আল-লুলু ওয়াল মারজান ৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৩৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৬/১. মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা কসর করা।

৩৯৮. উম্মু’ল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা মুকীম অবস্থায় ও সফরে দু’ রাক’আত করে সালাত ফারয (ফরয) করেছিলেন। পরে সফরের সালাত আগের মত রাখা হয় আর মুকীম অবস্থার সালাত বাড়িয়ে দেয়া হয়।

صلاة المسافرين وقصرها

حَدِيْثُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ قَالَتْ فَرَضَ اللهُ الصَّلاَةَ حِينَ فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلاَةِ الْحَضَرِ

حديث عاىشة ام المومنين قالت فرض الله الصلاة حين فرضها ركعتين ركعتين في الحضر والسفر فاقرت صلاة السفر وزيد في صلاة الحضر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৩৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৬/১. মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা কসর করা।

৩৯৯. হাফস ইবনু আসিম (রহ.) হতে বর্ণিত, ইবনু ’উমার (রাযি.) বলেন, কোন এক সফরে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্যে থেকেছি, সফরে তাঁকে নফল সালাত আদায় করতে দেখিনি এবং আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ ’’নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’’ (আহযাবঃ ২১১)

صلاة المسافرين وقصرها

حَدِيْثُ ابْنُ عُمَرَ عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فَقَالَ صَحِبْتُ النَّبِيَّ ﷺ فَلَمْ أَرَهُ يُسَبِّحُ فِي السَّفَرِ وَقَالَ اللهُ جَلَّ ذِكْرُهُ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

حديث ابن عمر عن حفص بن عاصم قال حدثنا ابن عمر رضي الله عنهما فقال صحبت النبي ﷺ فلم اره يسبح في السفر وقال الله جل ذكره لقد كان لكم في رسول الله اسوة حسنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০০

পরিচ্ছেদঃ ৬/১. মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা কসর করা।

৪০০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদীনায় যুহরের সালাত চার রাক’আত আদায় করেছি এবং যুল-হুলাইফায় ’আসরের সালাত দু’ রাক’আত আদায় করেছি।

صلاة المسافرين وقصرها

حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّيْتُ الظُّهْرَ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ

حديث انس بن مالك رضي الله عنه قال صليت الظهر مع النبي ﷺ بالمدينة اربعا وبذي الحليفة ركعتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০১

পরিচ্ছেদঃ ৬/১. মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা কসর করা।

৪০১. আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মদীনাহ ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাক’আত, দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস (রাযি.)-কে বললাম, আপনারা মক্কাহ্য় কত দিন ছিলেন? তিনি বললেন, আমরা সেখানে দশ দিন ছিলাম।

صلاة المسافرين وقصرها

حَدِيْثُ أَنَسٍ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ ﷺ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى مَكَّةَ فَكَانَ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ حَتَّى رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ
(راوي يحي بن أبي إسحاق) قُلْتُ أَقَمْتُمْ بِمَكَّةَ شَيْئًا قَالَ أَقَمْنَا بِهَا عَشْرًا

حديث انس قال خرجنا مع النبي ﷺ من المدينة الى مكة فكان يصلي ركعتين ركعتين حتى رجعنا الى المدينة (راوي يحي بن ابي اسحاق) قلت اقمتم بمكة شيىا قال اقمنا بها عشرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০২

পরিচ্ছেদঃ ৬/২. মিনায় সালাত কসর করা।

৪০২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর এবং ’উমার (রাযি.)-এর সঙ্গে মিনায় দু’রাক’আত সালাত আদায় করেছি। ’উসমান (রাযি.)-এর সঙ্গেও তাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে দু’রাক’আত আদায় করেছি। অতঃপর তিনি পূর্ণ সালাত আদায় করতে লাগলেন।

قصر الصلاة بمنى

حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَمَعَ عُثْمَانَ صَدْرًا مِنْ إِمَارَتِهِ ثُمَّ أَتَمَّهَا

حديث عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال صليت مع النبي ﷺ بمنى ركعتين وابي بكر وعمر ومع عثمان صدرا من امارته ثم اتمها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৩

পরিচ্ছেদঃ ৬/২. মিনায় সালাত কসর করা।

৪০৩. হারিসাহ ইবনু ওয়াহ্ব খুযা’য়ী (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে মিনাতে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। এ সময় আমরা আগের তুলনায় সংখ্যায় বেশি ছিলাম এবং অতি নিরাপদে ছিলাম।

قصر الصلاة بمنى

حَدِيْثُ حَارِثَةَ بْنِ وَهْبٍ الْخُزَاعِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ ﷺ وَنَحْنُ أَكْثَرُ مَا كُنَّا قَطُّ وَآمَنُهُ بِمِنًى رَكْعَتَيْنِ

حديث حارثة بن وهب الخزاعي رضي الله عنه قال صلى بنا النبي ﷺ ونحن اكثر ما كنا قط وامنه بمنى ركعتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৪

পরিচ্ছেদঃ ৬/৩. বৃষ্টির কারণে আবাসস্থলে সালাত আদায় করা।

৪০৪. নাফি’ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাযি.) একদা তীব্র শীত ও বাতাসের রাতে সালাতের আযান দিলেন। অতঃপর ঘোষণা করলেন, প্রত্যেকেই নিজ নিজ আবাসস্থলে সালাত আদায় করে নাও, অতঃপর তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচন্ড শীত ও বৃষ্টির রাত হলে মুআযযিনকে এ কথা বলার নির্দেশ দিতেন- ’’প্রত্যেকে নিজ নিজ আবাসস্থলে সালাত আদায় করে নাও।’’

الصلاة في الرحال في المطر

حَدِيْثُ ابْنَ عُمَرَ أَنَّهُ أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ ثُمَّ قَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ ذَاتُ بَرْدٍ وَمَطَرٍ يَقُولُ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ

حديث ابن عمر انه اذن بالصلاة في ليلة ذات برد وريح ثم قال الا صلوا في الرحال ثم قال ان رسول الله ﷺ كان يامر الموذن اذا كانت ليلة ذات برد ومطر يقول الا صلوا في الرحال

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৫

পরিচ্ছেদঃ ৬/৩. বৃষ্টির কারণে আবাসস্থলে সালাত আদায় করা।

৪০৫. ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি তাঁর মুয়াযযিনকে এক প্রবল বর্ষণের দিনে বললেন, যখন তুমি (আযানে) ’আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ বলবে, তখন ’হাইয়া আলাস্ সালাহ্’ বলবে না, বলবে, ’’সাল্লু ফী বুয়ুতিকুম’’ তোমরা নিজ নিজ বাসগৃহে সালাত আদায় কর। তা লোকেরা অপছন্দ করল। তখন তিনি বললেনঃ আমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিই (রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা করেছেন। জুমু’আহ নিঃসন্দেহে জরুরী। আমি অপছন্দ করি, তোমাদেরকে মাটি ও কাদার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার অসুবিধায় ফেলতে।

الصلاة في الرحال في المطر

حَدِيْثُ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ لِمُؤَذِّنِهِ فِي يَوْمٍ مَطِيرٍ إِذَا قُلْتَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ فَلاَ تَقُلْ حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ قُلْ صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ فَكَأَنَّ النَّاسَ اسْتَنْكَرُوا قَالَ فَعَلَهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي إِنَّ الْجُمْعَةَ عَزْمَةٌ وَإِنِّي كَرِهْتُ أَنْ أُحْرِجَكُمْ فَتَمْشُونَ فِي الطِّينِ وَالدَّحَضِ

حديث ابن عباس قال لموذنه في يوم مطير اذا قلت اشهد ان محمدا رسول الله فلا تقل حي على الصلاة قل صلوا في بيوتكم فكان الناس استنكروا قال فعله من هو خير مني ان الجمعة عزمة واني كرهت ان احرجكم فتمشون في الطين والدحض

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৬

পরিচ্ছেদঃ ৬/৪. সফরে যানবাহনের উপর নফল সালাত বৈধ মুখ যে দিকেই থাক।

৪০৬. ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ফারয (ফরয) সালাত ব্যতীত তাঁর সওয়ারী হতেই ইঙ্গিতে রাতের সালাত আদায় করতেন। সওয়ারী যে দিকেই ফিরুক না কেন, আর তিনি বাহনের উপরেই বিতর আদায় করতেন।

جواز صلاة النافلة على الدابة في السفر حيث توجهت

حَدِيْثُ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي فِي السَّفَرِ عَلَى رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ يُومِئُ إِيمَاءً صَلاَةَ اللَّيْلِ إِلاَّ الْفَرَائِضَ وَيُوتِرُ عَلَى رَاحِلَتِهِ

حديث ابن عمر قال كان النبي ﷺ يصلي في السفر على راحلته حيث توجهت به يومى ايماء صلاة الليل الا الفراىض ويوتر على راحلته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৭

পরিচ্ছেদঃ ৬/৪. সফরে যানবাহনের উপর নফল সালাত বৈধ মুখ যে দিকেই থাক।

৪০৭. ’আমির (ইবনু রাবী’আহ) হতে বর্ণিত, তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে রাতের বেলা সফরে বাহনের পিঠে বাহনের গতিমুখী হয়ে নফল সালাত আদায় করতে দেখেছেন।

جواز صلاة النافلة على الدابة في السفر حيث توجهت

حَدِيْثُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ ﷺ صَلَّى السُّبْحَةَ بِاللَّيْلِ فِي السَّفَرِ عَلَى ظَهْرِ رَاحِلَتِهِ حَيْثُ تَوَجَّهَتْ بِهِ

حديث عامر بن ربيعة انه راى النبي ﷺ صلى السبحة بالليل في السفر على ظهر راحلته حيث توجهت به

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৮

পরিচ্ছেদঃ ৬/৪. সফরে যানবাহনের উপর নফল সালাত বৈধ মুখ যে দিকেই থাক।

৪০৮. আনাস ইবনু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) যখন শাম (সিরিয়া) হতে ফিরে আসছিলেন, তখন আমরা তাঁকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। আইনুত্ তামর (নামক) স্থানে আমরা তাঁর সাক্ষাৎ পেলাম। তখন আমি তাঁকে দেখলাম গাধার পিঠে (আরোহী অবস্থায়) সামনের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছেন। অর্থাৎ কিবলার বাম দিকে মুখ করে। তখন তাঁকে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনাকে তো দেখলাম কিবলা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।

جواز صلاة النافلة على الدابة في السفر حيث توجهت

حَدِيْثُ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنُ سِيرِينَ قَالَ اسْتَقْبَلْنَا أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ حِينَ قَدِمَ مِنْ الشَّأْمِ فَلَقِينَاهُ بِعَيْنِ التَّمْرِ فَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي عَلَى حِمَارٍ وَوَجْهُهُ مِنْ ذَا الْجَانِبِ يَعْنِي عَنْ يَسَارِ الْقِبْلَةِ فَقُلْتُ رَأَيْتُكَ تُصَلِّي لِغَيْرِ الْقِبْلَةِ فَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَعَلَهُ لَمْ أَفْعَلْهُ

حديث انس عن انس بن سيرين قال استقبلنا انس بن مالك حين قدم من الشام فلقيناه بعين التمر فرايته يصلي على حمار ووجهه من ذا الجانب يعني عن يسار القبلة فقلت رايتك تصلي لغير القبلة فقال لولا اني رايت رسول الله ﷺ فعله لم افعله

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪০৯

পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. সফরে দু' সালাত একত্রে আদায় বৈধ।

৪০৯. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি সফরে ব্যস্ততার কারণে তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেছেন, এমনকি মাগরিব ও ’ইশার সালাত একত্রে আদায় করেছেন।

جواز الجمع بين الصلاتين في السفر

حَدِيْثُ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ

حديث بن عمر رضي الله عنهما قال رايت رسول الله ﷺ اذا اعجله السير في السفر يوخر المغرب حتى يجمع بينها وبين العشاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১০

পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. সফরে দু' সালাত একত্রে আদায় বৈধ।

৪১০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহরের সালাত বিলম্বিত করতেন। অতঃপর অবতরণ করে দু’ সালাত একসাথে আদায় করতেন। আর যদি সফর শুরু করার পূর্বেই সূর্য ঢলে পড়তো তাহলে যুহরের সালাত আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে চড়তেন।

جواز الجمع بين الصلاتين في السفر

حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا ارْتَحَلَ قَبْلَ أَنْ تَزِيغَ الشَّمْسُ أَخَّرَ الظُّهْرَ إِلَى وَقْتِ الْعَصْرِ ثُمَّ نَزَلَ فَجَمَعَ بَيْنَهُمَا فَإِنْ زَاغَتْ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَرْتَحِلَ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ

حديث انس بن مالك قال كان رسول الله ﷺ اذا ارتحل قبل ان تزيغ الشمس اخر الظهر الى وقت العصر ثم نزل فجمع بينهما فان زاغت الشمس قبل ان يرتحل صلى الظهر ثم ركب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১১

পরিচ্ছেদঃ ৬/৬. বাড়িতে অবস্থানকালে দু’ সালাত একত্রে আদায়।

৪১১. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আট রাক’আত একত্রে (যুহর ও আসরের) এবং সাত রাক-আত একত্রে (মাগরিব-ইশার) সালাত আদায় করেছি। (তাই সে ক্ষেত্রে যুহর ও মাগরিবের পর সুন্নাত আদায় করা হয়নি।)

الجمع بين الصلاتين في الحضر

حَدِيْثُ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ ثَمَانِيًا جَمِيعًا وَسَبْعًا جَمِيعًا

حديث ابن عباس رضي الله عنهما قال صليت مع رسول الله ﷺ ثمانيا جميعا وسبعا جميعا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১২

পরিচ্ছেদঃ ৬/৭. সালাত শেষে ডান ও বাম উভয় দিক দিয়েই মুখ ফিরিয়ে বসা বৈধ।

৪১২. আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাসঊদ) (রাযি.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন স্বীয় সালাতের কোন কিছু শয়তানের জন্য না করে। তা হল, শুধুমাত্র ডান দিকে ফিরা আবশ্যক মনে করা। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অধিকাংশ সময়ই বাম দিকে ফিরতে দেখেছি।

جواز الانصراف من الصلاة عن اليمين والشمال

حَدِيْثُ عَبْدُ اللهِ بن مسعود قَالَ لاَ يَجْعَلْ أَحَدُكُمْ لِلشَّيْطَانِ شَيْئًا مِنْ صَلَاتِهِ يَرَى أَنَّ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَنْصَرِفَ إِلاَّ عَنْ يَمِينِهِ لَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ كَثِيرًا يَنْصَرِفُ عَنْ يَسَارِهِ

حديث عبد الله بن مسعود قال لا يجعل احدكم للشيطان شيىا من صلاته يرى ان حقا عليه ان لا ينصرف الا عن يمينه لقد رايت النبي ﷺ كثيرا ينصرف عن يساره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসওয়াদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১৩

পরিচ্ছেদঃ ৬/৯. ইক্বামাত আরম্ভ হওয়ার পর নফল সালাত আরম্ভ করা অপছন্দনীয়।

৪১৩. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মালিক ইবনু বুহাইনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে গেলেন। অন্য সূত্রে ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, ’আবদুর রহমান (রহ.) .... হাফস ইবনু আসিম (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মালিক ইবনু বুহাইনা নামক আযদ গোত্রীয় এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি যে, রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতে দেখলেন। তখন ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হয়ে গেছে। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শেষ করলেন, লোকেরা সে লোকটিকে ঘিরে ফেলল। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ ফাজর কি চার রাক’আত? ফাজর কি চার রাক’আত?

كراهة الشروع في نافلة بعد شروع المؤذن

حَدِيْثُ عبد الله مَالِكُ ابْنُ بُحَيْنَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ رَأَى رَجُلًا وَقَدْ أُقِيمَتْ الصَّلاَةُ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَاثَ بِهِ النَّاسُ وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ الصُّبْحَ أَرْبَعًا الصُّبْحَ أَرْبَعًا

حديث عبد الله مالك ابن بحينة ان رسول الله ﷺ راى رجلا وقد اقيمت الصلاة يصلي ركعتين فلما انصرف رسول الله ﷺ لاث به الناس وقال له رسول الله ﷺ الصبح اربعا الصبح اربعا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১৪

পরিচ্ছেদঃ ৬/১১. তাহিয়াতুল মসজিদ দু' রাক’আত আদায় করা বাঞ্ছনীয় এবং তা আদায়ের পূর্বে বসা অপছন্দনীয় এবং যে কোন সময় তা পড়া বৈধ।

৪১৪. আবূ কাতাদাহ্ সালামী (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন বসার পূর্বে দু’রাক’আত সালাত আদায় করে নেয়।

استحباب تحية المسجد بركعتين وكراهة الجلوس قبل صلاتهما وأنها مشروعة في جميع الأوقات

حَدِيْثُ أَبِي قَتَادَةَ السَّلَمِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمْ الْمَسْجِدَ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَجْلِسَ

حديث ابي قتادة السلمي ان رسول الله ﷺ قال اذا دخل احدكم المسجد فليركع ركعتين قبل ان يجلس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১৫

পরিচ্ছেদঃ ৬/১২. সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে প্রথমে মসজিদে দু’ রাক আত সালাত আদায় করা মুস্তাহাব।

৪১৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমার উটটি অত্যন্ত ধীরে চলছিল বরং চলতে অক্ষম হয়ে পড়েছিল। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন এবং বললেন, জাবির? আমি বললাম, জী। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার অবস্থা কী? আমি বললাম, আমার উট আমাকে নিয়ে অত্যন্ত ধীরে চলছে এবং অক্ষম হয়ে পড়ছে।

আমি পরের দিন মসজিদে নাববীতে গিয়ে তাঁকে দরজার সামনে পেলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এখন এলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার উটটি রাখ এবং মসজিদে প্রবেশ করে দু’রাক’আত সালাত আদায় কর। আমি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করলাম।

استحباب الركعتين في المسجد لمن قدم من سفر أول قدومه

حَدِيْثُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ ﷺ فِي غَزَاةٍ فَأَبْطَأَ بِي جَمَلِي وَأَعْيَا فَأَتَى عَلَيَّ النَّبِيُّ ﷺ فَقَالَ جَابِرٌ فَقُلْتُ نَعَمْ قَالَ مَا شَأْنُكَ قُلْتُ أَبْطَأَ عَلَيَّ جَمَلِي وَأَعْيَا
وَقَدِمْتُ بِالْغَدَاةِ فَجِئْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَجَدْتُهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ قَالَ أَالْآنَ قَدِمْتَ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ فَدَعْ جَمَلَكَ فَادْخُلْ فَصَلِّ رَكْعَتَيْنِ فَدَخَلْتُ فَصَلَّيْتُ

حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال كنت مع النبي ﷺ في غزاة فابطا بي جملي واعيا فاتى علي النبي ﷺ فقال جابر فقلت نعم قال ما شانك قلت ابطا علي جملي واعيا وقدمت بالغداة فجىنا الى المسجد فوجدته على باب المسجد قال االان قدمت قلت نعم قال فدع جملك فادخل فصل ركعتين فدخلت فصليت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১৬

পরিচ্ছেদঃ ৬/১৩. চাশতের সালাত মুস্তাহাব এবং তার সর্বনিম্ন পরিমাণ দুরাকআত। সর্বোচ্চ পরিমাণ আট রাকআত, মধ্যম পরিমাণ চার বা ছয় রাকাআত এবং এই সলতি সংরক্ষণের প্রতি উৎসাহ প্রদান।

৪১৬. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ’আমল করা পছন্দ করতেন, সে ’আমল কোন কোন সময় এ আশঙ্কায় ছেড়েও দিতেন যে, সে ’আমল করতে থাকবে, ফলে তাদের উপর তা ফারয (ফরয) হয়ে যাবে। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাশতের সালাত আদায় করেননি। আমি সে সালাত আদায় করি।

استحباب صلاة الضحى وأن أقلها ركعتان

حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ إِنْ كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لَيَدَعُ الْعَمَلَ وَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ خَشْيَةَ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ النَّاسُ فَيُفْرَضَ عَلَيْهِمْ وَمَا سَبَّحَ رَسُولُ اللهِ ﷺ سُبْحَةَ الضُّحَى قَطُّ وَإِنِّي لَأُسَبِّحُهَا

حديث عاىشة رضي الله عنها قالت ان كان رسول الله ﷺ ليدع العمل وهو يحب ان يعمل به خشية ان يعمل به الناس فيفرض عليهم وما سبح رسول الله ﷺ سبحة الضحى قط واني لاسبحها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
৪১৭

পরিচ্ছেদঃ ৬/১৩. চাশতের সালাত মুস্তাহাব এবং তার সর্বনিম্ন পরিমাণ দুরাকআত। সর্বোচ্চ পরিমাণ আট রাকআত, মধ্যম পরিমাণ চার বা ছয় রাকাআত এবং এই সলতি সংরক্ষণের প্রতি উৎসাহ প্রদান।

৪১৭. ইবনু আবূ লায়লাহ (রহ.) হতে বর্ণিত, উম্মু হানী (রাযি.) ব্যতীত অন্য কেউ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতুয্ যুহা (পূর্বাহ্নের সালাত) আদায় করতে দেখেছেন বলে আমাদের জানাননি। তিনি [উম্মে হানী (রাযি.)] বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাহ্ বিজয়ের দিন তাঁর ঘরে গোসল করার পর আট রাক’আত সালাত আদায় করেছেন। আমি তাঁকে এর থেকে সংক্ষিপ্ত কোন সালাত আদায় করতে দেখিনি, তবে তিনি রুকূ’ ও সিজদা্ পূর্ণভাবে আদায় করেছিলেন।

استحباب صلاة الضحى وأن أقلها ركعتان

حَدِيْثُ أُمِّ هَانِئٍ عَنْ ابْنِ أَبِي لَيْلَى قَالَ مَا أَخْبَرَنَا أَحَدٌ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ ﷺ صَلَّى الضُّحَى غَيْرُ أُمِّ هَانِئٍ ذَكَرَتْ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ اغْتَسَلَ فِي بَيْتِهَا فَصَلَّى ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ فَمَا رَأَيْتُهُ صَلَّى صَلاَةً أَخَفَّ مِنْهَا غَيْرَ أَنَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ

حديث ام هانى عن ابن ابي ليلى قال ما اخبرنا احد انه راى النبي ﷺ صلى الضحى غير ام هانى ذكرت ان النبي ﷺ يوم فتح مكة اغتسل في بيتها فصلى ثماني ركعات فما رايته صلى صلاة اخف منها غير انه يتم الركوع والسجود

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬/ মুসাফির ব্যক্তির সালাত ও তা ক্বসর করার বর্ণনা (كتاب صلاة المسافرين وقصرها)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »