৬৫৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৮২/১. পরিচ্ছেদ নাই।

৬৫৯৪. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সত্যবাদী ও সত্যবাদী স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই আপন আপন মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত (শুক্র হিসেবে) জমা থাকে। তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন রক্তপিন্ড, তারপর ঐরকম চল্লিশ দিন মাংস পিন্ডাকারে থাকে। তারপর আল্লাহ্ একজন ফেরেশতা পাঠান এবং তাকে রিযিক, মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য- এ চারটি বিষয় লিখার জন্য আদেশ দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর কসম! তোমাদের মাঝে যে কেউ অথবা বলেছেন, কোন ব্যক্তি জাহান্নামীদের ’আমল করতে থাকে। এমনকি তার ও জাহান্নামের মাঝে মাত্র একহাত বা এক গজের তফাৎ থাকে।

এমন সময় তাক্দীর তার ওপর প্রাধান্য লাভ করে আর তখন সে জান্নাতীদের ’আমল করা শুরু করে দেয়। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি জান্নাতীদের ’আমল করতে থাকে। এমন কি তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাত বা দু’হাত তফাৎ থাকে। এমন সময় তাক্দীর তার উপর প্রাধান্য লাভ করে আর অমনি সে জাহান্নামীদের ’আমল শুরু করে দেয়। ফলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে। আবূ ’আবদুল্লাহ্ [বুখারী (রহ.)] বলেন যে, আদম তার বর্ণনায় কেবল ذِرَاعٌ (এক গজ) বলেছেন।[2] [৩২০৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪২)

بَاب

أَبُو الْوَلِيدِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَنْبَأَنِي سُلَيْمَانُ الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ وَهْبٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ قَالَ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ فِي بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا ثُمَّ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُونُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ مَلَكًا فَيُؤْمَرُ بِأَرْبَعٍ بِرِزْقِهِ وَأَجَلِهِ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيدٌ فَوَاللهِ إِنَّ أَحَدَكُمْ أَوْ الرَّجُلَ يَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ بَاعٍ أَوْ ذِرَاعٍ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُهَا وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُونُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا غَيْرُ ذِرَاعٍ أَوْ ذِرَاعَيْنِ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُهَا قَالَ آدَمُ إِلاَّ ذِرَاعٌ

ابو الوليد هشام بن عبد الملك حدثنا شعبة انباني سليمان الاعمش قال سمعت زيد بن وهب عن عبد الله قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق قال ان احدكم يجمع في بطن امه اربعين يوما ثم علقة مثل ذلك ثم يكون مضغة مثل ذلك ثم يبعث الله ملكا فيومر باربع برزقه واجله وشقي او سعيد فوالله ان احدكم او الرجل يعمل بعمل اهل النار حتى ما يكون بينه وبينها غير باع او ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل الجنة فيدخلها وان الرجل ليعمل بعمل اهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها غير ذراع او ذراعين فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل النار فيدخلها قال ادم الا ذراع


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ), the truthful and truly-inspired, said, "Each one of you collected in the womb of his mother for forty days, and then turns into a clot for an equal period (of forty days) and turns into a piece of flesh for a similar period (of forty days) and then Allah sends an angel and orders him to write four things, i.e., his provision, his age, and whether he will be of the wretched or the blessed (in the Hereafter). Then the soul is breathed into him. And by Allah, a person among you (or a man) may do deeds of the people of the Fire till there is only a cubit or an arm-breadth distance between him and the Fire, but then that writing (which Allah has ordered the angel to write) precedes, and he does the deeds of the people of Paradise and enters it; and a man may do the deeds of the people of Paradise till there is only a cubit or two between him and Paradise, and then that writing precedes and he does the deeds of the people of the Fire and enters it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৫৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৮২/১. পরিচ্ছেদ নাই।

৬৫৯৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ রেহেমে (মাতৃগর্ভে) একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, হে প্রতিপালক! এটি বীর্য। হে প্রতিপালক! এটি রক্তপিন্ড। হে প্রতিপালক! এটি মাংসপিন্ড। আল্লাহ্ যখন তার সৃষ্টি পূর্ণ করতে চান, তখন ফেরেশতা বলে, হে প্রতিপালক! এটি নর হবে, না নারী? এটি দুর্ভাগা হবে, না ভাগ্যবান? তার রিযক্ কী পরিমাণ হবে? তার জীবনকাল কী হবে? তখন (আল্লাহর নির্দেশমত) তার মায়ের পেটে থাকাকালে ঐ রকমই লিখে দেয়া হয়। [৩১৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৩)

بَاب

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَكَّلَ اللهُ بِالرَّحِمِ مَلَكًا فَيَقُولُ أَيْ رَبِّ نُطْفَةٌ أَيْ رَبِّ عَلَقَةٌ أَيْ رَبِّ مُضْغَةٌ فَإِذَا أَرَادَ اللهُ أَنْ يَقْضِيَ خَلْقَهَا قَالَ أَيْ رَبِّ أَذَكَرٌ أَمْ أُنْثَى أَشَقِيٌّ أَمْ سَعِيدٌ فَمَا الرِّزْقُ فَمَا الأَجَلُ فَيُكْتَبُ كَذَلِكَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ

سليمان بن حرب حدثنا حماد عن عبيد الله بن ابي بكر بن انس عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال وكل الله بالرحم ملكا فيقول اي رب نطفة اي رب علقة اي رب مضغة فاذا اراد الله ان يقضي خلقها قال اي رب اذكر ام انثى اشقي ام سعيد فما الرزق فما الاجل فيكتب كذلك في بطن امه


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah puts an angel in charge of the uterus and the angel says, 'O Lord, (it is) semen! O Lord, (it is now ) a clot! O Lord, (it is now) a piece of flesh.' And then, if Allah wishes to complete its creation, the angel asks, 'O Lord, (will it be) a male or a female? A wretched (an evil doer) or a blessed (doer of good)? How much will his provisions be? What will his age be?' So all that is written while the creature is still in the mother's womb."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৫৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৮২/২. আল্লাহর ইলম-মুতাবিক (লেখার পর) কলম শুকিয়ে গেছে।

(وَأَضَلَّهُ اللهُ عَلٰى عِلْمٍ) وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ لِي النَّبِيُّصَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَفَّ الْقَلَمُ بِمَا أَنْتَ لاَقٍ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (لَهَا سَابِقُونَ) سَبَقَتْ لَهُمْ السَّعَادَةُ

আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ জেনে শুনেই তাকে গুমরাহ করেছেন’’- (সূরাহ জাসিয়াহ ৪৫/২৩) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ যার সম্মুখীন তুমি হবে (তোমার যা ঘটবে) তা লেখার পর কলম শুকিয়ে গেছে। ইবনু ’আব্বাস(রাঃ) বলেছেন,(لَهَا سَابِقُوْنَ) তাদের উপর নেকবখতি প্রাধান্য বিস্তার করেছে।


৬৫৯৬. ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! জাহান্নামীদের থেকে জান্নাতীদেরকে চেনা যাবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। সে বলল, তাহলে ’আমলকারীরা ’আমল করবে কেন? তিনি বললেনঃ প্রতিটি লোক ঐ ’আমলই করে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অথবা যা তার জন্য সহজ করা হয়েছে। [৭৫৫১; মুসলিম ৩৮/১, হাঃ ২৬৪৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৪)

بَاب جَفَّ الْقَلَمُ عَلَى عِلْمِ اللهِ

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ الرِّشْكُ قَالَ سَمِعْتُ مُطَرِّفَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ الشِّخِّيرِ يُحَدِّثُ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُعْرَفُ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَلِمَ يَعْمَلُ الْعَامِلُونَ قَالَ كُلٌّ يَعْمَلُ لِمَا خُلِقَ لَهُ أَوْ لِمَا يُسِّرَ لَهُ

ادم حدثنا شعبة حدثنا يزيد الرشك قال سمعت مطرف بن عبد الله بن الشخير يحدث عن عمران بن حصين قال قال رجل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ايعرف اهل الجنة من اهل النار قال نعم قال فلم يعمل العاملون قال كل يعمل لما خلق له او لما يسر له


Narrated `Imran bin Husain:

A man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Can the people of Paradise be known (differentiated) from the people of the Fire; The Prophet (ﷺ) replied, "Yes." The man said, "Why do people (try to) do (good) deeds?" The Prophet said, "Everyone will do the deeds for which he has been created to do or he will do those deeds which will be made easy for him to do." (i.e. everybody will find easy to do such deeds as will lead him to his destined place for which he has been created).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৫৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৩. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ যা করবে এ সম্পর্কে আল্লাহ্ই সবচেয়ে বেশি জানেন।

৬৫৯৭. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মুশরিকদের নাবালিগ সন্তানাদি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে তিনি বললেন, তারা (বাঁচলে) কী ’আমল করত এ ব্যাপারে আল্লাহই সবচেয়ে বেশি জানেন। [১৩৮৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৫)

بَاب اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَوْلاَدِ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

محمد بن بشار حدثنا غندر حدثنا شعبة عن ابي بشر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس قال سىل النبي صلى الله عليه وسلم عن اولاد المشركين فقال الله اعلم بما كانوا عاملين


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) ; was asked about the offspring of the pagans. He said, "Allah knows what they would have done (were they to live).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৫৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৩. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ যা করবে এ সম্পর্কে আল্লাহ্ই সবচেয়ে বেশি জানেন।

৬৫৯৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মুশরিকদের নাবালিগ সন্তানাদি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ তারা যা করত এ ব্যাপারে আল্লাহ্ সবচেয়ে বেশি জানেন। [১৩৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৬)

بَاب اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ وَأَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَرَارِيِّ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

يحيى بن بكير حدثنا الليث عن يونس عن ابن شهاب قال واخبرني عطاء بن يزيد انه سمع ابا هريرة يقول سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذراري المشركين فقال الله اعلم بما كانوا عاملين


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) was asked about the offspring of the pagans. He said, "Allah knows what they would have done (were they to live)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৫৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৩. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ যা করবে এ সম্পর্কে আল্লাহ্ই সবচেয়ে বেশি জানেন।

৬৫৯৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন সন্তান যখন জন্ম লাভ করে, তখন স্বভাবধর্মের (ইসলামের) ওপরই জন্ম লাভ করে। অতঃপর তার পিতামাতা তাকে ইয়াহূদী বা নাসারা বানিয়ে দেয়। যেমন কোন চতুষ্পদ জন্তু যখন বাচ্চা প্রদান করে তখন কি কানকাটা দেখতে পাও যতক্ষণ না তোমরা তার কান কেটে দাও? [১৩৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৭)

بَاب اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ مَوْلُودٍ إِلاَّ يُولَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ وَيُنَصِّرَانِهِ كَمَا تُنْتِجُونَ الْبَهِيمَةَ هَلْ تَجِدُونَ فِيهَا مِنْ جَدْعَاءَ حَتَّى تَكُونُوا أَنْتُمْ تَجْدَعُونَهَا

اسحاق بن ابراهيم اخبرنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن همام عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما من مولود الا يولد على الفطرة فابواه يهودانه وينصرانه كما تنتجون البهيمة هل تجدون فيها من جدعاء حتى تكونوا انتم تجدعونها


Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "No child is born but has the Islamic Faith, but its parents turn it into a Jew or a Christian. It is as you help the animals give birth. Do you find among their offspring a mutilated one before you mutilate them yourself?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০০

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৩. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ যা করবে এ সম্পর্কে আল্লাহ্ই সবচেয়ে বেশি জানেন।

৬৬০০. তখন সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! নাবালিগ অবস্থায় যে মারা যায় তার সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেনঃ তারা যা করত এ ব্যাপারে আল্লাহ্ সবচেয়ে বেশি জানেন। [১৩৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৭)

بَاب اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ أَفَرَأَيْتَ مَنْ يَمُوتُ وَهُوَ صَغِيرٌ قَالَ اللهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا عَامِلِينَ

قالوا يا رسول الله افرايت من يموت وهو صغير قال الله اعلم بما كانوا عاملين


The people said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What do you think about those (of them) who die young?" The Prophet (ﷺ) said, "Allah knows what they would have done (were they to live)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০১

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৩৮)

৬৬০১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন নারী নিজে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে যেন অন্য নারীর তালাক না চায়। কেননা, তার জন্য (তাকদীরে) যা নির্ধারিত আছে তাই সে পাবে। [২১৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৮)

بَاب: {وَكَانَ أَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَقْدُوْرًا}

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَسْأَلْ الْمَرْأَةُ طَلاَقَ أُخْتِهَا لِتَسْتَفْرِغَ صَحْفَتَهَا وَلْتَنْكِحْ فَإِنَّ لَهَا مَا قُدِّرَ لَهَا

عبد الله بن يوسف اخبرنا مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تسال المراة طلاق اختها لتستفرغ صحفتها ولتنكح فان لها ما قدر لها


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "No woman should ask for the divorce of her sister (Muslim) so as to take her place, but she should marry the man (without compelling him to divorce his other wife), for she will have nothing but what Allah has written for her."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০২

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৩৮)

৬৬০২. উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে ছিলাম। তাঁর সঙ্গে সা’দ ইবনু ’উবাদাহ, ’উবাই ইব্ন কা’ব ও মু’আয ইবনু জাবালও ছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক কন্যার পাঠানো এক লোক খবর নিয়ে এলো যে, তাঁর পুত্র সন্তান মরণাপন্ন। তখন তিনি লোকটির মারফত কন্যাকে বলে পাঠালেন যে, আল্লাহর জন্যই- যা তিনি নিয়ে যান। আর আল্লাহর জন্যই- যা তিনি দান করেন। প্রত্যেকের জন্য একটি সময় নির্ধারিত রয়েছে। কাজেই সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং সাওয়াবের আশা করে। [১২৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৪৯)

بَاب: {وَكَانَ أَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَقْدُوْرًا}

مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أُسَامَةَ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ رَسُولُ إِحْدَى بَنَاتِهِ وَعِنْدَهُ سَعْدٌ وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ وَمُعَاذٌ أَنَّ ابْنَهَا يَجُودُ بِنَفْسِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهَا لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلِلَّهِ مَا أَعْطَى كُلٌّ بِأَجَلٍ فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ

مالك بن اسماعيل حدثنا اسراىيل عن عاصم عن ابي عثمان عن اسامة قال كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم اذ جاءه رسول احدى بناته وعنده سعد وابي بن كعب ومعاذ ان ابنها يجود بنفسه فبعث اليها لله ما اخذ ولله ما اعطى كل باجل فلتصبر ولتحتسب


Narrated Usama:

Once while I was with the Prophet (ﷺ) and Sa`d, Ubai bin Ka`b and Mu`adh were also sitting with him, there came to him a messenger from one of his daughters, telling him that her child was on the verge of death. The Prophet (ﷺ) told the messenger to tell her, "It is for Allah what He takes, and it is for Allah what He gives, and everything has its fixed time (limit). So (she should) be patient and look for Allah's reward."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৩

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৩৮)

৬৬০৩. আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় আনসারদের এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো বাঁদীদের সঙ্গে সংগত হই অথচ মালকে ভালবাসি। কাজেই ’আযল’র ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি এ কাজ কর? তোমাদের জন্য এটা করা আর না করা দুটোই সমান। কেননা, যে কোন জীবন যা পয়দা হওয়াকে আল্লাহ্ লিখে দিয়েছেন তা পয়দা হবেই। [২২২৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫০)

بَاب: {وَكَانَ أَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَقْدُوْرًا}

حِبَّانُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ الجُمَحِيُّ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم جَاءَ رَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّا نُصِيبُ سَبْيًا وَنُحِبُّ الْمَالَ كَيْفَ تَرَى فِي الْعَزْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَوَإِنَّكُمْ لَتَفْعَلُونَ ذَلِكَ لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا فَإِنَّهُ لَيْسَتْ نَسَمَةٌ كَتَبَ اللهُ أَنْ تَخْرُجَ إِلاَّ هِيَ كَائِنَةٌ

حبان بن موسى اخبرنا عبد الله اخبرنا يونس عن الزهري قال اخبرني عبد الله بن محيريز الجمحي ان ابا سعيد الخدري اخبره انه بينما هو جالس عند النبي صلى الله عليه وسلم جاء رجل من الانصار فقال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انا نصيب سبيا ونحب المال كيف ترى في العزل فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اوانكم لتفعلون ذلك لا عليكم ان لا تفعلوا فانه ليست نسمة كتب الله ان تخرج الا هي كاىنة


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

That while he was sitting with the Prophet (ﷺ) a man from the Ansar came and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We get slave girls from the war captives and we love property; what do you think about coitus interruptus?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do you do that? It is better for you not to do it, for there is no soul which Allah has ordained to come into existence but will be created."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৪

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৩৮)

৬৬০৪. হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাদের প্রতি এমন একটি ভাষণ প্রদান করলেন যাতে ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যা সংঘটিত হবে এমন কোন কথাই বাদ দেননি। এগুলো মনে রাখা যার সৌভাগ্য হয়েছে সে স্মরণ রেখেছে আর যে ভুলে যাবার সে ভুলে গেছে। আমি ভুলে যাওয়া কোন কিছু যখন দেখতে পাই তখন তা চিনতে পারি এভাবে যেমন, কোন ব্যক্তি কাউকে হারিয়ে ফেললে আবার যখন তাকে দেখতে পায় তখন চিনতে পারে। [মুসলিম ৫২/৬, হাঃ ২৮৯১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫১)

بَاب: {وَكَانَ أَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَقْدُوْرًا}

مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ لَقَدْ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خُطْبَةً مَا تَرَكَ فِيهَا شَيْئًا إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ إِلاَّ ذَكَرَهُ عَلِمَهُ مَنْ عَلِمَهُ وَجَهِلَهُ مَنْ جَهِلَهُ إِنْ كُنْتُ لأرَى الشَّيْءَ قَدْ نَسِيتُ فَأَعْرِفُ مَا يَعْرِفُ الرَّجُلُ إِذَا غَابَ عَنْهُ فَرَآهُ فَعَرَفَهُ

موسى بن مسعود حدثنا سفيان عن الاعمش عن ابي واىل عن حذيفة قال لقد خطبنا النبي صلى الله عليه وسلم خطبة ما ترك فيها شيىا الى قيام الساعة الا ذكره علمه من علمه وجهله من جهله ان كنت لارى الشيء قد نسيت فاعرف ما يعرف الرجل اذا غاب عنه فراه فعرفه


Narrated Hudhaifa:

The Prophet (ﷺ) once delivered a speech in front of us wherein he left nothing but mentioned (about) everything that would happen till the Hour. Some of us stored that our minds and some forgot it. (After that speech) I used to see events taking place (which had been referred to in that speech) but I had forgotten them (before their occurrence). Then I would recognize such events as a man recognizes another man who has been absent and then sees and recognizes him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৫

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৪. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহর বিধান সুনির্ধারণে নির্ধারিত। (সূরাহ আহযাব ৩৩/৩৮)

৬৬০৫. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন তাঁর সঙ্গে ছিল একটুকরা খড়ি। যা দিয়ে তিনি মাটির উপর দাগ টানছিলেন। তিনি তখন বললেনঃ তোমাদের মাঝে এমন কোন লোক নেই যার ঠিকানা জাহান্নামে বা জান্নাতে লেখা হয়নি। লোকদের ভিতর থেকে এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাহলে (এর উপর) নির্ভর করব না? তিনি বললেনঃ না, তোমরা ’আমল কর। কেননা, প্রত্যেকের জন্য ’আমল সহজ করে দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى الْآيَةَ। [১৩৬২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫২)

بَاب: {وَكَانَ أَمْرُ اللهِ قَدَرًا مَقْدُوْرًا}

عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمٰنِ السُّلَمِيِّ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ كُنَّا جُلُوسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ عُودٌ يَنْكُتُ فِي الأَرْضِ وَقَالَ مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ قَدْ كُتِبَ مَقْعَدُهُ مِنْ النَّارِ أَوْ مِنْ الْجَنَّةِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ أَلاَ نَتَّكِلُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ اعْمَلُوا فَكُلٌّ مُيَسَّرٌ ثُمَّ قَرَأَ فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى الْآيَةَ

عبدان عن ابي حمزة عن الاعمش عن سعد بن عبيدة عن ابي عبد الرحمن السلمي عن علي قال كنا جلوسا مع النبي صلى الله عليه وسلم ومعه عود ينكت في الارض وقال ما منكم من احد الا قد كتب مقعده من النار او من الجنة فقال رجل من القوم الا نتكل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا اعملوا فكل ميسر ثم قرا فاما من اعطى واتقى الاية


Narrated `Ali:

While we were sitting with the Prophet (ﷺ) who had a stick with which he was scraping the earth, he lowered his head and said, "There is none of you but has his place assigned either in the Fire or in Paradise." Thereupon a man from the people said, "Shall we not depend upon this, O Allah's Apostle?" The Prophet (ﷺ) said, "No, but carry on and do your deeds, for everybody finds it easy to do such deeds (as will lead him to his place)." The Prophet (ﷺ) then recited the Verse: 'As for him who gives (in charity) and keeps his duty to Allah..' (92.5)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৬

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৫. আমলের (ভাল-মন্দ) নির্ভর করে শেষ অবস্থার ওপর

৬৬০৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খায়বারের যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গীগণের মধ্য হতে ইসলামের দাবি করছিল এমন এক ব্যক্তির ব্যাপারে বললেন যে, এই লোকটি জাহান্নামী। যখন যুদ্ধ শুরু হল, লোকটি ভীষণভাবে যুদ্ধ করল। এতে সে অত্যন্ত ক্ষতবিক্ষত হলো। তবু সে অটল রইল। সাহাবীগণের মাঝ থেকে একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যে ব্যক্তি সম্পর্কে জাহান্নামী হবে ব’লে বলেছিলেন সে তো ভীষণভাবে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করেছে এবং তাতে সে বিপুলভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

তিনি বললেনঃ জেনে রাখ, সে জাহান্নামী! এতে কতক মুসলিমের মনে সন্দেহের ভাব হল। আর লোকটি ঐ অবস্থায় ছিল। হঠাৎ করে সে ক্ষতের যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগল আর অমনিই সে স্বীয় হাতটি তীর রাখার স্থানে বাড়িয়ে দিল এবং একটি তীর বের করে আপন বক্ষে বিঁধিয়ে দিল। তখন কয়েকজন মুসলিম রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে দৌড়িয়ে গিয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ আপনার কথাকে সত্য করে দেখালেন। অমুক ব্যক্তি তো আত্মহত্যা করেছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে বিলাল! উঠ, এবং ঘোষণা কর যে, মু’মিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।। আর আল্লাহ্ পাপী বান্দাকে দিয়েও এ দ্বীনের সাহায্য করে থাকেন। [৩০৬২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৩)

بَاب الْعَمَلُ بِالْخَوَاتِيمِ

حِبَّانُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ شَهِدْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ مِمَّنْ مَعَهُ يَدَّعِي الإِسْلاَمَ هَذَا مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلَمَّا حَضَرَ الْقِتَالُ قَاتَلَ الرَّجُلُ مِنْ أَشَدِّ الْقِتَالِ وَكَثُرَتْ بِهِ الْجِرَاحُ فَأَثْبَتَتْهُ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ الَّذِي تَحَدَّثْتَ أَنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ قَدْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللهِ مِنْ أَشَدِّ الْقِتَالِ فَكَثُرَتْ بِهِ الْجِرَاحُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمَا إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَكَادَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ يَرْتَابُ فَبَيْنَمَا هُوَ عَلَى ذَلِكَ إِذْ وَجَدَ الرَّجُلُ أَلَمَ الْجِرَاحِ فَأَهْوَى بِيَدِهِ إِلَى كِنَانَتِهِ فَانْتَزَعَ مِنْهَا سَهْمًا فَانْتَحَرَ بِهَا فَاشْتَدَّ رِجَالٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَدَّقَ اللهُ حَدِيثَكَ قَدْ انْتَحَرَ فُلاَنٌ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا بِلاَلُ قُمْ فَأَذِّنْ لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلاَّ مُؤْمِنٌ وَإِنَّ اللهَ لَيُؤَيِّدُ هَذَا الدِّينَ بِالرَّجُلِ الْفَاجِرِ

حبان بن موسى اخبرنا عبد الله اخبرنا معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة قال شهدنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم خيبر فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لرجل ممن معه يدعي الاسلام هذا من اهل النار فلما حضر القتال قاتل الرجل من اشد القتال وكثرت به الجراح فاثبتته فجاء رجل من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ارايت الرجل الذي تحدثت انه من اهل النار قد قاتل في سبيل الله من اشد القتال فكثرت به الجراح فقال النبي صلى الله عليه وسلم اما انه من اهل النار فكاد بعض المسلمين يرتاب فبينما هو على ذلك اذ وجد الرجل الم الجراح فاهوى بيده الى كنانته فانتزع منها سهما فانتحر بها فاشتد رجال من المسلمين الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم صدق الله حديثك قد انتحر فلان فقتل نفسه فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا بلال قم فاذن لا يدخل الجنة الا مومن وان الله ليويد هذا الدين بالرجل الفاجر


Narrated Abu Huraira:

We witnessed along with Allah's Messenger (ﷺ) the Khaibar (campaign). Allah's Messenger (ﷺ) told his companions about a man who claimed to be a Muslim, "This man is from the people of the Fire." When the battle started, the man fought very bravely and received a great number of wounds and got crippled. On that, a man from among the companions of the Prophet (ﷺ) came and said, "O Allah's Apostle! Do you know what the man you described as of the people of the Fire has done? He has fought very bravely for Allah's Cause and he has received many wounds." The Prophet (ﷺ) said, "But he is indeed one of the people of the Fire." Some of the Muslims were about to have some doubt about that statement. So while the man was in that state, the pain caused by the wounds troubled him so much that he put his hand into his quiver and took out an arrow and committed suicide with it. Off went some men from among the Muslims to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Allah has made your statement true. So-and-so has committed suicide." Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Bilal! Get up and announce in public: None will enter Paradise but a believer, and Allah may support this religion (Islam) with a wicked man."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৭

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৫. আমলের (ভাল-মন্দ) নির্ভর করে শেষ অবস্থার ওপর

৬৬০৭. সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে থেকে যে সমস্ত মুসলিম যুদ্ধ করেছেন তাঁদের মাঝে একজন ছিল ভীষণ বেগে আক্রমণকারী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকিয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি কোন জাহান্নামীকে দেখতে পছন্দ করে সে যেন এই লোকটার দিকে তাকায়। লোকদের ভিতর থেকে এক লোক সেই লোকটির অনুসরণ করল। আর সে তখন ভীষণভাবে মুশরিকদের সঙ্গে মুকাবিলা করছিল। সে যখম হয়ে তাড়াতাড়ি মৃত্যু কামনা করল। সে তার তরবারীর ধারালো দিকটি নিজের বুকের উপর চেপে ধরল। এমন কি দু’কাঁধের মাঝ দিয়ে তরবারী বক্ষ ভেদ করল। (তখন) লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে দৌড়ে এসে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি (সত্যিই) আপনি আল্লাহর রাসূল।

তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কী হল? লোকটি বলল, আপনি অমুক ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছিলেনঃ ’’যে ব্যক্তি কোন জাহান্নামী লোক দেখতে পছন্দ করে সে যেন এ লোকটাকে দেখে নেয়।’’ অথচ লোকটি অন্যান্য মুসলিমের চেয়ে তীব্র আক্রমণকারী ছিল। তাই আমার ধারণা ছিল এ লোকটির মৃত্যু এমন অবস্থায় হবে না। যখন সে আঘাত পেল, তাড়াতাড়ি মৃত্যু কামনা করল এবং আত্মহত্যা করে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একথা শুনে বললেনঃ নিশ্চয় কোন বান্দা জাহান্নামীদের ’আমল করেন, কিন্তু আসলে সে জান্নাতী। আর কোন বান্দা জান্নাতের অধিবাসীর ’আমল করেন কিন্তু আসলে সে জাহান্নামী। নিশ্চয়ই ’আমলের ভাল-মন্দ নির্ভর করে তার শেষ অবস্থার উপর। [২৮৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৪)

بَاب الْعَمَلُ بِالْخَوَاتِيمِ

سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ رَجُلاً مِنْ أَعْظَمِ الْمُسْلِمِينَ غَنَاءً عَنْ الْمُسْلِمِينَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى الرَّجُلِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا فَاتَّبَعَهُ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ وَهُوَ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ مِنْ أَشَدِّ النَّاسِ عَلَى الْمُشْرِكِينَ حَتَّى جُرِحَ فَاسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ فَجَعَلَ ذُبَابَةَ سَيْفِهِ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ حَتَّى خَرَجَ مِنْ بَيْنِ كَتِفَيْهِ فَأَقْبَلَ الرَّجُلُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُسْرِعًا فَقَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ وَمَا ذَاكَ قَالَ قُلْتَ لِفُلاَنٍ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلْيَنْظُرْ إِلَيْهِ وَكَانَ مِنْ أَعْظَمِنَا غَنَاءً عَنْ الْمُسْلِمِينَ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ لاَ يَمُوتُ عَلَى ذَلِكَ فَلَمَّا جُرِحَ اسْتَعْجَلَ الْمَوْتَ فَقَتَلَ نَفْسَهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ إِنَّ الْعَبْدَ لَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ النَّارِ وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَيَعْمَلُ عَمَلَ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنَّهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ وَإِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالْخَوَاتِيمِ

سعيد بن ابي مريم حدثنا ابو غسان حدثني ابو حازم عن سهل بن سعد ان رجلا من اعظم المسلمين غناء عن المسلمين في غزوة غزاها مع النبي صلى الله عليه وسلم فنظر النبي صلى الله عليه وسلم فقال من احب ان ينظر الى الرجل من اهل النار فلينظر الى هذا فاتبعه رجل من القوم وهو على تلك الحال من اشد الناس على المشركين حتى جرح فاستعجل الموت فجعل ذبابة سيفه بين ثدييه حتى خرج من بين كتفيه فاقبل الرجل الى النبي صلى الله عليه وسلم مسرعا فقال اشهد انك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال وما ذاك قال قلت لفلان من احب ان ينظر الى رجل من اهل النار فلينظر اليه وكان من اعظمنا غناء عن المسلمين فعرفت انه لا يموت على ذلك فلما جرح استعجل الموت فقتل نفسه فقال النبي صلى الله عليه وسلم عند ذلك ان العبد ليعمل عمل اهل النار وانه من اهل الجنة ويعمل عمل اهل الجنة وانه من اهل النار وانما الاعمال بالخواتيم


Narrated Sahl bin Sa`d:

There was a man who fought most bravely of all the Muslims on behalf of the Muslims in a battle (Ghazwa) in the company of the Prophet. The Prophet (ﷺ) looked at him and said. "If anyone would like to see a man from the people of the Fire, let him look at this (brave man)." On that, a man from the People (Muslims) followed him, and he was in that state i.e., fighting fiercely against the pagans till he was wounded, and then he hastened to end his life by placing his sword between his breasts (and pressed it with great force) till it came out between his shoulders. Then the man (who was watching that person) went quickly to the Prophet (ﷺ) and said, "I testify that you are Allah's Messenger (ﷺ)!" The Prophet (ﷺ) asked him, "Why do you say that?" He said, "You said about so-and-so, 'If anyone would like to see a man from the people of the Fire, he should look at him.' He fought most bravely of all of us on behalf of the Muslims and I knew that he would not die as a Muslim (Martyr). So when he got wounded, he hastened to die and committed suicide." There-upon the Prophet (ﷺ) said, "A man may do the deeds of the people of the Fire while in fact he is one of the people of Paradise, and he may do the deeds of the people of Paradise while in fact he belongs to the people of Fire, and verily, (the rewards of) the deeds are decided by the last actions (deeds)".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৮

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৬. বান্দার মানতকে তাক্দীরের প্রতি অর্পণ করা।

৬৬০৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, মানত কোন জিনিসকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে না। এর দ্বারা শুধু কৃপণের কিছু মাল বের হয়ে যায়। [৬৬৯২, ৬৬৯৩; মুসলিম ২৬/২, হাঃ ১৬৩৯, আহমাদ ৫২৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৫)

بَاب إِلْقَاءِ النَّذْرِ الْعَبْدَ إِلَى الْقَدَرِ

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ النَّذْرِ وَقَالَ إِنَّهُ لاَ يَرُدُّ شَيْئًا وَإِنَّمَا يُسْتَخْرَجُ بِهِ مِنْ الْبَخِيلِ

ابو نعيم حدثنا سفيان عن منصور عن عبد الله بن مرة عن ابن عمر قال نهى النبي صلى الله عليه وسلم عن النذر وقال انه لا يرد شيىا وانما يستخرج به من البخيل


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) forbade vowing and said, "In fact, vowing does not prevent anything, but it makes a miser to spend his property."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬০৯

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৬. বান্দার মানতকে তাক্দীরের প্রতি অর্পণ করা।

৬৬০৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ মানত আদম সন্তানকে এমন কিছু এনে দিতে পারে না যা তাক্দীরে নির্ধারিত নেই অথচ সে যে মানতটি করে তাও আমি তাক্দীরে নির্ধারিত করে দিয়েছি যাতে এর মাধ্যমে কৃপণের নিকট হতে (মাল) বের করে নেই। [৬৬৯৪; মুসলিম ২৬/২, হাঃ ১৬৪০, আহমাদ ৯৩৫১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৬)

بَاب إِلْقَاءِ النَّذْرِ الْعَبْدَ إِلَى الْقَدَرِ

بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَأْتِ ابْنَ آدَمَ النَّذْرُ بِشَيْءٍ لَمْ يَكُنْ قَدْ قَدَّرْتُهُ وَلَكِنْ يُلْقِيهِ الْقَدَرُ وَقَدْ قَدَّرْتُهُ لَهُ أَسْتَخْرِجُ بِهِ مِنْ الْبَخِيلِ

بشر بن محمد اخبرنا عبد الله اخبرنا معمر عن همام بن منبه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يات ابن ادم النذر بشيء لم يكن قد قدرته ولكن يلقيه القدر وقد قدرته له استخرج به من البخيل


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said (that Allah said), "Vowing does not bring to the son of Adam anything I have not already written in his fate, but vowing is imposed on him by way of fore ordainment. Through vowing I make a miser spend of his wealth."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬১০

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৭. ‘আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি ও ক্ষমতা নেই প্রসঙ্গে

৬৬১০. আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা যখনই কোন উঁচুস্থানে আরোহণ করতাম, কোন উঁচুতে থাকতাম এবং কোন উপত্যকা অতিক্রম করতাম তখনই উচ্চস্বরে তাকবীর বলতাম। রাবী বলেন অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকটবর্তী হলেন এবং বললেনঃ ওহে লোকেরা! তোমরা নিজেদের উপর রহম কর। তোমরা কোন বধির বা কোন অনুপস্থিত সত্ত্বাকে ডাকছ না বরং তোমরা ডাকছ শ্রবণকারী ও দর্শনকারী সত্ত্বাকে। এরপর তিনি বললেনঃ হে ’আবদুল্লাহ্ ইবনু কায়স! তোমাকে আমি কি এমন একটি কথা শিখিয়ে দিব না, যা হল জান্নাতের ভান্ডারসমূহের অন্যতম? তা হল- لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ। ]২৯৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৭)

بَاب لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزَاةٍ فَجَعَلْنَا لاَ نَصْعَدُ شَرَفًا وَلاَ نَعْلُو شَرَفًا وَلاَ نَهْبِطُ فِي وَادٍ إِلاَّ رَفَعْنَا أَصْوَاتَنَا بِالتَّكْبِيرِ قَالَ فَدَنَا مِنَّا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا إِنَّمَا تَدْعُونَ سَمِيعًا بَصِيرًا ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ أَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلِمَةً هِيَ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

محمد بن مقاتل ابو الحسن اخبرنا عبد الله اخبرنا خالد الحذاء عن ابي عثمان النهدي عن ابي موسى قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في غزاة فجعلنا لا نصعد شرفا ولا نعلو شرفا ولا نهبط في واد الا رفعنا اصواتنا بالتكبير قال فدنا منا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا ايها الناس اربعوا على انفسكم فانكم لا تدعون اصم ولا غاىبا انما تدعون سميعا بصيرا ثم قال يا عبد الله بن قيس الا اعلمك كلمة هي من كنوز الجنة لا حول ولا قوة الا بالله


Narrated Abu Musa:

While we were with Allah's Messenger (ﷺ) in a holy battle, we never went up a hill or reached its peak or went down a valley but raised our voices with Takbir. Allah's Messenger (ﷺ) came close to us and said, "O people! Don't exert yourselves, for you do not call a deaf or an absent one, but you call the All- Listener, the All-Seer." The Prophet (ﷺ) then said, "O `Abdullah bin Qais! Shall I teach you a sentence which is from the treasures of Paradise? ( It is): 'La haula wala quwata illa billah. (There is neither might nor power except with Allah).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬১১

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৮. নিষ্পাপ সে-ই আল্লাহ্ যাকে রক্ষা করেন।

عَاصِمٌ مَانِعٌ، قَالَ مُجَاهِدٌ سُدًا عَنِ الْحَقِّ.
(يَتَرَدَّدُونَ) فِي الضَّلاَلَةِ (دَسَّاهَا) أَغْوَاهَا.

(عَاصِمٌ) অর্থ প্রতিরোধকারী- (সূরাহ হূদ ১১/৪৩)। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, سَدًّا عَنْ الْحَقِّ পথভ্রষ্টতায় মত্ত হওয়া, (دَسَّاهَا) তাকে পথভ্রষ্ট করেছে- (সূরাহ আশ্ শামস্ ৯১/১০)।


৬৬১১. আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে কোন লোককেই খলীফা বানানো হয় তার জন্য দু’টি পরামর্শদাতা থাকে। একটা তাকে সৎকর্মের পরামর্শ দেয় এবং এর প্রতি তাকে উৎসাহিত করে। অন্যটা তাকে মন্দ কাজের পরামর্শ দেয় এবং এর প্রতি তাকে উৎসাহিত করে। নিষ্পাপ হল সেই আল্লাহ্ যাকে রক্ষা করেন। [৭১৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৫০ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৮)

بَاب الْمَعْصُومُ مَنْ عَصَمَ اللهُ

عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا اسْتُخْلِفَ خَلِيفَةٌ إِلاَّ لَهُ بِطَانَتَانِ بِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالْخَيْرِ وَتَحُضُّهُ عَلَيْهِ وَبِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالشَّرِّ وَتَحُضُّهُ عَلَيْهِ وَالْمَعْصُومُ مَنْ عَصَمَ اللهُ

عبدان اخبرنا عبد الله اخبرنا يونس عن الزهري قال حدثني ابو سلمة عن ابي سعيد الخدري عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ما استخلف خليفة الا له بطانتان بطانة تامره بالخير وتحضه عليه وبطانة تامره بالشر وتحضه عليه والمعصوم من عصم الله


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

That the Prophet (ﷺ) said, "No Caliph is appointed but has two groups of advisors: One group advises him to do good and urges him to adopt it, and the other group advises him to do bad and urges him to adopt it; and the protected is the one whom Allah protects."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬১২

পরিচ্ছেদঃ ৮২/৯. আল্লাহর বাণীঃ আমি যে সব জনবসতি ধ্বংস করেছি তাদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে তারা আর ফিরে আসবে না- (সূরাহ আম্বিয়া ২১/৯৫)। আল্লাহর বাণীঃ ঈমান এনেছে তারা ছাড়া তোমার সম্প্রদায়ের আর কোন লোক ঈমান আনবে না- (সূরাহ হূদ ১১/৩৬)। আল্লাহর বাণীঃ তারা তোমার বান্দাহদেরকে গুমরাহ করে দেবে আর কেবল পাপাচারী কাফির জন্ম দিতে থাকবে- (সূরাহ নূহ ৭১/২৭)।

وَقَالَ مَنْصُورُ بْنُ النُّعْمَانِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَحِرْمٌ بِالْحَبَشِيَّةِ وَجَبَ

মানসুর ইবনু নু’মান ..... ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাব্শী ভাষায় حِرْمٌ অর্থ জরুরী হওয়া।


৬৬১২. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ছোট গুনাহর ব্যাপারে যা বলেছেন তার থেকে যথার্থ উপমা আমি দেখি না। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন] আল্লাহ্ আদম সন্তানের উপর যিনার কোন না কোন হিস্সা লিখে দিয়েছেন; তা সে অবশ্যই পাবে। সুতরাং চোখের যিনা হল (যা হারাম সেদিকে) তাকানো এবং জিহ্বার যিনা হল মুখে বলা। মন কামনা ও আকাঙ্ক্ষা করে, লজ্জাস্থান তাকে সত্য করে অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে।[1] শাবাবা (রহ.) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকম বর্ণনা করেছেন। [৬২৪৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৫৯)

بَاب {وَحَرَامٌ عَلَى قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا أَنَّهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ} { أَنَّه” لَنْ يُؤْمِنَ مِنْ قَوْمِكَ إِلاَّ مَنْ قَدْ اٰمَنَ} {وَلاَ يَلِدُوا إِلاَّ فَاجِرًا كَفَّارًا}

مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَا رَأَيْتُ شَيْئًا أَشْبَهَ بِاللَّمَمِ مِمَّا قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنْ الزِّنَا أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ فَزِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ وَزِنَا اللِّسَانِ الْمَنْطِقُ وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ وَقَالَ شَبَابَةُ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنْ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

محمود بن غيلان حدثنا عبد الرزاق اخبرنا معمر عن ابن طاوس عن ابيه عن ابن عباس قال ما رايت شيىا اشبه باللمم مما قال ابو هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم ان الله كتب على ابن ادم حظه من الزنا ادرك ذلك لا محالة فزنا العين النظر وزنا اللسان المنطق والنفس تمنى وتشتهي والفرج يصدق ذلك او يكذبه وقال شبابة حدثنا ورقاء عن ابن طاوس عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم


Narrated Ibn `Abbas:

I did not see anything so resembling minor sins as what Abu Huraira said from the Prophet, who said, "Allah has written for the son of Adam his inevitable share of adultery whether he is aware of it or not: The adultery of the eye is the looking (at something which is sinful to look at), and the adultery of the tongue is to utter (what it is unlawful to utter), and the innerself wishes and longs for (adultery) and the private parts turn that into reality or refrain from submitting to the temptation."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
৬৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ৮২/১০. (আল্লাহর বাণী) আমি তোমাকে (মি’রাজের মাধ্যমে) যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত (জাক্কুম) গাছটিও মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য (যে কারা তা বিশ্বাস ক’রে নেক্কার হয় আর কারা তা অবিশ্বাস ক’রে পাপী হয়)। (সূরাহ ইসরা ১৭/৬০)

৬৬১৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। (وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي.....) الاية (আয়াত সম্পর্কে) তিনি বলেনঃ তা হচ্ছে চোখের দেখা। যে রাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বায়তুল মাকদাস পর্যন্ত ভ্রমণ করানো হয়েছিল, সে রাতে তাঁকে যা দেখানো হয়েছিল। তিনি বলেন, কুরআনের বর্ণিত وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ দ্বারা যাক্কূম গাছকে বোঝানো হয়েছে। [৩৮৮৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬১৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬১৬০)

بَاب {وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ}

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ (وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ) قَالَ هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ فِي الْقُرْآنِ قَالَ هِيَ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ

الحميدي حدثنا سفيان حدثنا عمرو عن عكرمة عن ابن عباس (وما جعلنا الرويا التي اريناك الا فتنة للناس) قال هي رويا عين اريها رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة اسري به الى بيت المقدس قال والشجرة الملعونة في القران قال هي شجرة الزقوم


Narrated Ibn `Abbas:

(regarding the Verse) "And We granted the vision (Ascension to the heavens "Miraj") which We showed you (O Muhammad as an actual eye witness) but as a trial for mankind.' (17.60): Allah's Apostle actually saw with his own eyes the vision (all the things which were shown to him) on the night of his Night Journey to Jerusalem (and then to the heavens). The cursed tree which is mentioned in the Qur'an is the tree of Az-Zaqqum.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮২/ তাকদীর (كتاب القدر) 82/ Divine Will (Al-Qadar)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »