৭৭- ‘তারপর তিনি মাঝপথ ধরে চলতে থাকলেন, যা তোমাকে বড় জামরার নিকট দিয়ে বের করে দেয়।’[1] অবশেষে তিনি গাছের সন্নিকটে অবস্থিত জামরায় এসে পৌঁছলেন।
৭৮- অতপর ‘সূর্য পূর্ণ আলোকিত হওয়ার পর’[2] তিনি বড় জামরাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন।
৭৯- প্রতিটি কঙ্কর নিক্ষেপের সময় ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন। বুটের ন্যায় ছিল প্রত্যেকটি কঙ্কর।
৮০- তিনি তাঁর বাহনে আরোহন অবস্থায় উপত্যকার মধ্যভাগ থেকে কঙ্কর নিক্ষেপ করেছেন ‘আর তিনি’[3] বলছিলেন,’
«لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ فَإِنِّى لاَ أَدْرِى لَعَلِّى لاَ أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِى هَذِهِ»
‘তোমরা যেন তোমাদের হজের বিধি-বিধান শিখে নাও। কেননা, আমার জানা নেই, হয়ত আমি এই হজের পরে আর হজ করতে পারব না।’[4]
৮১- জাবের রা. বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘তাশরীকের সকল দিনে’[5] ‘সূর্য হেলে যাওয়ার পরে’[6] কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন[7]।
৮২- ‘তিনি আকাবা তথা বড় জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপরত অবস্থায় সুরাকা তাঁর সাথে সাক্ষাত করলেন। অতপর বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এটা কি খাস করে আমাদের জন্য ? তিনি বললেন,
«لاَ بَلْ لأَبَدٍ»
না। বরং সবসময়ের জন্য।’[8]
[2]. মুসনাদে আহমদ, মুসলিম, আবূ দাউদ।
[3]. নাসাঈ।
[4]. মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ।
[5]. মুসনাদে আহমদ।
[6]. মুসলিম।
[7]. যিলহজ মাসের ১১-১২-১৩ তারিখের দিনগুলো আইয়্যামে তাশরীক বলা হয়।
[8]. বুখারী , মুসলিম।