং স্বগৃহে থাকাবস্থার নামায দু’রাকআত বাড়ানো হয়েছে।

باب كَيْفَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ فِي الإِسْرَاءِ

২২৬- عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ فَرَضَ اللَّهُ الصَّلَاةَ حِينَ فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ

২২৬- عن عاىشة ام المومنين قالت فرض الله الصلاة حين فرضها ركعتين ركعتين في الحضر والسفر فاقرت صلاة السفر وزيد في صلاة الحضر

How As-Salat (the Prayer) was prescribed on the night of Al-Isra (miraculous night journey) of the Prophet (pbuh) to Jerusalem (and then to the heavens)


Narrated `Aisha:

the mother of believers: Allah enjoined the prayer when He enjoined it, it was two rak`at only (in every prayer) both when in residence or on journey. Then the prayers offered on journey remained the same, but (the rak`at of) the prayers for non-travelers were increased.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২২৭

পরিচ্ছেদঃ কাপড় পরিধান করে নামায পড়া ওয়াজিব

২২৭) উমার বিন আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাত্র একটি কাপড় পরিধান করে নামায পড়েছেন। তবে কাপড়ের দু’কিনার দু’কাঁধের উপর রাখা ছিল। ডান কিনারা বাম কাঁধের উপর এবং বাম কিনারা ডান কাঁধের উপর।

بَاب وُجُوبِ الصَّلَاةِ فِي الثِّيَابِ

২২৭- عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهِ

২২৭- عن عمر بن ابي سلمةان النبي صلى الله عليه وسلم صلى في ثوب واحد قد خالف بين طرفيه

It is obligatory to wear clothes while offering As-Salat (the prayers)


Narrated `Umar bin Abi Salama:

The Prophet (ﷺ) prayed in one garment and crossed its ends.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২২৮

পরিচ্ছেদঃ এক কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে নামায পড়া

২২৮) উম্মে হানী বিনতে আবু তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলতেনঃ মক্কা বিজয়ের বছর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট গিয়ে দেখলাম, তিনি গোসল করছেন আর ফাতেমা (রাঃ) তাঁকে পর্দা করে আছেন। তিনি বললেনঃ আগমণকারী মহিলাটি কে? আমি বললামঃ উম্মে হানী বিনতে আবু তালেব। তিনি বললেনঃ উম্মে হানীকে স্বাগতম জানাই। উম্মে হানী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোসল শেষ করে একটি মাত্র কাপড়ে সমস্ত শরীর ঢেকে আট রাকআাত নামায আদায় করলেন। নামায শেষে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার ভাই (আলী বিন আবু তালেব) এমন একজন ব্যক্তিকে হত্যা করতে চায়, যাকে আমি আশ্রয় দিয়েছি। সে হল হুবায়রার অমুক পুত্র। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হে উম্মে হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমরাও তাকে আশ্রয় দিলাম। উম্মে হানি বলেনঃ সেটি ছিল দুপুরের সময়।

টিকাঃ কেউ কেউ উক্ত নামাযকে চাশ্তের নামায বলে মন্তব্য করেছেন। তবে নিয়মিত চাশতের নামায পড়া সত্ত্বেও ৮ রাকআতের উল্লেখ শুধু উক্ত দিবসের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকায় আলেমদের শক্তিশালী মত রয়েছে। এটি চাশতের নামায ছিলনা। বরং তা ছিল হয় শুকরানার নামায না হয় তাহাজ্জুদের কাযা নামায। সুস্পষ্ট ও সুসাব্যস্ত বর্ণনা মোতাবেক চাশতের নামাযের রাকআত সংখ্যা দুই থেকে চার। অন্যান্য সংখ্যা সম্বলিত বর্ণনাগুলো হয় অসাব্যস্ত আর না হয় অস্পষ্ট।

بَاب الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ مُلْتَحِفًا بِهِ

-عن أُمَّ هَانِئٍ بِنْتَ أَبِي طَالِبٍ تَقُولُ ذَهَبْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَوَجَدْتُهُ يَغْتَسِلُ وَفَاطِمَةُ ابْنَتُهُ تَسْتُرُهُ قَالَتْ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَنْ هَذِهِ فَقُلْتُ أَنَا أُمُّ هَانِئٍ بِنْتُ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ مَرْحَبًا بِأُمِّ هَانِئٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ قَامَ فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ مُلْتَحِفًا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَلَمَّا انْصَرَفَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ ابْنُ أُمِّي أَنَّهُ قَاتِلٌ رَجُلًا قَدْ أَجَرْتُهُ فُلَانَ ابْنَ هُبَيْرَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ قَالَتْ أُمُّ هَانِئٍ وَذَاكَ ضُحًى

-عن ام هانى بنت ابي طالب تقول ذهبت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفتح فوجدته يغتسل وفاطمة ابنته تستره قالت فسلمت عليه فقال من هذه فقلت انا ام هانى بنت ابي طالب فقال مرحبا بام هانى فلما فرغ من غسله قام فصلى ثماني ركعات ملتحفا في ثوب واحد فلما انصرف قلت يا رسول الله زعم ابن امي انه قاتل رجلا قد اجرته فلان ابن هبيرة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم قد اجرنا من اجرت يا ام هانى قالت ام هانى وذاك ضحى

To offer As-Salat (the prayers) with a single garment wrapped round the body


Narrated Abu Murra:

(the freed slave of Um Hani) Um Hani, the daughter of Abi Talib said, "I went to Allah's Messenger (ﷺ) in the year of the conquest of Mecca and found him taking a bath and his daughter Fatima was screening him. I greeted him. He asked, 'Who is she?' I replied, 'I am Um Hani bint Abi Talib.' He said, 'Welcome! O Um Hani.' When he finished his bath he stood up and prayed eight rak`at while wearing a single garment wrapped round his body and when he finished I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ) ! My brother has told me that he will kill a person whom I gave shelter and that person is so and so the son of Hubaira.' The Prophet (ﷺ) said, 'We shelter the person whom you have sheltered.' " Um Hani added, "And that was before noon (Duha).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২২৯

পরিচ্ছেদঃ এক কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর ঢেকে নামায পড়া

২২৯) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ জনৈক প্রশ্নকারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করল। উত্তরে তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের কি দু’টি করে কাপড় আছে?

টিকাঃ একাধিক কাপড় না থাকলে বড় একটি কাপড় দ্বারা শরীর আবৃত করাতে কোন দোষ নেই।

بَاب الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ مُلْتَحِفًا بِهِ

- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ سَائِلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الصَّلَاةِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَلِكُلِّكُمْ ثَوْبَانِ؟

- عن ابي هريرة ان ساىلا سال رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الصلاة في ثوب واحد فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اولكلكم ثوبان؟

To offer As-Salat (the prayers) with a single garment wrapped round the body


Narrated Abu Huraira:

A person asked Allah's Messenger (ﷺ) about the offering of the prayer in a single garment. Allah's Messenger (ﷺ) replied, "Has every one of you got two garments?


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩০

পরিচ্ছেদঃ এক কাপড়ে নামায পড়ার সময় উভয় কাঁধের উপর কাপড়ের কিছু অংশ রাখবে

২৩০) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন এক কাপড় পরিধান করে নামায না পড়ে, যার কিছু অংশ উভয় কাঁধের উপর রাখা হয়নি।

بَاب إِذَا صَلَّى فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَلْيَجْعَلْ عَلَى عَاتِقَيْهِ

২৩০- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَلِّي أَحَدُكُمْ فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ لَيْسَ عَلَى عَاتِقَيْهِ شَيْءٌ

২৩০- عن ابي هريرة قال قال النبي صلى الله عليه وسلم لا يصلي احدكم في الثوب الواحد ليس على عاتقيه شيء

If someone offers Salat (prayer) wrapped in a single garment, he should cross its corners round his shoulders


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "None of you should offer prayer in a single garment that does not cover the shoulders."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩১

পরিচ্ছেদঃ এক কাপড়ে নামায পড়ার সময় উভয় কাঁধের উপর কাপড়ের কিছু অংশ রাখবে

২৩১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলতেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এক কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করবে, সে যেন কাপড়ের ডান পার্শ্ব বাম কাঁধের উপর এবং বাম পার্শ্ব ডান কাঁধের উপর ফেলে রাখে।

بَاب إِذَا صَلَّى فِي الثَّوْبِ الْوَاحِدِ فَلْيَجْعَلْ عَلَى عَاتِقَيْهِ

২৩১- عن هُرَيْرَةَ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ صَلَّى فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ فَلْيُخَالِفْ بَيْنَ طَرَفَيْهِ

২৩১- عن هريرة يقول اشهد اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من صلى في ثوب واحد فليخالف بين طرفيه

If someone offers Salat (prayer) wrapped in a single garment, he should cross its corners round his shoulders


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever prays in a single garment must cross its ends (over the shoulders).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩২

পরিচ্ছেদঃ কাপড় যদি ছোট হয়

২৩২) জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোন এক সফরে বের হলাম। রাত্রিতে কোন জরুরী কাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকটে উপস্থিত হলাম। দেখতে পেলাম তিনি একটি মাত্র কাপড় পরিধান করে নামায আদায় করছেন। এ সময় আমার পরনেও একটি কাপড় ছিল। আমি কাপড়টি শরীরের সাথে জড়িয়ে নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে নামায পড়া শুরু করে দিলাম। নামায শেষে তিনি বললেনঃ হে জাবের! রাতের বেলা কেন আসলে? জাবের (রাঃ) বলেনঃ আমি আমার প্রয়োজনের কথা বললাম। কথা শেষ করলে তিনি বললেনঃ এভাবে কাপড় জড়িয়ে নিয়েছো কেন যা আমি দেখতে পাচ্ছি? আমি বললামঃ কাপড় ছিল মাত্র একটি। তাই উহা আমি শরীরে জড়িয়ে নিয়েছি। তখন তিনি বললেনঃ কাপড় যদি প্রশস্ত হয়, তবে উহা শরীরে জড়িয়ে নাও। আর যদি ছোট হয় তাহলে উহা লুঙ্গি হিসাবে পরিধান কর।

بَاب إِذَا كَانَ الثَّوْبُ ضَيِّقًا

২৩২- جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قال خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَجِئْتُ لَيْلَةً لِبَعْضِ أَمْرِي فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي وَعَلَيَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ فَاشْتَمَلْتُ بِهِ وَصَلَّيْتُ إِلَى جَانِبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ مَا السُّرَى يَا جَابِرُ فَأَخْبَرْتُهُ بِحَاجَتِي فَلَمَّا فَرَغْتُ قَالَ مَا هَذَا الِاشْتِمَالُ الَّذِي رَأَيْتُ قُلْتُ كَانَ ثَوْبٌ يَعْنِي ضَاقَ قَالَ فَإِنْ كَانَ وَاسِعًا فَالْتَحِفْ بِهِ وَإِنْ كَانَ ضَيِّقًا فَاتَّزِرْ بِهِ

২৩২- جابر بن عبد الله قال خرجت مع النبي صلى الله عليه وسلم في بعض اسفاره فجىت ليلة لبعض امري فوجدته يصلي وعلي ثوب واحد فاشتملت به وصليت الى جانبه فلما انصرف قال ما السرى يا جابر فاخبرته بحاجتي فلما فرغت قال ما هذا الاشتمال الذي رايت قلت كان ثوب يعني ضاق قال فان كان واسعا فالتحف به وان كان ضيقا فاتزر به

If the garment is tight (over the body)


Narrated Sa`id bin Al-Harith:

I asked Jabir bin `Abdullah about praying in a single garment. He said, "I traveled with the Prophet (ﷺ) during some of his journeys, and I came to him at night for some purpose and I found him praying. At that time, I was wearing a single garment with which I covered my shoulders and prayed by his side. When he finished the prayer, he asked, 'O Jabir! What has brought you here?' I told him what I wanted. When I finished, he asked, 'O Jabir! What is this garment which I have seen and with which you covered your shoulders?' I replied, 'It is a (tight) garment.' He said, 'If the garment is large enough, wrap it round the body (covering the shoulders) and if it is tight (too short) then use it as an Izar (tie it around your waist only.)' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৩

পরিচ্ছেদঃ কাপড় যদি ছোট হয়

২৩৩) সাহ্ল (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ পুরুষেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে শিশুদের ন্যায় কাঁধে লুঙ্গি বেঁধে নামায পড়তেন। মহিলাদেরকে বলা হত পুরুষেরা সোজা হয়ে বসার পূর্বে তোমরা সেজদা থেকে মাথা উঠাবেনা।

بَاب إِذَا كَانَ الثَّوْبُ ضَيِّقًا

২৩৩- عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ كَانَ رِجَالٌ يُصَلُّونَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَاقِدِي أُزْرِهِمْ عَلَى أَعْنَاقِهِمْ كَهَيْئَةِ الصِّبْيَانِ وَيُقَالُ لِلنِّسَاءِ لَا تَرْفَعْنَ رُءُوسَكُنَّ حَتَّى يَسْتَوِيَ الرِّجَالُ جُلُوسًا

২৩৩- عن سهل بن سعد قال كان رجال يصلون مع النبي صلى الله عليه وسلم عاقدي ازرهم على اعناقهم كهيىة الصبيان ويقال للنساء لا ترفعن رءوسكن حتى يستوي الرجال جلوسا

If the garment is tight (over the body)


Narrated Sahl:

The men used to pray with the Prophet (ﷺ) with their Izars tied around their necks as boys used to do; therefore the Prophet (ﷺ) told the women not to raise their heads till the men sat down straight (while praying).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৪

পরিচ্ছেদঃ শামী (সংকীর্ণ) জুববা পরিধান করে নামায পড়া

২৩৪) মুগীরা বিন শু’বা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে মুগীরা! পানির পাত্র আন। আমি পানির পাত্র হাতে নিলাম। অতঃপর তিনি যেতে লাগলেন। এমনকি তিনি দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলেন এবং তাঁর প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূর্ণ করলেন। তখন তাঁর পরনে ছিল একটি শামী জুববা। তিনি জুববার আস্তীনের মধ্য থেকে হাত বের করতে চাইলেন। কিন্তু তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে জুববার নীচের দিক থেকে হাত বের করলেন। আমি তাঁর হাতে পানি ঢাললাম। তিনি নামাযের ন্যায় পূর্ণ অযু করলেন এবং নিজের মোজার উপর মাসেহ করলেন। তারপর নামায আদায় করলেন।

بَاب الصَّلَاةِ فِي الْجُبَّةِ الشَّامِيَّةِ

২৩৪- عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ يَا مُغِيرَةُ خُذْ الْإِدَاوَةَ فَأَخَذْتُهَا فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى تَوَارَى عَنِّي فَقَضَى حَاجَتَهُ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأْمِيَّةٌ فَذَهَبَ لِيُخْرِجَ يَدَهُ مِنْ كُمِّهَا فَضَاقَتْ فَأَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ أَسْفَلِهَا فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ صَلَّى

২৩৪- عن مغيرة بن شعبة قال كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فقال يا مغيرة خذ الاداوة فاخذتها فانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى توارى عني فقضى حاجته وعليه جبة شامية فذهب ليخرج يده من كمها فضاقت فاخرج يده من اسفلها فصببت عليه فتوضا وضوءه للصلاة ومسح على خفيه ثم صلى

To offer As-Salat (the prayers) in a Syrian cloak (made by infidels)


Narrated Mughira bin Shu`ba:

Once I was traveling with the Prophet (ﷺ) and he said, "O Mughira! take this container of water." I took it and Allah's Messenger (ﷺ) went far away till he disappeared. He answered the call of nature and was wearing a Syrian cloak. He tried to take out his hands from its sleeve but it was very tight so he took out his hands from under it. I poured water and he performed ablution like that for prayers and passed his wet hands over his Khuff (socks made from thick fabric or leather) and then prayed .


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৫

পরিচ্ছেদঃ নামায ও অন্যান্য অবস্থায় উলঙ্গ হওয়া নিষেধ

২৩৫) জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করতেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা ঘর নির্মাণের সময় সকলের সাথে পাথর বহন করছিলেন। তাঁর পরনে ছিল লুঙ্গি। তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ হে ভাতিজা! তুমি যদি লুঙ্গি খুলে তা কাঁধের উপর পাথরের নীচে রাখতে তাহলে খুব ভাল হত। চাচার কথায় তিনি লুঙ্গি খুলে দু’কাঁধের উপর রাখা মাত্রই বেহুশ হয়ে পড়ে গেলেন। এরপর তাঁকে আর কখনও উলঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়নি।

بَاب كَرَاهِيَةِ التَّعَرِّي فِي الصَّلَاةِ وَغَيْرِهَ

২৩৫- عن جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ: يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَنْقُلُ مَعَهُمْ الْحِجَارَةَ لِلْكَعْبَةِ وَعَلَيْهِ إِزَارُهُ فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ عَمُّهُ يَا ابْنَ أَخِي لَوْ حَلَلْتَ إِزَارَكَ فَجَعَلْتَ عَلَى مَنْكِبَيْكَ دُونَ الْحِجَارَةِ قَالَ فَحَلَّهُ فَجَعَلَهُ عَلَى مَنْكِبَيْهِ فَسَقَطَ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ فَمَا رُئِيَ بَعْدَ ذَلِكَ عُرْيَانًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

২৩৫- عن جابر بن عبد الله: يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان ينقل معهم الحجارة للكعبة وعليه ازاره فقال له العباس عمه يا ابن اخي لو حللت ازارك فجعلت على منكبيك دون الحجارة قال فحله فجعله على منكبيه فسقط مغشيا عليه فما رىي بعد ذلك عريانا صلى الله عليه وسلم

It is disliked to the naked during As-Salat (the prayers)


Narrated Jabir bin `Abdullah:

While Allah's Messenger (ﷺ) was carrying stones (along) with the people of Mecca for (the building of) the Ka`ba wearing an Izar (waist-sheet cover), his uncle Al-`Abbas said to him, "O my nephew! (It would be better) if you take off your Izar and put it over your shoulders underneath the stones." So he took off his Izar and put it over his shoulders, but he fell unconscious and since then he had never been seen naked.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৬

পরিচ্ছেদঃ সতর কতটুকু ঢাকতে হবে?

২৩৬) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশতেমালুস্ সাম্মা থেকে নিষেধ করেছেন এবং (জাঙ্গিয়া না পরে) একটি মাত্র কাপড়ে সমস্ত শরীর জড়িয়ে হাটু তুলে নিতম্বের উপর ভর করে বসতেও মানা করেছেন। যাতে লজ্জাস্থানের উপর উহার কোন অংশই থাকেনা।

টিকাঃ একটি কাপড় দিয়ে সমস্ত শরীর এমনভাবে ঢেকে রাখাকে ইশতেমালুস্ সাম্মা বলা হয়, যাতে শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি হাত বের করারও কোন ছিদ্র থাকেনা।

بَاب مَا يَسْتُرُ مِنْ الْعَوْرَةِ

২৩৬- عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ لَيْسَ عَلَى فَرْجِهِ مِنْهُ شَيْءٌ

২৩৬- عن ابي سعيد الخدري انه قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن اشتمال الصماء وان يحتبي الرجل في ثوب واحد ليس على فرجه منه شيء

What may be used to cover the private parts of the body


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

Allah's Messenger (ﷺ) forbade Ishtimal-As-Samma' (wrapping one's body with a garment so that one cannot raise its end or take one's hand out of it). He also forbade Al-Ihtiba' (sitting on buttocks with knees close to `Abdomen and feet apart with the hands circling the knees) while wrapping oneself with a single garment, without having a part of it over the private parts.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৭

পরিচ্ছেদঃ সতর কতটুকু ঢাকতে হবে?

২৩৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’প্রকার ক্রয়-বিক্রয় হতে নিষেধ করেছেন। একটি হল মুলামাসাহ এবং অপরটি মুনাবাযাহ। তিনি আরো নিষেধ করেছেন ইশতেমালুস্ সাম্মা থেকে এবং (জাঙ্গিয়া না পরে) একটি মাত্র কাপড়ে সমস্ত শরীর জড়িয়ে হাটু তুলে নিতম্বের উপর ভর করে বসতেও মানা করেছেন।

টিকাঃ ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে মুলামাসাহ্এর ধরণ হল দামাদামির সময় বিক্রেতা ক্রেতাকে বলবেঃ আমি তোমার কাছে জিনিষটি বিক্রি করব তোমার জিনিষটির বিনিময়ে। তবে কেউ কারো জিনিষ ভালভাবে দেখতে পারবেনা। অথবা এ রূপ নিয়মে ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রেতা জিনিষটি স্পর্শ করলেই ক্রয় করতে হবে।

আর মুনাবাযাহ হল দামাদামির সময় না দেখেই ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পরের দিকে স্বীয় দ্রব্যটি নিক্ষেপ করলেই ক্রয়-বিক্রয় সমাপ্ত হয়ে যাবে। অথবা ক্রেতা-বিক্রেতা পরস্পরকে বলবে তোমার কাছে যা আছে তা আমার দিকে নিক্ষেপ কর আর আমার কাছে যা আছে তা তোমার দিকে নিক্ষেপ করব। এতেই বেচা-কেনা হয়ে যাবে।

উপরোক্ত দু’ধরণের ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ হওয়ার কারণ এই যে তাতে প্রতারণা ও ঝগড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

بَاب مَا يَسْتُرُ مِنْ الْعَوْرَةِ

২৩৭- عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعَتَيْنِ عَنْ اللِّمَاسِ وَالنِّبَاذِ وَأَنْ يَشْتَمِلَ الصَّمَّاءَ وَأَنْ يَحْتَبِيَ الرَّجُلُ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ

২৩৭- عن ابي هريرة قال نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن بيعتين عن اللماس والنباذ وان يشتمل الصماء وان يحتبي الرجل في ثوب واحد

What may be used to cover the private parts of the body


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) forbade two kinds of sales i.e. Al-Limais and An-Nibadh (the former is a kind of sale in which the deal is completed if the buyer touches a thing, without seeing or checking it properly and the latter is a kind of a sale in which the deal is completed when the seller throws a thing towards the buyer giving him no opportunity to see, touch or check it) and (the Prophet (ﷺ) forbade) also Ishtimal-As- Samma' and Al-Ihtiba' in a single garment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৮

পরিচ্ছেদঃ সতর কতটুকু ঢাকতে হবে?

২৩৮) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ (বিদায় হজ্জের পূর্বের বছর) আবু বকর (রাঃ) আমাকে ঐ সমস্ত ঘোষকদের সাথে পাঠালেন, যারা কুরবানীর দিন এই মর্মে ঘোষণা দিবে যে, আগামী বছর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবেনা এবং উলঙ্গ হয়ে কেউ কাবার তাওয়াফও করতে পারবেনা। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয়ার (সূরা তাওবা পাঠ করে শুনানোর) জন্য আলী (রাঃ)কে পাঠালেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আলী আমাদের সাথে মিনায় কুরবানীর দিন প্রচার করেন যে, আগামী বছর কোন মুশরিক হজ্জ করতে পারবেনা এবং উলঙ্গ হয়ে কেউ কাবার তাওয়াফও করতে পারবেনা।

بَاب مَا يَسْتُرُ مِنْ الْعَوْرَةِ

২৩৮- عن هُرَيْرَةَ قَالَ بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ فِي تِلْكَ الْحَجَّةِ فِي مُؤَذِّنِينَ يَوْمَ النَّحْرِ نُؤَذِّنُ بِمِنًى أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفَ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ قَالَ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ثُمَّ أَرْدَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا فَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَذِّنَ بِبَرَاءَةٌ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَأَذَّنَ مَعَنَا عَلِيٌّ فِي أَهْل مِنًى يَوْمَ النَّحْرِ لَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ

২৩৮- عن هريرة قال بعثني ابو بكر في تلك الحجة في موذنين يوم النحر نوذن بمنى ان لا يحج بعد العام مشرك ولا يطوف بالبيت عريان قال حميد بن عبد الرحمن ثم اردف رسول الله صلى الله عليه وسلم عليا فامره ان يوذن ببراءة قال ابو هريرة فاذن معنا علي في اهل منى يوم النحر لا يحج بعد العام مشرك ولا يطوف بالبيت عريان

What may be used to cover the private parts of the body


Narrated Abu Huraira:

On the Day of Nahr (10th of Dhul-Hijja, in the year prior to the last Hajj of the Prophet (ﷺ) when Abu Bakr was the leader of the pilgrims in that Hajj) Abu Bakr sent me along with other announcers to Mina to make a public announcement: "No pagan is allowed to perform Hajj after this year and no naked person is allowed to perform the Tawaf around the Ka`ba. Then Allah's Messenger (ﷺ) sent `Ali to read out the Surat Bara'a (at-Tauba) to the people; so he made the announcement along with us on the day of Nahr in Mina: "No pagan is allowed to perform Hajj after this year and no naked person is allowed to perform the Tawaf around the Ka`ba."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৩৯

পরিচ্ছেদঃ রান সতরের অন্তর্ভূক কি না?

২৩৯) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বারের যুদ্ধে বের হলেন। খায়বারের নিকট পৌঁছে আমরা তাঁর সাথে অন্ধকার থাকতেই ফজরের নামায আদায় করলাম। নামায শেষে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাহনে আরোহন করলেন এবং আবু তালহা আরোহন করলেন। আমি আবু তালহার পিছনে একই বাহনে আরোহন করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খায়বারের গলি দিয়ে দ্রুত চলছিলেন। তখন আমার দু’হাটু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রানের সাথে লেগে যাচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রানের উপর থেকে লুঙ্গি গুটিয়ে নিলেন। আমি তখন আল্লাহর নবীর রানের শুভ্রতা দেখতে পেলাম। খায়বারের গ্রামে প্রবেশ করে তিনি বললেনঃ আল্লাহু আকবার! খায়বার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা যখন কোন গোত্রের আঙ্গিনায় পৌঁছি, তখন সেই গোত্রের সকাল খুবই মন্দ হয়ে থাকে। বাক্যটি তিনবার বলেছেন।

 আনাস (রাঃ) বলেনঃ খায়বারের লোকেরা সকাল বেলা তাদের কাজকর্মে বের হল। আমাদেরকে দেখতে পেয়ে তারা বললঃ মুহাম্মাদ এবং তার সৈন্যরা এসে গেছে।

বর্ণনাকারী বলেনঃ আমরা শক্তি প্রয়োগ করেই খায়বার জয় করলাম। কয়েদীদেরকে একত্রিত করা হল। তখন দিহইয়া কালবী এসে বললেনঃ হে আল্লাহর নবী! কয়েদীদের মধ্য হতে আমাকে একটি বান্দী প্রদান করুন। তিনি বললেনঃ যাও এবং কয়েদীদের মধ্য হতে যে কোন একজন বান্দী নিয়ে নাও। দিহইয়া সাফিয়া বিনতে হুয়াই ইবনে আখতাবকে নিয়ে নিল। তখন একজন লোক আল্লাহর নবীর কাছে এসে আবেদন করলঃ হে আল্লাহর নবী! আপনি বনু কুরায়যা এবং বনু নাযীরের সর্দার হুয়াই ইবনে আখতাবের কন্যা সাফিয়াকে দিহইয়ার নিকট সোপর্দ করলেন। আপনি ব্যতীত অন্য কারো জন্য সে উপযুক্ত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ সাফিয়াকে সহ তাঁকে ডাক। তিনি সাফিয়াকে নিয়ে আসলেন। সাফিয়ার দিকে এক নযর দেখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিহইয়াকে বললেনঃ সাফিয়াকে বাদ দিয়ে তুমি কয়েদীদের মধ্য হতে অন্য একজন বান্দী গ্রহণ কর।

বর্ণনাকারী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফিয়াকে মুক্ত করে বিয়ে করলেন এবং মুক্ত করাকেই মহর হিসাবে নির্ধারণ করলেন। পথিমধ্যে উম্মে সুলাইম (রাঃ) সাফিয়াকে বধু সাজিয়ে রাত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফিয়ার সাথে বাসর করে সকালে ঘর থেকে বের হলেন। তারপর তিনি বললেনঃ যার কাছে খাবার যা কিছু আছে সে যেন তাই নিয়ে আসে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চামড়ার একটি দস্তরখান বিছালেন। কেউ খেজুর আবার কেউ ঘি নিয়ে আসলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ আমার ধারণা, আনাস (রাঃ) ছাতুর কথাও বলেছেন। এসব কিছু মিলিয়ে তারা ‘হাইস’ নামক খাদ্য তৈরী করলেন। আর এটিই ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অলীমা।

بَاب مَا يُذْكَرُ فِي الْفَخِذِ

২৩৯- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا خَيْبَرَ فَصَلَّيْنَا عِنْدَهَا صَلَاةَ الْغَدَاةِ بِغَلَسٍ فَرَكِبَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَكِبَ أَبُو طَلْحَةَ وَأَنَا رَدِيفُ أَبِي طَلْحَةَ فَأَجْرَى نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي زُقَاقِ خَيْبَرَ وَإِنَّ رُكْبَتِي لَتَمَسُّ فَخِذَ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ حَسَرَ الْإِزَارَ عَنْ فَخِذِهِ حَتَّى إِنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ فَخِذِ نَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا دَخَلَ الْقَرْيَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ { فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ} قَالَهَا ثَلَاثًا قَالَ وَخَرَجَ الْقَوْمُ إِلَى أَعْمَالِهِمْ فَقَالُوا مُحَمَّدٌ وَالْخَمِيسُ يَعْنِي الْجَيْشَ قَالَ فَأَصَبْنَاهَا عَنْوَةً فَجُمِعَ السَّبْيُ فَجَاءَ دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطِنِي جَارِيَةً مِنْ السَّبْيِ قَالَ اذْهَبْ فَخُذْ جَارِيَةً فَأَخَذَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَعْطَيْتَ دِحْيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ سَيِّدَةَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرِ لَا تَصْلُحُ إِلَّا لَكَ قَالَ ادْعُوهُ بِهَا فَجَاءَ بِهَا فَلَمَّا نَظَرَ إِلَيْهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خُذْ جَارِيَةً مِنْ السَّبْيِ غَيْرَهَا قَالَ فَأَعْتَقَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَزَوَّجَهَا وجعل صداقها عتقها حَتَّى إِذَا كَانَ بِالطَّرِيقِ جَهَّزَتْهَا لَهُ أُمُّ سُلَيْمٍ فَأَهْدَتْهَا لَهُ مِنْ اللَّيْلِ فَأَصْبَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَرُوسًا فَقَالَ مَنْ كَانَ عِنْدَهُ شَيْءٌ فَلْيَجِئْ بِهِ وَبَسَطَ نِطَعًا فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالتَّمْرِ وَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِالسَّمْنِ قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَدْ ذَكَرَ السَّوِيقَ قَالَ فَحَاسُوا حَيْسًا فَكَانَتْ وَلِيمَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

২৩৯- عن انس بن مالك ان رسول الله صلى الله عليه وسلم غزا خيبر فصلينا عندها صلاة الغداة بغلس فركب نبي الله صلى الله عليه وسلم وركب ابو طلحة وانا رديف ابي طلحة فاجرى نبي الله صلى الله عليه وسلم في زقاق خيبر وان ركبتي لتمس فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم ثم حسر الازار عن فخذه حتى اني انظر الى بياض فخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم فلما دخل القرية قال الله اكبر خربت خيبر انا اذا نزلنا بساحة قوم { فساء صباح المنذرين} قالها ثلاثا قال وخرج القوم الى اعمالهم فقالوا محمد والخميس يعني الجيش قال فاصبناها عنوة فجمع السبي فجاء دحية الكلبي رضي الله عنه فقال يا نبي الله اعطني جارية من السبي قال اذهب فخذ جارية فاخذ صفية بنت حيي فجاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا نبي الله اعطيت دحية صفية بنت حيي سيدة قريظة والنضير لا تصلح الا لك قال ادعوه بها فجاء بها فلما نظر اليها النبي صلى الله عليه وسلم قال خذ جارية من السبي غيرها قال فاعتقها النبي صلى الله عليه وسلم وتزوجها وجعل صداقها عتقها حتى اذا كان بالطريق جهزتها له ام سليم فاهدتها له من الليل فاصبح النبي صلى الله عليه وسلم عروسا فقال من كان عنده شيء فليجى به وبسط نطعا فجعل الرجل يجيء بالتمر وجعل الرجل يجيء بالسمن قال واحسبه قد ذكر السويق قال فحاسوا حيسا فكانت وليمة رسول الله صلى الله عليه وسلم

What is said about the thigh


Narrated `Abdul `Aziz:

Anas said, 'When Allah's Messenger (ﷺ) invaded Khaibar, we offered the Fajr prayer there (early in the morning) when it was still dark. The Prophet (ﷺ) rode and Abu Talha rode too and I was riding behind Abu Talha. The Prophet (ﷺ) passed through the lane of Khaibar quickly and my knee was touching the thigh of the Prophet (ﷺ) . He uncovered his thigh and I saw the whiteness of the thigh of the Prophet. When he entered the town, he said, 'Allahu Akbar! Khaibar is ruined. Whenever we approach near a (hostile) nation (to fight) then evil will be the morning of those who have been warned.' He repeated this thrice. The people came out for their jobs and some of them said, 'Muhammad (has come).' (Some of our companions added, "With his army.") We conquered Khaibar, took the captives, and the booty was collected. Dihya came and said, 'O Allah's Prophet! Give me a slave girl from the captives.' The Prophet said, 'Go and take any slave girl.' He took Safiya bint Huyai. A man came to the Prophet (ﷺ) and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)s! You gave Safiya bint Huyai to Dihya and she is the chief mistress of the tribes of Quraidha and An-Nadir and she befits none but you.' So the Prophet (ﷺ) said, 'Bring him along with her.' So Dihya came with her and when the Prophet (ﷺ) saw her, he said to Dihya, 'Take any slave girl other than her from the captives.' Anas added: The Prophet (ﷺ) then manumitted her and married her." Thabit asked Anas, "O Abu Hamza! What did the Prophet (ﷺ) pay her (as Mahr)?" He said, "Her self was her Mahr for he manumitted her and then married her." Anas added, "While on the way, Um Sulaim dressed her for marriage (ceremony) and at night she sent her as a bride to the Prophet (ﷺ) . So the Prophet was a bridegroom and he said, 'Whoever has anything (food) should bring it.' He spread out a leather sheet (for the food) and some brought dates and others cooking butter. (I think he (Anas) mentioned As-Sawaq). So they prepared a dish of Hais (a kind of meal). And that was Walima (the marriage banquet) of Allah's Messenger (ﷺ) ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৪০

পরিচ্ছেদঃ মহিলারা কয়টি কাপড় পরিধান করে নামায পড়বে?

২৪০) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ফজরের নামায আদায় করতেন তখন তাঁর সাথে মহিলাগণও শরীরে চাদর জড়িয়ে নামাযে অংশ গ্রহণ করতেন। নামায শেষে তাঁরা ঘরে ফিরতেন। অন্ধকারের কারণে কেউ তাঁদেরকে চিনতে পারতনা।

بَاب فِي كَمْ تُصَلِّي الْمَرْأَةُ مِنَ الثِّيَابِ

২৪০- عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الْفَجْرَ فَيَشْهَدُ مَعَهُ نِسَاءٌ مِنْ الْمُؤْمِنَاتِ مُتَلَفِّعَاتٍ فِي مُرُوطِهِنَّ ثُمَّ يَرْجِعْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ مَا يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ

২৪০- عاىشة قالت لقد كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي الفجر فيشهد معه نساء من المومنات متلفعات في مروطهن ثم يرجعن الى بيوتهن ما يعرفهن احد

In how many (what sort of) clothes a woman should offer Salat (prayer)


Narrated `Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) used to offer the Fajr prayer and some believing women covered with their veiling sheets used to attend the Fajr prayer with him and then they would return to their homes unrecognized.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৪১

পরিচ্ছেদঃ কেউ যদি নকশী করা কাপড়ে নামায পড়ে?

২৪১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি নকশা বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করে নামায পড়লেন। নামাযরত অবস্থায় একবার নকশার প্রতি তাঁর দৃষ্টি পড়ল। নামায শেষে তিনি বললেনঃ আমার এই চাদরটি আবু জাহমের কাছে নিয়ে যাও এবং আমার জন্য আবু জাহমের আনবাজানী নিয়ে আস। কারণ নকশাযুক্ত চাদরটি আমাকে এই মাত্র নামায থেকে অমনোযোগী করেছিল।

টিকাঃ নকশা বিহীন এক প্রকার মোটা চাদরকে তৎকালে আনবাজানী বলা হত। হাদীছ থেকে এও জানা গেল, যেসমস্ত জিনিষ নামাযে একনিষ্ঠতা নষ্ট করতে পারে নামাযী ঐ সমস্ত জিনিষ পরিত্যাগ করে চলবে।

بَاب إِذَا صَلَّى فِي ثَوْبٍ لَهُ أَعْلَامٌ

২৪১- عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي خَمِيصَةٍ لَهَا أَعْلَامٌ فَنَظَرَ إِلَى أَعْلَامِهَا نَظْرَةً فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ اذْهَبُوا بِخَمِيصَتِي هَذِهِ إِلَى أَبِي جَهْمٍ وَأْتُونِي بِأَنْبِجَانِيَّةِ أَبِي جَهْمٍ فَإِنَّهَا أَلْهَتْنِي آنِفًا عَنْ صَلَاتِي

২৪১- عن عاىشة ان النبي صلى الله عليه وسلم صلى في خميصة لها اعلام فنظر الى اعلامها نظرة فلما انصرف قال اذهبوا بخميصتي هذه الى ابي جهم واتوني بانبجانية ابي جهم فانها الهتني انفا عن صلاتي

If a person offered Salat (prayer) in a dress with marks and looked at those marks during the Salat


Narrated `Aisha:

the Prophet (ﷺ) prayed in a Khamisa (a square garment) having marks. During the prayer, he looked at its marks. So when he finished the prayer he said, "Take this Khamisa of mine to Abu Jahm and get me his Inbijaniya (a woolen garment without marks) as it (the Khamisa) has diverted my attention from the prayer."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৪২

পরিচ্ছেদঃ কেউ যদি ক্রুশচিহ্ন বিশিষ্ট অথবা ছবিযুক্ত কাপড় পরিধান করে নামায পড়ে তাহলে কি তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে?

২৪২) আনাস বিন মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আয়েশা (রাঃ)এর একটি নকশাযুক্ত পাতলা রঙ্গিন কাপড় ছিল। তিনি কাপড়টিকে ঘরের এক পার্শ্বে পর্দা হিসাবে লাগিয়েছিলেন। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমাদের নিকট থেকে তোমার এই পর্দাটি সরিয়ে ফেল। কারণ কাপড়ের ছবিগুলো নামায অবস্থায় বার বার আমার সামনে ভেসে উঠে।

بَاب إِنْ صَلَّى فِي ثَوْبٍ مُصَلَّبٍ أَوْ تَصَاوِيرَ هَلْ تَفْسُدُ صَلَاتُه

২৪২- عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمِيطِي عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا فَإِنَّهُ لَا تَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ فِي صَلَاتِي

২৪২- عن انس بن مالك كان قرام لعاىشة سترت به جانب بيتها فقال النبي صلى الله عليه وسلم اميطي عنا قرامك هذا فانه لا تزال تصاويره تعرض في صلاتي

If someone offers Salat (prayer) in a garment bearing marks of a cross or picture, will he Salat be annulled? And what is forbidden thereof


Narrated Anas:

`Aisha had a Qiram (a thin marked woolen curtain) with which she had screened one side of her home. The Prophet (ﷺ) said, "Take away this Qiram of yours, as its pictures are still displayed in front of me during my prayer (i.e. they divert my attention from the prayer).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৪৩

পরিচ্ছেদঃ রেশমী কোট পরিধান করে নামায পড়ে তা খুলে ফেলা

২৪৩) উকবা বিন আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি রেশমী কোট উপহার দেয়া হল। তা পরিধান করে তিনি নামায পড়লেন। নামায শেষে তিনি তা প্রচন্ডভাবে টেনে খুলে ফেললেন। মনে হচ্ছিল তিনি তা অপছন্দ করছিলেন। তিনি বললেনঃ মুত্তাকীদের জন্য এটা পরিধান করা উচিত নয়।

بَاب مَنْ صَلَّى فِي فَرُّوجِ حَرِيرٍ ثُمَّ نَزَعَهُ

২৪৩- عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ أُهْدِيَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَرُّوجُ حَرِيرٍ فَلَبِسَهُ فَصَلَّى فِيهِ ثُمَّ انْصَرَفَ فَنَزَعَهُ نَزْعًا شَدِيدًا كَالْكَارِهِ لَهُ وَقَالَ لَا يَنْبَغِي هَذَا لِلْمُتَّقِينَ

২৪৩- عن عقبة بن عامر قال اهدي الى النبي صلى الله عليه وسلم فروج حرير فلبسه فصلى فيه ثم انصرف فنزعه نزعا شديدا كالكاره له وقال لا ينبغي هذا للمتقين

Whoever offered Salat (prayer)in a silk Farruj (an outer garment opened at the back) and then took it off.


Narrated `Uqba bin 'Amir:

The Prophet (ﷺ) was given a silken Farruj [??] as a present. He wore it while praying. When he had finished his prayer, he took it off violently as if with a strong aversion to it and said, "It is not the dress of Allah-fearing pious people."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
২৪৪

পরিচ্ছেদঃ লাল কাপড় পরিধান করে নামায পড়া

২৪৪) আবু জুহায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লাল রঙ্গের চামড়ার তাঁবুর ভিতরে দেখতে পেলাম। আর বেলাল (রাঃ)কে দেখলাম, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যবহৃত অযুর অবশিষ্ট পানি নিয়ে আসছেন। লোকদেরকে দেখলাম তা সংগ্রহ করার জন্য খুব প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। যিনি উক্ত পানি থেকে কিছু সংগ্রহ করতে পেরেছেন তিনি তা স্বীয় শরীর ও মুখমণ্ডল ে মাসেহ করছেন। আর যে ব্যক্তি কোন কিছুই সংগ্রহ করতে পারেনি সে তাঁর সাথীর হাতের ভিজা অংশ থেকে কিছু আদ্রতা নিয়ে স্বীয় শরীর ও মুখমণ্ডল ে মাসেহ করছেন। অতঃপর বেলাল (রাঃ)কে দেখলাম তিনি ছোট একটি লাঠি হাতে নিয়ে তা গেড়ে দিলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাল রংএর এক জোড়া চাদর পরিধান করে বের হয়ে এসে লাঠিটিকে সুতরা স্বরূপ সামনে রেখে লোকদেরকে নিয়ে দু’রাকআত নামায পড়লেন। এ সময় তাঁর লুঙ্গি টাখনুর অনেক উপরে ছিল। আমি দেখলাম মানুষ এবং চতুষ্পদ জন্তু লাঠির সম্মুখ দিয়ে যাতায়াত করছে।

بَاب الصَّلَاةِ فِي الثَّوْبِ الْأَحْمَرِ

২৪৪) عَنْ أَبِى جحيفة قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قُبَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ أَدَمٍ وَرَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ وَضُوءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأَيْتُ النَّاسَ يَبْتَدِرُونَ ذَاكَ الْوَضُوءَ فَمَنْ أَصَابَ مِنْهُ شَيْئًا تَمَسَّحَ بِهِ وَمَنْ لَمْ يُصِبْ مِنْهُ شَيْئًا أَخَذَ مِنْ بَلَلِ يَدِ صَاحِبِهِ ثُمَّ رَأَيْتُ بِلَالًا أَخَذَ عَنَزَةً فَرَكَزَهَا وَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مُشَمِّرًا صَلَّى إِلَى الْعَنَزَةِ بِالنَّاسِ رَكْعَتَيْنِ وَرَأَيْتُ النَّاسَ وَالدَّوَابَّ يَمُرُّونَ مِنْ بَيْنِ يَدَيْ الْعَنَزَةِ

২৪৪) عن ابى جحيفة قال رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم في قبة حمراء من ادم ورايت بلالا اخذ وضوء رسول الله صلى الله عليه وسلم ورايت الناس يبتدرون ذاك الوضوء فمن اصاب منه شيىا تمسح به ومن لم يصب منه شيىا اخذ من بلل يد صاحبه ثم رايت بلالا اخذ عنزة فركزها وخرج النبي صلى الله عليه وسلم في حلة حمراء مشمرا صلى الى العنزة بالناس ركعتين ورايت الناس والدواب يمرون من بين يدي العنزة

(It is permissible) to offer Salat (prayer) in a red garment


Narrated Abu Juhaifa:

I saw Allah's Messenger (ﷺ) in a red leather tent and I saw Bilal taking the remaining water with which the Prophet had performed ablution. I saw the people taking the utilized water impatiently and whoever got some of it rubbed it on his body and those who could not get any took the moisture from the others' hands. Then I saw Bilal carrying a short spear (or stick) which he planted in the ground. The Prophet came out tucking up his red cloak, and led the people in prayer and offered two rak`at (facing the Ka`ba) taking a short spear (or stick) as a Sutra for his prayer. I saw the people and animals passing in front of him beyond the stick.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুহাইফাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮. কিতাবুস্ সালাত (كتاب الصلاة) Prayers (Salat)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »