সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ)
২৯২৭

পরিচ্ছেদঃ ১. সূরা ফাতিহা পাঠের নিয়ম

২৯২৭। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি শব্দ আলাদা আলাদাভাবে উচ্চারণ করে কিরআত পাঠ করতেন। তিনি পাঠ করতেন "আলহামদু লিল্লাহ রব্বিল আলামীন”, তারপর বিরতি দিতেন; তারপর পাঠ করতেনঃ “আর-রাহমানির রাহীম", তারপর বিরতি দিয়ে আবার পাঠ করতেনঃ “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন”।

সহীহঃ ইরওয়াহ (৩৪৩), মিশকাত (২২০৫), সিফাতুস সালাত, মুখতাসার শামা-য়িল (২৭০)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবূ উবাইদও “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন” (মালিকি-এর মীমে আলিফবিহীন) পাঠ করতেন এবং তিনি এ কিরা’আতই গ্রহণ করেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-উমাবী প্রমুখ ইবনু জুরাইজ হতে, তিনি ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে এরূপই বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই সনদসূত্র পরস্পর সংযুক্ত (মুত্তাসিল) নয়। কেননা লাইস ইবনু সা’দ (রাহঃ) এ হাদীসটি ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে, তিনি ইয়ালা ইবনু মামলাক হতে, তিনি উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিরাআতের প্রতিটি অক্ষর আলাদা আলাদাভাবে উচ্চারণ করতেন। লাইসের রিওয়ায়াত অনেক বেশি সহীহ। তার রিওয়ায়াতে এ কথার উল্লেখ নেই যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন” (আলিফ বিহীন) পাঠ করেছেন।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَطِّعُ قِرَاءَتَهُ يَقُولُ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ‏)‏ ثُمَّ يَقِفُ ‏(‏ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ‏)‏ ثُمَّ يَقِفُ وَكَانَ يَقْرَؤُهَا ‏(‏مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَبِهِ يَقُولُ أَبُو عُبَيْدٍ وَيَخْتَارُهُ هَكَذَا رَوَى يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ وَغَيْرُهُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ لأَنَّ اللَّيْثَ بْنَ سَعْدٍ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ يَعْلَى بْنِ مَمْلَكٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّهَا وَصَفَتْ قِرَاءَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَرْفًا حَرْفًا وَحَدِيثُ اللَّيْثِ أَصَحُّ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ اللَّيْثِ وَكَانَ يَقْرَأُ ‏(‏مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، اخبرنا يحيى بن سعيد الاموي، عن ابن جريج، عن ابن ابي مليكة، عن ام سلمة، قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقطع قراءته يقول ‏(‏الحمد لله رب العالمين ‏)‏ ثم يقف ‏(‏ الرحمن الرحيم ‏)‏ ثم يقف وكان يقروها ‏(‏ملك يوم الدين ‏)‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب وبه يقول ابو عبيد ويختاره هكذا روى يحيى بن سعيد الاموي وغيره عن ابن جريج عن ابن ابي مليكة عن ام سلمة وليس اسناده بمتصل لان الليث بن سعد روى هذا الحديث عن ابن ابي مليكة عن يعلى بن مملك عن ام سلمة انها وصفت قراءة النبي صلى الله عليه وسلم حرفا حرفا وحديث الليث اصح وليس في حديث الليث وكان يقرا ‏(‏ملك يوم الدين ‏)‏ ‏.‏


Narrated Ibn Abi Mulaikah:
that Umm Salah said: "The Messenger of Allah (SA) would separate recitation reciting: 'Al-Hamdulillahi Rabbil-'Alamin' then he would stop. 'Ar-Rahmanir-Rahim' then he would stop. And he would recite it: 'Maliki Yawmid-Din.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯২৮

পরিচ্ছেদঃ ১. সূরা ফাতিহা পাঠের নিয়ম

২৯২৮। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, উমার এবং উসমান (রাঃ) তারা প্রত্যেকেই পাঠ করতেনঃ “মালিকি ইয়াওমিদীন" অর্থাৎ মীমের সাথে আলিফসহ মদের সাথে পাঠ করতেন।

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র এই শাইখ আইউব ইবনু সুওয়াইদ আর-রামলীর রিওয়ায়াত হিসাবে যুহরী-আনাস (রাঃ) বর্ণিত উপরোক্ত হাদীস জেনেছি। যুহরীর কিছু শাগরিদ তার সূত্রে এ হাদীস এভাবে বর্ণনা করেছেন, যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বাকর ও উমার (রাঃ) “মালিকি ইয়াওমিদীন” (মালিকি-এর মীম-এর সাথে আলিফ যোগে) পাঠ করতেন।

সনদ দুর্বল

আবদুর রাযযাক (রাহঃ) মামার হতে তিনি যুহরী হতে তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বাকর ও উমর (রাঃ) “মালিকি ইয়াওমিদীন” (মালিকি-এর মীম-এর সাথে আলিফ যোগে) পাঠ করতেন।

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ - وَأُرَاهُ قَالَ - وَعُثْمَانَ كَانُوا يَقْرَءُونَ ‏(‏مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَذَا الشَّيْخِ أَيُّوبَ بْنِ سُوَيْدٍ الرَّمْلِيِّ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يَقْرَءُونَ ‏(‏مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ كَانُوا يَقْرَءُونَ ‏(‏مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ ‏)‏‏.‏

حدثنا ابو بكر، محمد بن ابان حدثنا ايوب بن سويد الرملي، عن يونس بن يزيد، عن الزهري، عن انس، ان النبي صلى الله عليه وسلم وابا بكر وعمر - واراه قال - وعثمان كانوا يقرءون ‏(‏ملك يوم الدين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه من حديث الزهري عن انس بن مالك الا من حديث هذا الشيخ ايوب بن سويد الرملي ‏.‏ وقد روى بعض اصحاب الزهري هذا الحديث عن الزهري ان النبي صلى الله عليه وسلم وابا بكر وعمر كانوا يقرءون ‏(‏ملك يوم الدين ‏)‏ ‏.‏ وقد روى عبد الرزاق عن معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب ان النبي صلى الله عليه وسلم وابا بكر وعمر كانوا يقرءون ‏(‏ملك يوم الدين ‏)‏‏.‏


Narrated Anas:
that the Prophet (ﷺ), Abu Bakr, and 'Umar - and I think he said - and 'Uthman would recite: "Maaliki Yawmid-Din (1:4).'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯২৯

পরিচ্ছেদঃ ১. সূরা ফাতিহা পাঠের নিয়ম

২৯২৯। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পড়েছেনঃ ইন্নান্নাফসা বিন-নাফসি ওয়াল আইনু বিলআইনি।

সনদ দুর্বল

সুয়াইদ ইবনু নাসর-ইবনুল মুবারাক- ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে এই সূত্রে উপরোক্ত সনদে বর্ণিত হাদীসের মতই হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ আবু আলী ইবনু ইয়াযীদ হলেন ইউনুস ইবনু ইয়ামীদের সহোদর। এ হাদীসটি হাসান গারীব। মুহাম্মাদ বলেনঃ কেবল মাত্র ইবনুল মুবারাক ইউনুস ইবনু ইয়ামীদের সূত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ উবাইদ এ হাদীসের অনুসরণক্ৰমে ওয়াল-আইনু বিল-আইন পড়েছেন।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ‏(‏إِنَّ النَّفْسَ بِالنَّفْسِ وَالْعَيْنُ بِالْعَيْنِ ‏)‏

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو عَلِيِّ بْنُ يَزِيدَ هُوَ أَخُو يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ تَفَرَّدَ ابْنُ الْمُبَارَكِ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ وَهَكَذَا قَرَأَ أَبُو عُبَيْدٍ ‏(‏ وَالْعَيْنُ بِالْعَيْنِ ‏)‏ اتِّبَاعًا لِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا ابن المبارك، عن يونس بن يزيد، عن ابي علي بن يزيد، عن الزهري، عن انس بن مالك، ان النبي صلى الله عليه وسلم قرا‏(‏ان النفس بالنفس والعين بالعين ‏)‏ حدثنا سويد بن نصر، حدثنا عبد الله، عن يونس بن يزيد، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى وابو علي بن يزيد هو اخو يونس بن يزيد وهذا حديث حسن غريب ‏.‏ قال محمد تفرد ابن المبارك بهذا الحديث عن يونس بن يزيد وهكذا قرا ابو عبيد ‏(‏ والعين بالعين ‏)‏ اتباعا لهذا الحديث ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
"The Prophet (ﷺ) would recite: 'Anin-nafsu Bin-Nafsi Wal-'Ainu Bil-'Aini'" (From 5:45)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩০

পরিচ্ছেদঃ ১. সূরা ফাতিহা পাঠের নিয়ম

২৯৩০। মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “হাল তাসতাতীউ রব্বাকা" পড়েছেন।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র রিশদীন ইবনু সাদের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। এ হাদীসের সনদ তেমন মজবুত নয়। রিশদীন ইবনু সা’দ ও আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদ ইবনু আনউম আল-আফরীকী উভয়ে হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَىٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَْ ‏(‏هَلْ تَسْتَطِيعُ رَبَّكَ ‏)‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ رِشْدِينَ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ ‏.‏ وَرِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ الإِفْرِيقِيُّ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا رشدين بن سعد، عن عبد الرحمن بن زياد بن انعم، عن عتبة بن حميد، عن عبادة بن نسى، عن عبد الرحمن بن غنم، عن معاذ بن جبل، ان النبي صلى الله عليه وسلم قرا ‏(‏هل تستطيع ربك ‏)‏ قال هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث رشدين وليس اسناده بالقوي ‏.‏ ورشدين بن سعد وعبد الرحمن بن زياد بن انعم الافريقي يضعفان في الحديث ‏.‏


Narrated Mu'adh bin Jabal:
"The Prophet (ﷺ) would recite: 'Hal Tastati'u Rabbak'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩১

পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা হুদ পাঠের নিয়ম

২৯৩১। উম্মু সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “ইন্নাহু আমিলা গাইরা সালিহীন" ("আমিলা’ শব্দের মীমে যের) পাঠ করেছেন।

সহীহঃ সহীহাহ (২৮০৯)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সাবিত আল-বুনানীর সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এটি সাবিত আল-বুনানীর রিওয়ায়াত। এ হাদীসটি শাহর ইবনু হাওশাব হতে আসমা বিনতু ইয়াযীদ সূত্রেও বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আমি আবদ ইবনু হুমাইদকে বলতে শুনেছিঃ আসমা বিনতু ইয়াযীদ হলেন উম্মু সালামা আল-আনসারিয়্যা। আমার মতে উভয় হাদীস একই। শাহর ইবনু হাওশাব (রাহঃ) উক্ত উম্মু সালামা আল-আনসারিয়্যা হতে এ হাদীস ব্যতীত আরো হাদীস বর্ণনা করেছেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَؤُهَا ‏(‏إِنَّهُ عَمِلَ غَيْرَ صَالِحٍ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ نَحْوَ هَذَا وَهُوَ حَدِيثُ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ يَقُولُ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ هِيَ أُمُّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى كِلاَ الْحَدِيثَيْنِ عِنْدِي وَاحِدٌ وَقَدْ رَوَى شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ غَيْرَ حَدِيثٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ الأَنْصَارِيَّةِ وَهِيَ أَسْمَاءُ بِنْتُ يَزِيدَ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا ‏.‏

حدثنا الحسين بن محمد البصري، حدثنا عبد الله بن حفص، حدثنا ثابت البناني، عن شهر بن حوشب، عن ام سلمة، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يقروها ‏(‏انه عمل غير صالح ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث قد رواه غير واحد عن ثابت البناني نحو هذا وهو حديث ثابت البناني وروي هذا الحديث ايضا عن شهر بن حوشب عن اسماء بنت يزيد ‏.‏ قال وسمعت عبد بن حميد يقول اسماء بنت يزيد هي ام سلمة الانصارية ‏.‏ قال ابو عيسى كلا الحديثين عندي واحد وقد روى شهر بن حوشب غير حديث عن ام سلمة الانصارية وهي اسماء بنت يزيد وقد روي عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏


Narrated Umm Salamah:
"The Prophet (ﷺ) would recite: 'Innahu 'Amila Ghaira Salih.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩২

পরিচ্ছেদঃ ২. সূরা হুদ পাঠের নিয়ম

২৯৩২। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত আয়াত এভাবে পাঠ করেছেনঃ “ইন্নাহু আমিলা গাইরা সালিহীন"।

সহীহঃ সহীহাহ (২৮০৯)।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَحَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَارُونُ النَّحْوِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ‏:‏ ‏(‏إِنَّهُ عَمِلَ غَيْرَ صَالِحٍ ‏)‏‏.‏

حدثنا يحيى بن موسى، حدثنا وكيع، وحبان بن هلال، قالا حدثنا هارون النحوي، عن ثابت البناني، عن شهر بن حوشب، عن ام سلمة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قرا هذه الاية ‏:‏ ‏(‏انه عمل غير صالح ‏)‏‏.‏


Narrated Umm Salamah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) recited this Ayah: 'Innahu 'Amalun Ghairu Salih'" (11:46)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা কাহফ

২৯৩৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশদীদ সহযোগে “কাব বাল্লাগতা মিল্লাদুনী উযরা” পাঠ করেছেন, বা এর মধ্যে তাশদীদ সহযোগে।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। উমাইয়্যা ইবনু খালিদ সিকাহ রাবী। আবূল জারিয়া আল-আবদী একজন অজ্ঞাত শাইখ। আমরা তার নাম জানি না।

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَارِيَةِ الْعَبْدِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَرَأَْ قَد ‏(‏بلغت مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا‏)‏ مُثَقَّلَةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَأُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ ثِقَةٌ وَأَبُو الْجَارِيَةِ الْعَبْدِيُّ شَيْخٌ مَجْهُولٌ لاَ أَدْرِي مَنْ هُوَ وَلاَ يُعْرَفُ اسْمُهُ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن نافع، - بصري - حدثنا امية بن خالد، حدثنا ابو الجارية العبدي، عن شعبة، عن ابي اسحاق، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، عن ابى بن كعب، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قرا قد ‏(‏بلغت من لدني عذرا‏)‏ مثقلة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏ وامية بن خالد ثقة وابو الجارية العبدي شيخ مجهول لا ادري من هو ولا يعرف اسمه ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
from 'Ubayy bin Ka'b, that the Prophet (ﷺ) would recite: "Qad balaghta Min Ladunni 'Udhra" (18:76) with heaviness (Muthaqqalah - meaning with Tashdid on the Nun in "Ladunni")."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা কাহফ

২৯৩৪। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “ফী আইনিন হামিআতিন” পাঠ করেছেন।

বক্তব্য সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু উপরোক্ত সূত্রেই জেনেছি। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত কিরাআতই সহীহ। বর্ণিত আছে যে, ইবনু আব্বাস ও আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) এ আয়াত পাঠে মতভেদ করেছেন এবং বিষয়টি কাব আল-আহবার (রাযিঃ)-এর সামনে পেশ করেছেন। তার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রিওয়ায়াত থাকলে তিনি সেটিকেই যথেষ্ট মনে করতেন এবং কাব (রাযিঃ)-এর সামনে মীমাংসার জন্য পেশ করতেন না।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ مِصْدَعٍ أَبِي يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ ‏(‏في عين حمئة ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قِرَاءَتُهُ ‏.‏ وَيُرْوَى أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ وَعَمْرَو بْنَ الْعَاصِي اخْتَلَفَا فِي قِرَاءَةِ هَذِهِ الآيَةِ وَارْتَفَعَا إِلَى كَعْبِ الأَحْبَارِ فِي ذَلِكَ فَلَوْ كَانَتْ عِنْدَهُ رِوَايَةٌ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَسْتَغْنَى بِرِوَايَتِهِ وَلَمْ يَحْتَجْ إِلَى كَعْبٍ ‏.‏

حدثنا يحيى بن موسى، حدثنا معلى بن منصور، حدثنا محمد بن دينار، عن سعد بن اوس، عن مصدع ابي يحيى، عن ابن عباس، عن ابى بن كعب، ان النبي صلى الله عليه وسلم قرا ‏(‏في عين حمىة ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه والصحيح ما روي عن ابن عباس قراءته ‏.‏ ويروى ان ابن عباس وعمرو بن العاصي اختلفا في قراءة هذه الاية وارتفعا الى كعب الاحبار في ذلك فلو كانت عنده رواية عن النبي صلى الله عليه وسلم لاستغنى بروايته ولم يحتج الى كعب ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
from Ubay bin Ka'b that the Prophet (ﷺ) recited: "Fi 'Ainin Hami'ah" (18:86)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আর-রূম

২৯৩৫। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদরের যুদ্ধের সময় রোমবাসীরা পারস্যবাসীদের উপর বিজয়ী হয়। এ সংবাদে মুসলিমগণ আনন্দিত হন। কারণ এই প্রসঙ্গে (ইতিপূর্বে) “আলিফ লাম মীম গুলাবাতির রূম... ইয়াফরাহুল মু’মিনূন" (সূরা আর-রুম ১-৪) আয়াত অবতীর্ণ হয়। তিনি বলেন, পারস্যবাসীদের উপর রোমীয়দের বিজয়ের কারণে মুসলিমগণ খুবই আনন্দিত হন।

সহীহঃ (৩১৯২)নং হাদীসে এর পুনরুল্লেখ আসবে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উপরোক্ত সূত্রে গারীব। “গালাবাত” ও “গুলিবাত” উভয়রপে পাঠ করা যায়। কথিত আছে যে, রোমীয়রা প্রথমে পরাজিত হয়েছিল এবং পরে বিজয়লাভ করে। নাসর ইবনু আলী “গালাবাত” পাঠ করতেন (কিন্তু প্রচলিত কিরাআত “গুলিবাত”)।

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ ظَهَرَتِ الرُّومُ عَلَى فَارِسَ فَأَعْجَبَ ذَلِكَ الْمُؤْمِنِينَ فَنَزَلَتْ ‏(‏ الم * غُلِبَتِ الرُّومُ ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ ‏)‏ قَالَ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ بِظُهُورِ الرُّومِ عَلَى فَارِسَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَيُقْرَأُ غَلَبَتْ وَغُلِبَتْ يَقُولُ كَانَتْ غُلِبَتْ ثُمَّ غَلَبَتْ هَكَذَا قَرَأَ نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ غَلَبَتْ ‏.‏

حدثنا نصر بن علي الجهضمي، حدثنا المعتمر بن سليمان، عن ابيه، عن سليمان الاعمش، عن عطية، عن ابي سعيد، قال لما كان يوم بدر ظهرت الروم على فارس فاعجب ذلك المومنين فنزلت ‏(‏ الم * غلبت الروم ‏)‏ الى قوله ‏(‏يفرح المومنون ‏)‏ قال يفرح المومنون بظهور الروم على فارس ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه ‏.‏ ويقرا غلبت وغلبت يقول كانت غلبت ثم غلبت هكذا قرا نصر بن علي غلبت ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
"On the Day of (the battle of) Badr, the Romans had a victory over the Persians. So the believers were pleased with that, then the following was revealed: Alif Lam Mim. The Romans have been defeated..." up to His saying: '...the believers will rejoice. (30:1-4)" He said: "So the believers were happy with the victory of the Romans over the Persians.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আর-রূম

২৯৩৬। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পাঠ করলেন “খালাকাকুম মিন যা’ফিন"। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “যু’ফিন" হবে।

হাসানঃ রাওযুন নায়ীর (৫৩০)।

আবদ ইবনু হুমাইদ ইয়াযিদ ইবনু হারুন হতে, তিনি ফুযাইল ইবনু মারযুক (রাহঃ) হতে তিনি আতিয়্যাহ হতে, তিনি ইবনু উমার হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সুত্রে উপরোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু ফুযাইল ইবনু মারযুক সূত্রে জেনেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ مَيْسَرَةَ النَّحْوِيُّ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَ ‏(‏خَلَقَكُمْ مِنْ ضعْفٍ ‏)‏ فَقَالَ مِنْ ضُعْفٍ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن حميد الرازي، حدثنا نعيم بن ميسرة النحوي، عن فضيل بن مرزوق، عن عطية العوفي، عن ابن عمر، انه قرا على النبي صلى الله عليه وسلم ‏(‏خلقكم من ضعف ‏)‏ فقال من ضعف ‏.‏ حدثنا عبد بن حميد، حدثنا يزيد بن هارون، عن فضيل بن مرزوق، عن عطية، عن ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث فضيل بن مرزوق ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
that he recited the following to the Prophet (ﷺ): "Who created you in the weakness (Min Da'f)" So he said: "Min Du'f"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আল কামার

২৯৩৭। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “ফাহাল মিন মুদ্দাকির” পাঠ করতেন।

সহীহঃ বুখারী (৪৮৬৯, ৪৮৭৪), মুসলিম (২/২০৫, ২০৬)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ ‏(‏فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو احمد الزبيري، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن الاسود بن يزيد، عن عبد الله بن مسعود، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقرا ‏(‏فهل من مدكر ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
that the Messenger of Allah (ﷺ) would recite: "Then is there anyone who would remember? (54:17)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. সূরা আল ওয়াকিয়াহ

২৯৩৮। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “ফারূহুন ওয়া রাইহানুন ওয়া জান্নাতু নাঈম" পাঠ করতেন।

সানাদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু হারূন আল-আওয়ারের রিওয়ায়াত হিসেবেই জেনেছি।

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ هَارُونَ الأَعْوَرِ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ ‏(‏فَروح وريحان وَجنة نَعيمٍ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَارُونَ الأَعْوَرِ ‏.‏

حدثنا بشر بن هلال الصواف، حدثنا جعفر بن سليمان الضبعي، عن هارون الاعور، عن بديل بن ميسرة، عن عبد الله بن شقيق، عن عاىشة، ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يقرا ‏(‏فروح وريحان وجنة نعيم ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث هارون الاعور ‏.‏


Narrated 'Aishah:
that the Prophet (ﷺ) would recite: "Furuhun Wa Raihanun Wa Jannatu Na'im (56:89)"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. সূরা আল-লাইল

২৯৩৯। আলকামাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা সিরিয়ায় পৌছে আবূদ দারদা (রাযিঃ)-এর নিকট হাযির হলাম। তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদের কিরাআত পাঠ করতে পারে? ’আলকামাহ বলেন, লোকেরা আমার দিকে ইশারা করে দেখালে আমি বললাম, হ্যাঁ আমি পারি। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি “ওয়াল লাইলি ইযা ইয়াগশা” আয়াতটি আব্দুল্লাহকে কিভাবে তিলাওয়াত করতে শুনেছ? আমি বললাম, আমি তাকে “ওয়াল-লাইলি ইযা ইয়াগশা ওয়ায-যাকারি ওয়াল-উনসা” এভাবে তিলাওয়াত করতে শুনেছি। আবূদ দারদা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আলার কসম! আমিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এভাবেই তিলাওয়াত করতে শুনেছি। কিন্তু এসব লোক তো আমাকে “ওয়ামা খালাকায-যাকারা ওয়াল-উনসা" এভাবে পাঠ করাতে চাচ্ছে। আমি তাদের অনুসরণ করি না।

সহীহঃ বুখারী (৪৯৪৩, ৪৯৪৪), মুসলিম (২/২০৬)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ)-এর কিরাআত এরূপইঃ ওয়াল লাইলি ইযা- ইযাগশা- ওয়ান নাহারি ইযা তাজাল্লা-ওয়াযযাকারি ওয়াল উনসা।

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَدِمْنَا الشَّامَ فَأَتَانَا أَبُو الدَّرْدَاءِ فَقَالَ أَفِيكُمْ أَحَدٌ يَقْرَأُ عَلَىَّ قِرَاءَةَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ فَأَشَارُوا إِلَىَّ فَقُلْتُ نَعَمْ أَنَا ‏.‏ قَالَ كَيْفَ سَمِعْتَ عَبْدَ اللَّهِ يَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏واللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ‏)‏ قَالَ قُلْتُ سَمِعْتُهُ يَقْرَؤُهَا ‏(‏والليل إِذا يغشى ‏)‏ ‏(‏الذَّكَر وَالأُنْثَى ‏)‏ فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَأَنَا وَاللَّهِ هَكَذَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا وَهَؤُلاَءِ يُرِيدُونَنِي أَنْ أَقْرَأَهَا‏(‏ اخَلَقَ ‏)‏ فَلاَ أُتَابِعُهُمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا قِرَاءَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏(‏ وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى * وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى * وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى ‏)‏‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن علقمة، قال قدمنا الشام فاتانا ابو الدرداء فقال افيكم احد يقرا على قراءة عبد الله قال فاشاروا الى فقلت نعم انا ‏.‏ قال كيف سمعت عبد الله يقرا هذه الاية ‏(‏والليل اذا يغشى ‏)‏ قال قلت سمعته يقروها ‏(‏والليل اذا يغشى ‏)‏ ‏(‏الذكر والانثى ‏)‏ فقال ابو الدرداء وانا والله هكذا سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقروها وهولاء يريدونني ان اقراها‏(‏ اخلق ‏)‏ فلا اتابعهم ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وهكذا قراءة عبد الله بن مسعود ‏(‏ والليل اذا يغشى * والنهار اذا تجلى * والذكر والانثى ‏)‏‏.‏


Narrated 'Alqamah:
"We arrived in Ash-Sham and we went to Abu Ad-Darda. So he said: 'Is there any among you who can recite for me according to the recitation of 'Abdullah?'" He said: "They pointed to me, so I said: 'Yes, [I (can recite)].' He said: 'How did you hear 'Abdullah recite this Ayah: By the night as it envelopes?'" He said: "I said: 'I heard him recite it: "Wal-Laili Idha Yaghsha, Wadh-Dhakari Wal-Untha" Abu Ad-Darda said: 'Me too, By Allah, this is how I heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting it. But these people want me to recite it: Wa Ma Khalaqa but I will not follow them.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলকামাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ৮. সূরা আয-যারিয়াত

২৯৪০। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিম্নোক্ত আয়াতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এভাবে পড়িয়েছেনঃ “ইন্নী আনার-রাযযাকু যুল কুওয়্যাতিল মাতীন"।

মতন সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ أَقْرَأَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏‏(‏ إِنِّي أَنَا الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن ابي اسحاق، عن عبد الرحمن بن يزيد، عن عبد الله بن مسعود، قال اقراني رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏‏(‏ اني انا الرزاق ذو القوة المتين ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Abdullah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) recited to me: "Indeed Allah is the Provider, The Possessor of power, the Firm." (51:58)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ৯. সূরা আল-হজ্জ

২৯৪১। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করেছেন “ওয়া তারান-নাসা সুকারা, ওয়ামাহুম বিসুকারা”।

সহীহঃ বুখারী (৪৭৪১), মুসলিম (১/১৩৯-১৪০)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আনাস (রাযিঃ) ও আবূত তুফাইল (রাযিঃ) ব্যতীত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্য কোন সাহাবী হতে কাতাদাহ কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এটা আমার মতে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। কাতাদাহ্ হাসান হতে তিনি ইমরান ইবনু হুসাইন হতে এই সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। তিনি “ইয়া আইয়ুহান-নাসুত্তাকু রব্বাকুম" পাঠ করেন। হাদীসটি অনেক লম্বা। এখানে সংক্ষেপে পেশ করা হয়েছে।

حَدَّثَنَا أَبُو زُرْعَةَ، وَالْفَضْلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ‏:‏ ‏(‏وَتَرَى النَّاسَ سُكَارَى وَمَا هُمْ بِسُكَارَى ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهَكَذَا رَوَى الْحَكَمُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ قَتَادَةَ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لِقَتَادَةَ سَمَاعًا مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ أَنَسٍ وَأَبُو الطُّفَيْلِ ‏.‏ وَهُوَ عِنْدِي حَدِيثٌ مُخْتَصَرٌ إِنَّمَا يُرْوَى عَنْ قَتَادَةَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ فَقَرَأَ ‏:‏ ‏(‏يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ ‏)‏ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَحَدِيثُ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عِنْدِي مُخْتَصَرٌ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا ابو زرعة، والفضل بن ابي طالب، وغير، واحد، قالوا حدثنا الحسن بن بشر، عن الحكم بن عبد الملك، عن قتادة، عن عمران بن حصين، ان النبي صلى الله عليه وسلم قرا‏:‏ ‏(‏وترى الناس سكارى وما هم بسكارى ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن وهكذا روى الحكم بن عبد الملك عن قتادة ‏.‏ ولا نعرف لقتادة سماعا من احد من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم الا من انس وابو الطفيل ‏.‏ وهو عندي حديث مختصر انما يروى عن قتادة عن الحسن عن عمران بن حصين قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في السفر فقرا ‏:‏ ‏(‏يا ايها الناس اتقوا ربكم ‏)‏ الحديث بطوله وحديث الحكم بن عبد الملك عندي مختصر من هذا الحديث ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
"The Prophet (ﷺ) recited: You shall see mankind as if in a drunken state, yet they will not be in a drunken state. (22:2)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ১০. (কুরআন উটের চেয়েও দ্রুত পলায়নপর)

২৯৪২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তাদের বা তোমাদের কারো এরূপ কথা বলা কতই না আপত্তিকরঃ “আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি। (বরং তার বলা উচিত যে,) তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা স্মরণ রাখার জন্য অনবরত কুরআন পাঠ করবে। সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ। উট যেভাবে রশি হতে ছাড়া পেয়ে পালায়, এটা (কুরআন) মানুষের হৃদয় হতে তার চাইতেও বেশি পলায়নপর।

সহীহঃ আযযিলা-ল (৪২২), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بِئْسَمَا لأَحَدِهِمْ أَوْ لأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ فَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنَ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود، قال انبانا شعبة، عن منصور، قال سمعت ابا واىل، عن عبد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بىسما لاحدهم او لاحدكم ان يقول نسيت اية كيت وكيت بل هو نسي فاستذكروا القران فوالذي نفسي بيده لهو اشد تفصيا من صدور الرجال من النعم من عقله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Abdullah:
that the Prophet (ﷺ) said: "How horrible it is for one of them - or - one of you to say: "I have forgotten such and such Ayah,' rather he was made to forget. So be mindful of the Qur'an, for - by the One in Whose Hand is my soul - it escapes from men's hearts faster than a camel from its fetter."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১১. সাত রীতিতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে

২৯৪৩। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, আমি একবাররাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় হিশাম ইবনু হাকীম ইবনু হিযামের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি (নামাযে মধ্যে) সূরা আল-ফুরকান তিলাওয়াত করছিলেন। আমি মনোযোগ সহকারে তার তিলাওয়াত শুনলাম এবং লক্ষ্য করলাম যে, তিনি অনেকগুলো অক্ষর এমন নিয়মে তিলাওয়াত করছেন যে নিয়মে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পড়াননি। আমি তাকে নামাযের মধ্যেই জব্দ করতে উদ্যত হলাম কিন্তু সালাম ফিরানো পর্যন্ত অবকাশ দিলাম।

তিনি সালাম ফিরাতেই আমি তার চাদর তার গলায় পেচিয়ে ধরে প্রশ্ন করলাম, আমি আপনাকে যে (রীতিতে এ) সূরাটি পাঠ করতে শুনলাম তা আপনাকে কে শিখিয়েছে? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (এরূপই) শিখিয়েছেন। আমি তাকে বললাম, আপনি মিথ্যা বলছেন। আল্লাহর কসম! আপনি যে সূরাটি পাঠ করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে আমাকে তা শিখিয়েছেন।

তারপর আমি তাকে টেনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে গেলাম এবং বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে সূরা আল-ফুরকান যেভাবে পাঠ করা শিখিয়েছেন, সেই সূরা তা হতে ভিন্নভাবে আমি একে পাঠ করতে শুনেছি।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ’উমার! তাকে ছেড়ে দাও। হে হিশাম! তুমি সূরাটি তিলাওয়াত করে শুনাও। আমি যেভাবে তাকে তিলাওয়াত করতে শুনেছিলাম সেরূপেই তিনি তা তিলাওয়াত করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটা এভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে উমার! তুমি তিলাওয়াত করে শুনাও। যেভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পাঠ করিয়েছেন আমি সেভাবেই তা পাঠ করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এভাবেও এটা অবতীর্ণ হয়েছে।

অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন বস্তুত এ কুরআন সাত রীতিতে অবতীর্ণ করা হয়েছে। সুতরাং যেভাবে তোমাদের সহজ হয় সেভাবেই তা হতে পাঠ করবে।

সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৩২৫), বুখারী (৪৯৯২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) যুহরী হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি তাতে মিসওয়ার ইবনু মাখরামার উল্লেখ করেননি।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا، سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ مَرَرْتُ بِهِشَامِ بْنِ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ وَهُوَ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَمَعْتُ قِرَاءَتَهُ فَإِذَا هُوَ يَقْرَأُ عَلَى حُرُوفٍ كَثِيرَةٍ لَمْ يُقْرِئْنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَنَظَرْتُهُ حَتَّى سَلَّمَ فَلَمَّا سَلَّمَ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَقُلْتُ مَنْ أَقْرَأَكَ هَذِهِ السُّورَةَ الَّتِي سَمِعْتُكَ تَقْرَؤُهَا فَقَالَ أَقْرَأَنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ كَذَبْتَ وَاللَّهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَهُوَ أَقْرَأَنِي هَذِهِ السُّورَةَ الَّتِي تَقْرَؤُهَا ‏.‏ فَانْطَلَقْتُ أَقُودُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى حُرُوفٍ لَمْ تُقْرِئْنِيهَا وَأَنْتَ أَقْرَأْتَنِي سُورَةَ الْفُرْقَانِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرْسِلْهُ يَا عُمَرُ اقْرَأْ يَا هِشَامُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَأْ يَا عُمَرُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأْتُ الْقِرَاءَةَ الَّتِي أَقْرَأَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ إِلاَّ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، وغير، واحد، قالوا حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن عروة بن الزبير، عن المسور بن مخرمة، وعبد الرحمن بن عبد القاري، اخبراه انهما، سمعا عمر بن الخطاب، يقول مررت بهشام بن حكيم بن حزام وهو يقرا سورة الفرقان في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم فاستمعت قراءته فاذا هو يقرا على حروف كثيرة لم يقرىنيها رسول الله صلى الله عليه وسلم فكدت اساوره في الصلاة فنظرته حتى سلم فلما سلم لببته برداىه فقلت من اقراك هذه السورة التي سمعتك تقروها فقال اقرانيها رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏.‏ قلت له كذبت والله ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لهو اقراني هذه السورة التي تقروها ‏.‏ فانطلقت اقوده الى النبي صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله اني سمعت هذا يقرا سورة الفرقان على حروف لم تقرىنيها وانت اقراتني سورة الفرقان ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارسله يا عمر اقرا يا هشام ‏"‏ ‏.‏ فقرا القراءة التي سمعته فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هكذا انزلت ‏"‏ ‏.‏ ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقرا يا عمر ‏"‏ ‏.‏ فقرات القراءة التي اقراني النبي صلى الله عليه وسلم فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هكذا انزلت ‏"‏ ‏.‏ ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان هذا القران انزل على سبعة احرف فاقرءوا ما تيسر ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روى مالك بن انس عن الزهري بهذا الاسناد نحوه الا انه لم يذكر فيه المسور بن مخرمة ‏.‏


Narrated 'Umar bin Al-Khattab:
"I passed by Hisham bin Hakim bin Hizam while he was reciting Surat Al-Furqan during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). I listened to his recitation and noticed that he recited it in several different ways, which the Messenger of Allah (ﷺ) had not taught me. I was about to jump over him during his Salat, but waited until he said the Salam. When he had said the Salam, I strangled him with his upper-garment and said: 'Who taught you this Surah which I heard you reciting?' He said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) taught it to me.' I said to him: 'You lie! By Allah! The Messenger of Allah (ﷺ) taught me this Surah which you were reciting.' I dragged him to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: 'O Messenger of Allah! I heard this one reciting Surat Al-Furqan in a manner different from how you taught me, and you taught me Surat Al-Furqan.' The Prophet (ﷺ) said: 'Release him O 'Umar! Recite O Hisham.' So he recited it for him as I had heard him reciting. Then the Prophet (ﷺ) said to me: 'This is how it was revealed.' Then the Prophet (ﷺ) said to me, 'Recite O 'Umar.' So I recited the recitation which the Prophet (ﷺ) taught me. The Prophet (ﷺ) said: 'This is how it was revealed.' Then the Prophet (ﷺ) said 'Indeed this Qur'an was revealed in seven modes, so recite of it what is easier for you.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. সাত রীতিতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে

২৯৪৪। উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেয়ে বললেনঃ হে জিবরীল! আমি একটি নিরক্ষর উন্মাতের নিকট প্রেরিত হয়েছি। এদের মধ্যে প্রবীণ, বৃদ্ধ, কিশোর ও কিশোরী আছে এবং এমন লোকও আছে যে কখনো কোন লেখাপড়াই করেনি। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! কুরআন তো সাত রীতিতে অবতীর্ণ হয়েছে।

হাসান সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৩২৮)।

উমার, হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান, আবূ হুরায়রা, আবূ আইউব আনসারী (রাযিঃ)-এর স্ত্রী উম্মু আইয়ুব, সামুরাহ, ইবনু আব্বাস ও আবূ জুহাইম ইবনুল হারিস ইবনুস সিম্মা আমর ইবনুল আস ও আবূ বকরাহ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এটি উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ لَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِبْرِيلَ فَقَالَ ‏ "‏ يَا جِبْرِيلُ إِنِّي بُعِثْتُ إِلَى أُمَّةٍ أُمِّيِّينَ مِنْهُمُ الْعَجُوزُ وَالشَّيْخُ الْكَبِيرُ وَالْغُلاَمُ وَالْجَارِيَةُ وَالرَّجُلُ الَّذِي لَمْ يَقْرَأْ كِتَابًا قَطُّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ وَأُمِّ أَيُّوبَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَبِي أَيُّوبَ وَسَمُرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي جُهَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ وَعَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَأَبِي بَكْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا الحسن بن موسى، حدثنا شيبان، عن عاصم، عن زر بن حبيش، عن ابى بن كعب، قال لقي رسول الله صلى الله عليه وسلم جبريل فقال ‏ "‏ يا جبريل اني بعثت الى امة اميين منهم العجوز والشيخ الكبير والغلام والجارية والرجل الذي لم يقرا كتابا قط ‏"‏ ‏.‏ قال يا محمد ان القران انزل على سبعة احرف ‏.‏ وفي الباب عن عمر وحذيفة بن اليمان وام ايوب وهي امراة ابي ايوب وسمرة وابن عباس وابي هريرة وابي جهيم بن الحارث بن الصمة وعمرو بن العاص وابي بكرة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن ابى بن كعب ‏.‏


Narrated Ubayy bin Ka'b:
"The Messenger of Allah (ﷺ) met Jibra'il and said: 'O Jibra'il! I have been sent to an illiterate nation among whom are the elderly woman, the old man, the boy and the girl, and the man who cannot read a book at all.' He said: 'O Muhammad! Indeed the Qur'an was revealed in seven modes.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১২. (মু'মিনের দোষ গোপন রাখা ও তাকে সাহায্য করা)

২৯৪৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনিয়াতে যে লোক তার কোন ভাইয়ের একটি বিপদ দূর করবে, কিয়ামতের দিবসে আল্লাহ তা’আলা তার একটি বিপদ দূর করবেন। আর কোন মুসলিমের দোষ-ত্রুটি যে লোক গোপন রাখবে, আল্লাহ তা’আলা ইহকালে ও পরকালে তার দোষ গোপন রাখবেন। কোন অভাবীর কষ্ট যে ব্যক্তি দূর করবে, ইহকালে ও পরকালে তার কষ্ট আল্লাহ তা’আলা দূর করবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা বান্দার সহায়তা করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার কোন ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।

যে লোক জ্ঞান অর্জনের পথে বের হয় আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। যখন কোন দল মসজিদে আল্লাহ তা’আলার কিতাব তিলাওয়াত এবং তা নিয়ে পরস্পর আলোচনা করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয়, (আল্লাহ তা’আলার) রহমত তাদের ঢেকে ফেলে এবং ফেরেশতারা তাদের ঘিরে রাখে। কৃতকর্ম যাকে পিছিয়ে দেয় বংশ মর্যাদা তাকে অগ্রসর করতে পারে না।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২৫), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, একাধিক বর্ণনাকারী এভাবেই আমাশের সূত্রে-আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) আমাশের সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমার নিকট আবূ সালিহ-আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে...তারপর এ হাদীসের কোন কোন অংশ বর্ণনা করেন।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ نَفَّسَ عَنْ أَخِيهِ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلَى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللَّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا قَعَدَ قَوْمٌ فِي مَسْجِدٍ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَيَتَدَارَسُونَهُ بَيْنَهُمْ إِلاَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمُ الْمَلاَئِكَةُ وَمَنْ أَبْطَأَ بِهِ عَمَلُهُ لَمْ يُسْرِعْ بِهِ نَسَبُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا الْحَدِيثِ وَرَوَى أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ حُدِّثْتُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ بَعْضَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو اسامة، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من نفس عن اخيه كربة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب يوم القيامة ومن ستر مسلما ستره الله في الدنيا والاخرة ومن يسر على معسر يسر الله عليه في الدنيا والاخرة والله في عون العبد ما كان العبد في عون اخيه ومن سلك طريقا يلتمس فيه علما سهل الله له طريقا الى الجنة وما قعد قوم في مسجد يتلون كتاب الله ويتدارسونه بينهم الا نزلت عليهم السكينة وغشيتهم الرحمة وحفتهم الملاىكة ومن ابطا به عمله لم يسرع به نسبه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا روى غير واحد عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم مثل هذا الحديث وروى اسباط بن محمد عن الاعمش قال حدثت عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فذكر بعض هذا الحديث ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever alleviates a burden among the burdens of the world for his brother, Allah alleviates a burden among the burdens of the Day of Judgement for him. And whoever covers (the faults) of a Muslim, Allah covers him in the world and in the Hereafter. And whoever makes things easy for one in dire straits, Allah makes things easy for him in the world and the Hereafter. Allah is helping as long as the (His) Slave is helping his brother. And whoever takes a path to gain knowledge, Allah makes a path to Paradise easy for him. And no people sit in a Masjid reciting Allah's Book, studying it among themselves, except that tranquility descends upon them and they are enveloped in the mercy, and surrounded by the angels. And whoever is slow in his deeds, his lineage shall not speed him up."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
২৯৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১৩. (কুরআন খতমের সময়সীমা)

২৯৪৬। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কত দিনে কুরআন শেষ করব? তিনি বলেনঃ এক মাসে তা শেষ করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতে বেশি পাঠ করতে পারি (আরো কম দিনে শেষ করতে পারি)। তিনি বললেনঃ তাহলে বিশ দিনে শেষ করবে। আমি বললাম, আমি এর চাইতেও বেশি পাঠ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তাহলে পনের দিনে তা শেষ করবে। আমি আবার বললাম, আমি এর চাইতেও কম সময়ে শেষ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তাহলে দশ দিনে তা শেষ করবে। আমি আবার বললাম, আমি এর চাইতেও বেশি পাঠ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তাহলে পাঁচ দিনে তা শেষ করবে। আমি আবার বললাম, আমি আরো বেশি পাঠ করতে পারি। তিনি (রাবী) বলেন, এর চাইতে কম দিনে পাঠ করতে তিনি আমাকে সম্মতি দেননি।

সনদ দুর্বল। নাসাঈতে ৫ দিনের উল্লেখ ব্যতীত অনুরূপ বর্ণনা আছে। সহীহ আবূ দাউদ (১২৫৫), সহীহ বর্ণনা আছে তিনি তাকে বলেছেনঃ প্রতি তিন দিনে কুরআন পাঠ (শেষ) কর। সহীহ আবূ দাউদ (১২৬০)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আবূ বুরদা হতে আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসাবে একে গারীব বিবেচনা করা হয়। অন্য বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি তিনদিনের কমে কুরআন শেষ করে সে কুরআন বুঝেনি”।

অধিকন্ত আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেনঃ “তুমি চল্লিশ দিনে কুরআন শেষ করবে"। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসের কারণে আমরা কারো জন্য কুরআন শেষ করতে ৪০ দিনের অধিক সময় লাগানো পছন্দ করি না।

কিছু আলিমের মতে তিন দিনের কম সময়ে কুরআন শেষ করা সঙ্গত নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে সর্বনিম্ন তিন দিনের কথা উল্লেখ আছে। কিছু সংখ্যক আলিম তিন দিনের কম সময়ে কুরআন শেষ করার সম্মতি দিয়েছেন।

বর্ণিত আছে যে, উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) বিতরের শেষ রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করতেন। আরো বর্ণিত আছে যে, সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাহঃ) কা’বা শরীফে এক রাকাআতে সম্পূর্ণ কুরআন শেষ করেছেন। তবে ধীরেসুস্থে সহীহশুদ্ধ করে কুরআন তিলাওয়াত করা সকল আলিমদের মতে বেশি পছন্দনীয়।

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي كَمْ أَقْرَأُ الْقُرْآنَ قَالَ ‏"‏ اخْتِمْهُ فِي شَهْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اخْتِمْهُ فِي عِشْرِينَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اخْتِمْهُ فِي خَمْسَةَ عَشَرَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اخْتِمْهُ فِي عَشْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اخْتِمْهُ فِي خَمْسٍ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ ‏.‏ قَالَ فَمَا رَخَّصَ لِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لَمْ يَفْقَهْ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ ‏"‏ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ ‏"‏ اقْرَإِ الْقُرْآنَ فِي أَرْبَعِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَلاَ نُحِبُّ لِلرَّجُلِ أَنْ يَأْتِيَ عَلَيْهِ أَكْثَرُ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا وَلَمْ يَقْرَإِ الْقُرْآنَ لِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يُقْرَأُ الْقُرْآنُ فِي أَقَلَّ مِنْ ثَلاَثٍ لِلْحَدِيثِ الَّذِي رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَخَّصَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَرُوِيَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فِي رَكْعَةٍ يُوتِرُ بِهَا وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ قَرَأَ الْقُرْآنَ فِي رَكْعَةٍ فِي الْكَعْبَةِ وَالتَّرْتِيلُ فِي الْقِرَاءَةِ أَحَبُّ إِلَى أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏

حدثنا عبيد بن اسباط بن محمد القرشي، حدثنا ابي، عن مطرف، عن ابي اسحاق، عن ابي بردة، عن عبد الله بن عمرو، قال قلت يا رسول الله في كم اقرا القران قال ‏"‏ اختمه في شهر ‏"‏ ‏.‏ قلت اني اطيق افضل من ذلك ‏.‏ قال ‏"‏ اختمه في عشرين ‏"‏ ‏.‏ قلت اني اطيق افضل من ذلك ‏.‏ قال ‏"‏ اختمه في خمسة عشر ‏"‏ ‏.‏ قلت اني اطيق افضل من ذلك ‏.‏ قال ‏"‏ اختمه في عشر ‏"‏ ‏.‏ قلت اني اطيق افضل من ذلك ‏.‏ قال ‏"‏ اختمه في خمس ‏"‏ ‏.‏ قلت اني اطيق افضل من ذلك ‏.‏ قال فما رخص لي ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه يستغرب من حديث ابي بردة عن عبد الله بن عمرو ‏.‏ وقد روي هذا الحديث من غير وجه عن عبد الله بن عمرو وروي عن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لم يفقه من قرا القران في اقل من ثلاث ‏"‏ ‏.‏ وروي عن عبد الله بن عمرو ان النبي صلى الله عليه وسلم قال له ‏"‏ اقرا القران في اربعين ‏"‏ ‏.‏ قال اسحاق بن ابراهيم ولا نحب للرجل ان ياتي عليه اكثر من اربعين يوما ولم يقرا القران لهذا الحديث ‏.‏ وقال بعض اهل العلم لا يقرا القران في اقل من ثلاث للحديث الذي روي عن النبي صلى الله عليه وسلم ورخص فيه بعض اهل العلم وروي عن عثمان بن عفان انه كان يقرا القران في ركعة يوتر بها وروي عن سعيد بن جبير انه قرا القران في ركعة في الكعبة والترتيل في القراءة احب الى اهل العلم ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin 'Amr :
"I said: 'O Messenger of Allah! In how much time may I recite the Qur'an?' He said: 'Complete it in one month.' I said: 'I am able to do more than that.' He said: 'Then complete it in twenty (days).' I said: 'I am able to do more than that.' He said: 'Then finish it in fifteen (days).' I said: 'I am able to do more than that.' He said: 'Finish it in ten (days).' I said: 'I am able to do more than that.' He said: 'Finish it in five (days).' I said: 'I am able to do more than that.'" He ('Abdullah bin 'Amr) said: "But he did not permit me."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৩/ কিরআত (كتاب القراءات عن رسول الله ﷺ) 43. Chapters on Recitation
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »